• মঙ্গলবার , ২৫ মার্চ ২০২৫

‘আমাদের ভাবনা জনগণকে কি দিলাম’


প্রকাশিত: ২:৫৩ পিএম, ৩০ নভেম্বর ১৯ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২১৬ বার

বিশেষ প্রতিনিধি :  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের ভাবনা জনগণকে কি দিলাম কতটুকু দিলাম। তবে কেউ অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করবে সেটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না। আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতা কর্মীতে সেই আদর্শ বুকে ধারণ করে জনগণের জন্য কতোটুকু করতে পারলাম সেই কথা চিন্তা করতে হবে। জনগণকে কি দিতে পারলাম সেই চিন্তা করতে হবে। জনগণের কল্যাণ কিসে হবে সেই চিন্তা করতে হবে। বিএনপি মানুষকে যন্ত্রণা দিতে পারে, শান্তি দিতে পারে না। শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সন্ত্রাস-সহিংসতা বিএনপির পুরানো অভ্যাস উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এদের হাত থেকে দেশের মানুষকে রক্ষা করে জনগণের জীবনমান উন্নয়ন করা আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য।

সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত-পতাকা উত্তোলন ও পায়রা উড়ানোর মধ্য দিয়ে শুরু হয় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা।সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলীয় প্রধান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে পরিবেশন করার হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। হাজারো নেতা কর্মীর করতালি আর শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। এসময় দলের নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এতিমদের জন্য টাকা এসেছে সেই টাকাটা ওদের ভাগ্যে জোটেনি। খালেদা জিয়ার অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে। এতিমের টাকা আত্মসাৎ করার জন্য খালেদা জিয়ার নামে মামলা হয়েছে। সেই মামলায় সে এখন কারাগারে। এটা কোন রাজনৈতিক মামলা না, একেবারে সরাসরি দুর্নীতির মামলা।সন্ত্রাস, সহিংসতা বিএনপির পুরনো অভ্যাস উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এদের হাত থেকে দেশের মানুষকে সুরক্ষা করতে জনগণের জীবনমান উন্নয়ন করা সরকারের মূল লক্ষ্য।

শেখ হাসিনা আরো বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতা কর্মীতে সেই আদর্শ বুকে ধারণ করে জনগণের জন্য কতোটুকু করতে পারলাম সেই কথা চিন্তা করতে হবে। জনগণকে কি দিতে পারলাম সেই চিন্তা করতে হবে। জনগণের কল্যাণ কিসে হবে সেই চিন্তা করতে হবে। আজ আমাদের জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছি। আর এটা অব্যাহত থাকবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। জনগণের টাকা জনগণের কল্যাণের জন্য ব্যবহৃত হবে।দীর্ঘ সাত বছর পর অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনের মাধ্যমে পরিবর্তন আসবে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ দুই পদে। প্রথম এ অধিবেশন শেষে বিকেলে ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে ঘোষণা করা হবে মহানগর আওয়ামী লীগের দুই অংশের নতুন নেতৃত্বের নাম।