• শনিবার , ২৭ এপ্রিল ২০২৪

পাকা জুয়াড়ি আশরাফুল-শ্রীলঙ্কার লিগেও ম্যাচ পাতিয়েছিলেন


প্রকাশিত: ১:১১ এএম, ২ জানুয়ারী ১৫ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১২৭ বার

 

Asraful-www.jatirkhantha.com.bd

 

 

অনলাইন ডেস্ক:

 

 

অপরাধের কথা নিজ মুখে স্বীকারই করেছেন। নিজেই একরকম রাজসাক্ষী হিসেবে একের পর এক তথ্য তুলে দিয়েছেন আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটের (আকসু) কাছে। তাতে এতদিন বাংলাদেশের ক্রিকেটেই মোহাম্মদ আশরাফুলের ম্যাচ পাতানোর কেলেঙ্কারির কথা জানা গিয়েছিল। এবার জানা যাচ্ছে, ম্যাচ তিনি পাতিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগেও! এই তথ্যও আশরাফুলেরই দেওয়া।
এ নিয়ে আজ একটি দীর্ঘ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে শ্রীলঙ্কার অন্যতম দৈনিক ডেইলি মিরর। প্রায় ১১০০ শব্দের সেই প্রতিবেদনের পরতে পরতে আছে, কীভাবে আইপিএলের আদলে গড়া শ্রীলঙ্কার ক্ষণস্থায়ী টি-টোয়েন্টি লিগ এসএলপিএলে (শ্রীলঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ) ম্যাচ পাতানো হয়েছিল। আকসুর তদন্ত কমিটির কাছে বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক স্বীকার করেছেন, ২০১২ সালের ২৬ আগস্ট রুহুনা রয়্যালস বনাম ওয়াইয়াম্বা ইউনাইটেডের ম্যাচটি পাতানোর সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন। সেই লিগে আশরাফুল রুহুনার হয়ে খেলেছেন।Ashraful-www.jatirkhantha.com.bd
মিরর লিখেছে, এসএলপিএলের অনেক কিছুই নিয়ে এত দিন ধরে নানা সন্দেহ ছিল। কিন্তু এত দিন জুতসই প্রমাণ পাওয়া যায়নি। অবশেষে গত মাসে এসএলপিএলে ম্যাচ পাতানোর তথ্যপ্রমাণ শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের (এসএলসি) হাতে তুলে দিয়েছে আইসিসি। ম্যাচ পাতানোর অপরাধে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ আশরাফুল ২০১৩ সালের ২৩ মে আকসুকে একটি সাক্ষ্যমূলক জবানবন্দি দেন। সেখানেই এসএলপিএলের ম্যাচ পাতানোর বিষয়টিও উঠে আসে।

মিররকে একটি সূত্র বলেছে, ভিন দেশ থেকে উড়ে এসে আশরাফুলের একার পক্ষে কোনো ম্যাচ পাতানো সম্ভব ছিল না। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় খেলোয়াড়েরাও নিশ্চয়ই জড়িত ছিলেন। সেই শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার কারা ছিলেন, সেটাই এখন খুঁজে বের করা দরকার।
এর আগে আশরাফুল স্বীকার করেছিলেন, তাঁকে ফিক্সিংয়ের অন্ধকার জগতে নিয়ে যাওয়া সেই হোতাটার সঙ্গে এসএলপিএল খেলতে গিয়েই পরিচয় হয়েছিল। আশরাফুলের স্বীকারোক্তিতে বারবার গৌরব রাওয়াতের নাম উঠে এসেছে। এই ভারতীয় নাগরিক বিপিএলে ঢাকা গ্ল্যাডিয়টর্সের প্রধান নির্বাহী হিসেবে কাজ করেছিলেন, যে দলটার মালিকও ম্যাচ পাতানোর দায়ে শাস্তি পেয়েছেন। মজার ব্যাপার হলো, গৌরব রুহুনা রয়্যালসেরও প্রধান নির্বাহী হিসেবে কাজ করেছেন।
এর আগে আশরাফুলকে আট বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। পরে সেই শাস্তির মেয়াদ কমিয়ে নিয়ে আসা হয় পাঁচ বছরে। এর দুই বছর আবার স্থগিত নিষেধাজ্ঞা। মানে নতুন করে অপরাধে জড়িয়ে না পড়লে তিন বছর পরই ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন সবচেয়ে কম বয়সে টেস্ট সেঞ্চুরির গৌরব দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করা এই ব্যাটসম্যান। ২০১৬ সালের ১৩ আগস্ট শেষ হবে আশরাফুলের নিষেধাজ্ঞা। তখন বয়স হবে ৩২। সব পাপ মুছে আবার ক্রিকেটে ফেরার জন্য ব্যাকুল আশরাফুলের চাওয়াটা তাই সত্যি হতেও পারে।