• বৃহস্পতিবার , ২ মে ২০২৪

আসিফের পক্ষ নিল মুসল্লীরা-ইসলামী আন্দোলন ব্র্যাকের সব ইট খুলে নেয়ার হুমকি


প্রকাশিত: ১:৩১ এএম, ২৭ জানুয়ারী ২৪ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩৮ বার

 

 

স্টাফ রিপোর্টার : ট্রান্সজেন্ডার নিয়ে বক্তব্য দেয়ার জেরে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক আসিফ মাহতাবকে চাকরিচ্যুতির ঘটনায় ব্র্যাকের প্রতিটি ইট খুলে নেয়ার হুমকি দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। ‘বিতর্কিত শিক্ষা কারিকুলাম পরিবর্তন ও ট্রান্সজেন্ডারকে প্রোমোট’ করার প্রতিবাদে শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) জুমার শেষে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করে দলটি। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এ হুঁশিয়ারি দেন ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। সমাবেশ শেষে দলটি বিক্ষোভ মিছিল করে।

সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ব্র্যাক তুমি একটা এনজিও। বাংলাদেশের মানুষের পয়সা দিয়া এর (সমকামিতার) বিরোধিতা করায় চাকরিচ্যুত করবা? সেটা হবে না। যদি আসিফ স্যারকে ব্র্যাক থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়, তবে আমরা ব্র্যাকের গেটে অবস্থান করবো। আপনারা করবেন কি না আমি জানি না, তবে আমি করবো। দেখবো কীভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়। এরপরও যদি ব্র্যাক আমাদের কথা মানতে বাধ্য না হয়, বাংলাদেশের জনগণ ব্র্যাকের প্রত্যেকটা ইট খুলে ফেলবে। তিনি আরও বলেন, শুনলাম ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষক সরোয়ারকেও নাকি চাকরিচ্যুত করার চক্রান্ত করা হচ্ছে। বাংলাদেশে তা হবে না। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

ইসলামী আন্দোলনের এ নেতা বলেন, আপনারা ধরে নেন, বাংলাদেশে আইন পাস করলাম— কোনো বিবাহ বন্ধন নেই। সব সমকামী, সব নারী-নারী; পুরুষ-পুরুষ। তাহলে এই দুনিয়া থাকবে? প্রজন্ম হবে কীভাবে আমাকে বলুন? ধরে নেন ইসলাম-ঠিসলাম পরে, ধর্ম পরে। আপনাদের আইনটিকে মেনে নিলাম। বাংলাদেশের ১০০ শতাংশ মানুষ আপনাদের আইন অনুযায়ী কাজ শুরু করেছে। এরপরের প্রজন্ম কী হবে? এই দেশের কী হবে? এটা কি আপনি কখনো চিন্তা করতে পেরেছেন? এটাও আইন হয়? একটা মানুষ খারাপ কাজে লিপ্ত হয়, সেটা ভিন্ন কথা। দুনিয়ার আবহমানকাল থেকে খারাপ হচ্ছে, সেটার বিচারও আছে। আর আজকে অবৈধকে আইনের রূপ দেয়া, জানোয়ারের চেয়েও খারাপ। এর চেয়ে বড় খারাপ আর কিছু হতে পারে না।

শিক্ষামন্ত্রীর উদ্দেশে সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত শিক্ষা কারিকুলামের মধ্যে মুসলিমের ইতিহাস ছিল। আবু বকরের (রা) ইতিহাস ছিল, ওমরের ইতিহাস ছিল। ড. শহিদুল্লাহর হাজারও গল্প ছিল। মুসলমানদের হাজারও কবিতা ছিল। কিন্তু এগুলো আজ বিলীন করা হচ্ছে। ওরা (ভারত) জানে কাঁটাতারের বেড়াই বড় সীমান্ত নয়, এদেশের বড় সীমান্ত হলো মুসলমান। এদেশের মুসলমানকে নষ্ট করা গেলে কাঁটাতারে বেড়া থাকবে না। এপার বাংলা ওপার বাংলা এক হও— এ স্লোগান বাস্তবায়ন হবে। আমরা শপথ গ্রহণ করতেছি, জীবন থাক আর না থাক, এপার বাংলা ওপার বাংলা এক হতে দিবো না।