• শনিবার , ২৭ এপ্রিল ২০২৪

জিম্বাবুয়ে চিৎপটাং-জয়সুরিয়াকে হারালো তামিম


প্রকাশিত: ৯:০৫ পিএম, ২৩ জানুয়ারী ১৮ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১২০ বার

Tiger-tamim-www.jatirkhantha.com.bd

আর এইচ মানব  :  এবারও জিম্বাবুয়ে চিৎপটাং-। ওদিকে জয়সুরিয়াকে হারালো তামিম।আগের দুই ম্যাচে জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কাকে এক কথায় উড়িয়ে দিয়েছিল টাইগাররা। টাইগারদের সামনে পাত্তাই পায়নি এ দুই দল। কিন্তু নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে এসেই খেই হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের মাপা বোলিংয়ে মামুলি টার্গেট দাঁড় করায় তারা। জিম্বাবুয়ের বোলিংয়ের সামনে যদি টাইগারদের এই অবস্থা হয় তাহলে জিম্বাবুয়ের কি অবস্থা হওয়ার কথা? হয়েছেও তাই।

টাইগারদের বোলিং তোপে পরাজয়ের মুখ দেখলো ক্রেমারের জিম্বাবুয়ে। মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ত্রিদেশীয় সিরিজের পঞ্চম ম্যাচে বাংলাদেশের দেয়া ২১৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করে টাইগারদের বোলিং তোপে পড়ে ৩৬.৩ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১২৫ করতে সামর্থ হয়। আর এতে ৯১ রানে হারে জিম্বাবুয়ে। এর আগে টাইগাররা টস জিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২১৬ রান সংগ্রহ করে।

sakib-masrafi.jatirkhantha.com_.bd_.j1এদিন টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুর দিকে ওপেনার এনামুল হক বিজয়(১) রান করে জার্ভিসের বলে এলবি হয়ে ফিরে যান। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান ১০৬ রানের জুটি গড়েন। সিকান্দার রাজার বলে স্ট্যাম্পিং হবার আগে সাকিব তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৩৭তম হাফ সেঞ্চুরি। ৮০ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৫১ রান করে আউট হন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।

এদিন টাইগারদের ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল দুইটি রেকর্ড নিজের করে নেন। প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডেতে ৬ হাজার রানের মালিক হন তামিম। ক্যারিয়ারের ১৭৭তম ম্যাচে তিনি এ রেকর্ড গড়েন। পাশাপাশি এক স্টেডিয়ামে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডও নিজের করে নেন তামিম। এর আগে ‘মাতারা হারিকেন’ খ্যাত জয়াসুরিয়া তার ক্যারিয়ারে কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে মোট রান করেছিলেন ২ হাজার ৫১৪।

sakib-www.jatirkhantha.com.bd.1.9999আগের দুই ম্যাচের মত এদিনও হাফসেঞ্চুরির দেখা পান এ ড্যাশিং ওপেনার। এটি ছিল তার ক্যারিয়ারের ৪১তম হাফসেঞ্চুরি। ১০৫ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৭৬ রান করে থামেন তিনি। তামিম-সাকিবরা উজ্জ্বল থাকলেও স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কেউই সুবিধাজনক স্কোর করতে পারেননি।

দলের হয় বিজয় ১, মুশফিকুর রহিম ১৮, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ২, সাব্বির রহমান ৬, নাসির হোসেন ২, মাশরাফি ০ ও সানজামুল ইসলাম করেন ১৯ রান। শেষ পর্যন্ত ১৮ রান করে মুস্তাফিজুর রহমান ও ৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন রুবেল হোসেন।জিম্বাবুয়ের হয়ে ক্রেমার ৪টি ও কাইল জারভিস নেন তিনটি উইকেট। একটি করে উইকেট তুলে নেন টেন্ডাই চাতারা ও সিকান্দার রাজা।

২১৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে টাইগারদের মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাড়ানোর আগে মাসাকাদজাকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান অধিনায়ক মাশরাফি। এর ছয় রান পর আবার আবার আঘাত করেন সাকিব। তিনি ফেরান মীরকে। একই ওভারের শেষ বলে টেইলরকে এলবি করে জিম্বাবুয়ে শিবিরে ভয়ের মাত্রা বাড়িয়ে দেন সাকিব। দলীয় ৩৪ রানে এরভিনকে নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করে জিম্বাবুয়েকে ব্যাকফুটে পাঠিয়ে দেন ম্যাশ।

এখান থেকে আর বের হতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। মাঝখানে সিকান্দার রাজা(৩৯), মুর(১৪), অধিনায়ক ক্রেমার(২৩) দলের হারকে বিলম্বিত করেন। বাংলাদেশের হয়ে সাকিব ৩টি, মাশরাফি, সানজামুল ও মুস্তাফিজ ২টি এবং রুবেল ১টি করে উইকেট লাভ করেন। ম্যাচে অসাধারণ পারফরম্যান্সের কারণে টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন।