• সোমবার , ২৯ এপ্রিল ২০২৪

শাহজালালে ‘আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে নিরাপত্তা ’ দিতে রেড়লাইনকে কাজ দিল সরকার


প্রকাশিত: ১০:২৬ পিএম, ২০ মার্চ ১৬ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১১২ বার

 

বিশেষ প্রতিবেদক  :  ঢাকার হজরত শাহজালালে  ‘আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে নিরাপত্তা ’ দিতে রেড়লাইনকে কাজ দিল সরকার।বিমানবন্দরের নিরাপত্তা 1ব্যবস্থাপনায় ব্রিটিশ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রেডলাইনকে নিয়োগের বিষয়টি অনুমোদন দিয়েছে ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।আজ রোববার বিকেলে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সভাপতিত্বে ক্রয়সংক্রান্ত কমিটির সভায় ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান রেডলাইনকে দুই বছরের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা ও কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।

এ জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে ৭৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা দিতে হবে।বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন আজ সন্ধ্যায় জানান, কাল সোমবার রেডলাইনের সঙ্গে এ ব্যাপারে চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে।এর আগে গতকাল শনিবার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কার্যালয়ে রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে এক বৈঠকে ব্রিটিশ বেসরকারি নিরাপত্তা কোম্পানি রেডলাইনকে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। রেডলাইন শুরুতে দুই বছরের জন্য ৭৫ কোটি টাকা দাবি করলেও আজকের বৈঠকে ৭৩ কোটি ২৫ লাখ টাকায় রাজি হয়।

বৈঠকের একটি সূত্র জানায়, দুই বছরের জন্য কাজ দেওয়া হলেও ছয় মাস পর প্রতিষ্ঠানটির কাজের মূল্যায়নের বিধান থাকবে চুক্তিতে। শনিবারের বৈঠকের পর রাশেদ খান মেনন  বলেছিলেন, ক্রয়সংক্রান্ত কমিটি অনুমোদনের পর ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ২১ মার্চের মধ্যে চুক্তি সই করা হবে।

এদিকে মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তাব্যবস্থাকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে উন্নয়ন, জনবলের প্রশিক্ষণ ও যন্ত্রপাতির যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত ও বাংলাদেশ থেকে সরাসরি কার্গোতে পণ্য পরিবহনে যুক্তরাজ্য আরোপিত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারকল্পে গঠিত স্টিয়ারিং কমিটির দ্বিতীয় সভা আজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় যুক্তরাজ্যের ডিপার্টমেন্ট অব ট্রান্সপোর্টের দেওয়া প্রস্তাবনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বেবিচকের প্রণীত টিপিপির ওপর আলোচনা হয়।সভায় জানানো হয়, যেহেতু ২০ থেকে ৩১ মার্চের মধ্যে বিমানবন্দরে দৃশ্যমান নিরাপত্তাব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে, সে কারণে যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধিদলের সুপারিশ করা পরামর্শক সেবা সরকারি ক্রয়নীতি (পিপিআর) ২০০৮-এর আওতামুক্ত করে গ্রহণ করতে হবে। এ জন্য একটি প্রস্তাব বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় অর্থনৈতিক-সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠাবে।

সভায় জানানো হয়, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বিধানের স্বার্থে সরকার যেকোনো ধরনের পদক্ষেপ নেবে।
উল্লেখ্য, ১৩ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকে পণ্য পরিবহনে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা ওঠানোর বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণে রাশেদ খান মেননকে চেয়ারম্যান করে ৭ সদস্যবিশিষ্ট স্টিয়ারিং কমিটি গঠিত হয়।নিরাপত্তার ‘আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে’ ঘাটতি থাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরাসরি পণ্য পরিবহনে যুক্তরাজ্য ৮ মার্চ থেকে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

৩১ মার্চ দুই দেশের সম্মত কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী নিরাপত্তা জোরদারের কাজ শুরু না হলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের যুক্তরাজ্যগামী সরাসরি ফ্লাইট নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারে। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ৮ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা চিঠিতে এ কথা জানান।এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ, ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা ও অঙ্গীকার তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪ মার্চ ডেভিড ক্যামেরনকে চিঠির জবাব পাঠান। ওই চিঠিতে দুই দেশের ঐতিহাসিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে বিবেচনায় নিয়ে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানান।