• রোববার , ৫ মে ২০২৪

৭৫-এর ঘটনা না ঘটলে আমরা মালয়েশিয়াকে ছাড়িয়ে যেতাম-এবিএম খায়রুল হক


প্রকাশিত: ২:০১ এএম, ২৩ আগস্ট ১৫ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭২ বার

justic khairul haque-www.jatirkhantha.com.bdবিশেষ প্রতিবেদক:   সাবেক প্রধান বিচারপতি ও আইন কমিশনের বর্তমান চেয়ারম্যান এবিএম খায়রুল হক বলেছেন, ৭৫ এর ঘটনা না ঘটলে আমরা মালয়েশিয়াকেও ছাড়িয়ে যেতে পারতাম। কাউকে আর মালয়েশিয়া পাঠাতে হতো না।শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা একটি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আবুল বারকতের লেখা ‘বঙ্গবন্ধু- সমতা, সাম্রারাজ্যবাদ’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
খায়রুল হক বলেন, আমরা যে বাঙালি সেই আইডেন্টিটি দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এটিই তার সবচেয়ে বড় অবদান। তিনি ছিলেন সাগরের মতো, তার হৃদয় ছিল বিশাল।

বিচারকের স্বল্পতা নিয়ে তিনি বলেন, এক প্যারাসিটামলের মামলা শেষ করতেই ২৩ বছর কেটে গেল। তাও মাত্র নিম্ন আদালতেই। এখনও হাইকোর্ট বাকি রয়েছে। তারপর আপিল বিভাগ। সবাই সমালোচনা করলেও ৩০ লাখ মামলার বোঝা নিয়েই আমাদের বিচারকদের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। আমেরিকায় ২০ হাজার লোকের জন্য একজন বিচারক। ভারতে ৮০ হাজারে ছিল তারা তা ৬৭ হাজারে নামিয়ে এনেছে। আর আমাদের এখানে ১ লাখ ৫২ হাজার লোকের জন্য একজন বিচারক মাত্র। তাই এই জায়গায় আমাদের আরও এগিয়ে আসতে হবে।

সম্প্রতি শিশু নির্যাতনের বিষয়ে তিনি বলেন, আমার মনে হয় সম্ভবত ‘স্যাডিস্ট মাইন্ড’ থেকে এটি হচ্ছে। আমরা ঐতিহ্য ভুলে যাচ্ছি, মূল্যবোধ ভুলে যাচ্ছি। যার জন্য বাঁচি সেটিই ভুলে যাচ্ছি। তাই আমাদেরকে মূল্যবোধের দিকে ফিরে আসতে হবে।জনগণকে দেশের প্রকৃত মালিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের সংবিধানে স্পষ্ট বলা আছে জনগণই দেশের প্রকৃত মালিক। তাই সরকারি কর্মকর্তাদেরকে জনগণের সেবক হতে হবে।তিনি আরও বলেন, আমরা কারও প্রভুত্ব করতে চাই না এবং কাউকে প্রভুত্ব করতেও দিব না।

এরআগে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করতে হবে, তার কথা বলতে হবে। বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে এদেশে রাজনীতি করা যাবে না। আর তাকে হত্যা করা হয়েছিল দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে ষড়যন্ত্র করে।

বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আশরাফ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন ব্যারিস্টার এম আমীর-উল-ইসলাম, কে এম শফিউল্লা, ড.একে আজাদ চৌধুরী ও অধ্যাপক মাহফুজা খানম প্রমুখ।