• রোববার , ১৯ মে ২০২৪

৪দিনের প্রবল বৃষ্টিপাত-পাহাড়ি ঢলে-সারাদেশ থেকে বান্দরবান বিচ্ছিন্ন


প্রকাশিত: ৩:২৮ পিএম, ৬ জুলাই ১৬ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৪৮ বার

বান্দরবান প্রতিনিধি   :   টানা চারদিনের প্রবল বৃষ্টিপাতে পাহাড়ি ঢলে বান্দরবান-চট্টগ্রাম সড়কের bandorban-www.jatirkhantha.com.bdবাজালিয়া,দৌরিয়ারহাট ও আমতলী এলাকা তলিয়ে যাওয়ায় বুধবার সকাল থেকে বান্দরবান জেলা সদর সারাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।এর আগে মঙ্গলবার সকাল থেকেই বন্ধ হয়ে গেছে বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সড়ক যোগাযোগ।

বান্দরবান জেলা সদরের অদুরে পাইনছড়া খালের ওপর থাকা বেইল সেতু প্রায় ২০ফুট বানের পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় এ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।জেলা সদরের সঙ্গে রুমা উপজেলার সদরের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে বুধবার সকাল থেকে। খুমিঘাট এলাকায় পাহাড়ের অংশ ধসে পড়ে এ সড়কপথ বন্ধ হয়ে যায়।

1জেলা শহরের অদুরে কালাঘাটা-রোয়াংছড়ি সীমানায় বানের পানিতে সেতু তলিয়ে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রোয়াংছড়ি উপজেলার সঙ্গে। প্রবল বর্ষণজনিত পাহাড়ি ঢলের জেলার সাংগু,মাতামহুরী এবং বাঁকখালী নদীতে পানির প্রবাহ বিপদসীমার ১০/১২ফুট ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে গত মঙ্গলবার সকাল থেকে।

পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যা ও প্রবল বর্ষণ অব্যাহত থাকায় মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। পবিত্র ইদুল ফিতরের আনন্দ ম্লান হয়ে পড়েছে। তবে জেলা প্রশাসন সুত্র জানায়, চালসহ পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ রয়েছে এবং বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন কাজ শুরু করেছে।

মাঝারি বর্ষণ অব্যাহত থাকায় জেলায় ব্যাপক এলাকা বন্যায় তলিয়ে গেছে। গত সোমবার ভোর রাতেই তালিয়ে গেছে জেলা শহর এবং লামা উপজেলা সদরের নিচু এলাকার শত শত ঘরবাড়ি।বান্দরবান শহর এবং লামা উপজেলা সদরে ১২টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র খুলেছে প্রশাসন ও পৌরকর্তৃপক্ষ।

এসব আশ্রয় কেন্দ্রে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত প্রায় ৪০০ পরিবার আশ্রয় গ্রহণ করেছে। তাদের মাঝে খিচুড়ি বিতরণ করা হচ্ছে প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষ থেকে। পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিতে বসবাসরত পরিবারগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

বান্দরবান শহরের অদুরে পুলপাড়া এলাকায় প্রবল বর্ষণে পাইনছাড়া খালে বানের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রায় ২০ফুট নিচে তলিয়ে গেছে বেইলিসেতু ও সড়কপথ। ফলে জেলা সদরের সঙ্গে রাঙ্গামাটির সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে মংগলবার ভোর থেকেই।

টানা বর্ষণে উজান থেকে নেমে আসা পানিতে বান্দরবান-চট্টগ্রাম প্রধান সড়কের বাজালিয়া,বাইতুল ইজ্জত,দৌরিয়ারহাট ও আমতলী এলাকা তলিয়ে যাওয়ায় বুধবার সকাল থেকেই বান্দরবান জেলার সঙ্গে সারাদেশের সড়কপথের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

জেলা শহরের ১২টি এলাকা এবং লামা উপজেলা সদরের আটটি এলাকাসহ নিচু এলাকাসমুহ বানের পানিতে তলিয়ে গেছে। বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতির আশংকা করা হচ্ছে। প্রবল বর্ষণজনিত কারণে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ মসজিদ ভিত্তিক অনুষ্ঠিত হবে বলে প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে।