• বৃহস্পতিবার , ২ মে ২০২৪

সুখী মানুষের দেশ হচ্ছে ভুটান


প্রকাশিত: ১১:২৩ এএম, ৩ ডিসেম্বর ১৫ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১২৯ বার

প্রিয়া রহমান:  সুখী মানুষের দেশ হচ্ছে ভুটান। ভুটানে জীবvutan-www.jatirkhantha.com.bdনযাত্রার মান ক্রমে উন্নত হচ্ছে। এতে বাড়ছে মানুষের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য। বাড়ছে সামাজিক দূরত্বও। সম্প্রতি দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেরিং টবগে এ কথা বলেছেন। এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, মানুষ আধুনিকতাকে আলিঙ্গন করতে গিয়ে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে আপনজন ও ঐতিহ্যকে।ভুটান একমাত্র দেশ, যারা মোট দেশজ উৎপাদন দিয়ে দেশের সফলতা পরিমাপ না করে মোট জাতীয় সুখ দিয়ে তা পরিমাপ করে থাকে। চার দশক আগে দেশটির সে সময়ের রাজা এই নীতি প্রবর্তন করেন। সম্প্রতি ২০১৫ সালের জাতীয় সুখের সূচক প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেরিং টবগে।

২০১৫ সালে প্রকাশিত ভুটানের ৭ হাজার ১৫৩ জনের ওপর পরিচালিত প্রতিবেদনটি দেশের জাতীয় পর্যায়ের সুখ পরিমাপের দ্বিতীয় প্রতিবেদন। ২০১০ সালের প্রথম প্রতিবেদনে সুখের সূচক ছিল দশমিক ৭৪৩। ২০১৫ সালের দ্বিতীয় প্রতিবেদনে তা বেড়ে দাঁড়ায় দশমিক ৭৫৬। নয়টি ভিন্ন ভিন্ন উপাদানের ওপর ভিত্তি করে এই সুখ পরিমাপ করা হয়। উপাদানগুলোর মধ্যে আছে মানসিক কল্যাণ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, একসঙ্গে থাকার প্রয়োজনীয়তা ও জীবনযাত্রার মান।

২০১৫ সালের জরিপে দেখা যায়, দেশের মানুষ চিরন্তন সামাজিক রীতিনীতি ভেঙে আধুনিকতাকেই আলিঙ্গন করছে।সূচক প্রকাশকালে শেরিং টবগে বলেন, সার্বিকভাবে মানুষের সুখী হওয়ার প্রবণতাটা বাড়ছে। দেশটি দিন দিন আধুনিক হচ্ছে। কিন্তু এই আধুনিকতা গ্রামীণ মানুষের মধ্যে আন্তরিকতা দূর করছে। এতে সামাজিক বিচ্ছিন্নতা বাড়ছে। তিনি বলেন, ‘জরিপে আমরা দেখেছি, ২০১০ সালের চেয়ে জীবনযাত্রার মান, স্বাস্থ্য ও সময় ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু উন্নতি হয়েছে।’

টবগে বলেন, ভুটানের যে ‘ঐকতানের নীতি’ ছিল, দিন দিন তা দুর্বল হচ্ছে। মানুষের একসঙ্গে থাকার যে একটি ইচ্ছা ছিল, সেটাও দিন দিন কমে যাচ্ছে। মানুষের আত্মিক ব্যাপারগুলো সামনে নিয়ে আসার একটি ঐতিহ্য ছিল। গত পাঁচ বছরে মানুষের সেই প্রবণতা কমে এসেছে।

জাতীয় সুখ প্রতিবেদনটির প্রধান লেখক দাশু কর্ম উরা বলেন, সামাজিক বিচ্ছিন্নতার একটি বড় কারণ দেশের গ্রামাঞ্চল থেকে তরুণ বয়সীরা বাবা-মাকে ফেলে শহরের দিকে চলে আসছেন। এর ফলে সামাজিক পরিবর্তন ঘটছে ঠিকই, তবে ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে মানুষ ভুলে যাচ্ছে।