• সোমবার , ২৯ এপ্রিল ২০২৪

সায়েদাবাদ-গুলিস্তানে কোটি টাকার চাঁদার খনি নিয়ন্ত্রণে মুখোমুখি মন্ত্রী-এমপির সমর্থকরা


প্রকাশিত: ৮:২৬ পিএম, ২১ জুন ১৬ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৯২ বার

এস রহমান   :  কোটি টাকার চাঁদার দখল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সায়েদাবাদ-গুলিস্তানে সড়ক অবরোধ 22করছে প্রতিপক্ষ শ্রমিকরা।এদের এক পক্ষ মন্ত্রী শাহজাহান খানের নেতৃত্বে অপরপক্ষ এমপি হাবিবুর রহমান মোল্লার নেতৃত্বে।দুই নেতার ক্ষমতার লড়াইয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সাধারন মানুষ। সরেজমিনে সাধারন শ্রমিকরা জাতিরকন্ঠকে এতথ্য জানিয়েছেন।

সরেজমিনে শ্রমিকরা জানান, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে শ্রমিকদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও রাস্তা বন্ধ করে ধর্মঘটের নেপথ্যে রয়েছে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব। ক্ষমতাসীন দলের একজন মন্ত্রী ও একজন এমপি’র নিয়ন্ত্রণাধীন শ্রমিক সংগঠনের মধ্যে বিরোধের প্রকাশ্য রূপ ছিল এটি। ফলে গত দুইদিন ধরে গুলিস্তান থেকে শুরু করে সায়েদাবাদ পর্যন্ত ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। চলাচলে চরম ভোগান্তিতেও পড়তে হয় হাজার হাজার যাত্রীকে।
flyover-www.jatirkhantha.com.bd
জানা গেছে, ঢাকা জেলা শ্রমিক ইউনিয়ন নামের সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান এর অনুসারী। অন্যদিকে ঢাকা আন্তঃজেলা শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লা’র অনুসারী।

নৌপরিবহনমন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের আশীর্বাদপুষ্ট এই দুই শ্রমিক সংগঠনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল চাঁদার দখল ও টাকার ভাড়াভাড়ি নিয়ে। অন্যান্য স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর সঙ্গে ‘পরিবহন কার্যালয়ের দখলদারি’ নিয়েই চলছে মূল বিরোধিতা।

দীর্ঘদিন ধরে কার্যালয়টি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের দখলে ছিল। ১৯ জুন রোববার সন্ধ্যার পর এটি দখল করে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান সমর্থিত ঢাকা জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের শ্রমিকরা।

এ কারণে ২০ জুন দুই পক্ষের সংঘর্ষের জের ধরে বেলা পৌনে একটার দিকে মেয়র হানিফ উড়াল সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। সংঘর্ষ চলার সময় যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঘণ্টাব্যাপী বন্ধ থাকার পর যান চলাচল পুনরায় শুরু হয়।

আধিপত্য বিস্তারের এ দ্বন্দ্বে আজ মঙ্গলবার ভোর ছয়টা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট রুটে দূরপাল্লার বাস চলাচল বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত বন্ধ ছিল। বঙ্গভবনের পূর্ব দিকে পরিবহন কার্যালয় দখলকে কেন্দ্র করে ঢাকা জেলা শ্রমিক ইউনিয়ন ও ঢাকা আন্তঃজেলা শ্রমিক ইউনিয়ন নামের দু’টি সংগঠন এ বিরোধে জড়ায়।

সংঘর্ষের জের ধরে গতকাল সোমবার মেয়র হানিফ উড়াল সড়কে যান চলাচল বেশ কিছু সময় ধরে বন্ধ থাকে। আজ সকাল ছয়টা থেকে দুই রুটে আবারও বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। হঠাৎ করে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন হাজার হাজার যাত্রী।

এ ব্যাপারে ঢাকা-কুমিল্লা রুটে চলাচলকারী একটি পরিবহন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘দুটি শ্রমিক সংগঠনের কারণে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এটি কোনো বাস কোম্পানির সমস্যা নয়। ওই সংগঠনগুলোর কারণে আমাদের বাস চলাচল বন্ধ রাখতে হয়েছে।’