• শনিবার , ২৭ এপ্রিল ২০২৪

সাত খুন-পরিকল্পনাকারী-ষড়যন্ত্রকারী এবার বিচারের মুখোমুখি


প্রকাশিত: ১:৩৩ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর ১৫ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩৪ বার

7-marder-www.jatirkhantha.com.bd7-marder-naraongong-www.jatirkhantha.com_.bd_হাইকোর্ট রিপোর্টার:   সাত খুন-পরিকল্পনাকারী-ষড়যন্ত্রকারী এবার বিচারের মুখোমুখি ।আলোচিত সাত খুন মামলায় ষড়যন্ত্রের দণ্ডবিধির ধারা ১২০/বি অন্তর্ভুক্ত করতে নারায়ণগঞ্জের দায়রা জজকে নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদেশে বলা হয়েছে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চাইলে পুনরায় বা অতিরিক্ত তদন্ত করতে পারেন।

আজ সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতির আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
দণ্ডবিধির ১২০/বি ধারায় বলা আছে, কেউ যদি ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনা করে, তাদের এই ধারায় বিচার করা যাবে।
হাইকোর্টের আদেশে বলা হয়েছে, এই খুনে যারা ষড়যন্ত্রকারী, সেই অপরাধ অনুযায়ী অভিযোগপত্রে দণ্ডবিধির ১২০ /বি ধারায় তা অন্তর্ভুক্ত করেননি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।

ওই আদেশে বলা হয়, ফৌজদারি কার্যবিধি মোতাবেক তদন্ত সংস্থার পুনরায় তদন্ত করার সম্পূর্ণ ক্ষমতা আছে। প্রথম তদন্ত প্রতিবেদনের পরও তাঁরা যদি মনে করেন, পুনরায় বা অতিরিক্ত তদন্তের প্রয়োজন, তাহলে তাঁরা তা করতে পারেন। সেখানে যদি কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপরাধের তথ্যপ্রমাণ পান, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধেও অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দিতে পারেন।

এ ব্যাপারে নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলামের আইনজীবী মন্টু চন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘এই মামলার অধিকতর তদন্ত চেয়ে নারায়ণগঞ্জের জেলা দায়রা জজ আদালতে রিভিশন (পুনর্বিবেচনার) করেছিলাম। কিন্তু ওই আদালত তা নাকচ করে দেন।

এরপর ওই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করি। এর শুনানি শেষে আদালত এ মামলায় বা অপরাধে ষড়যন্ত্রকারী দণ্ডবিধি ১২০ /বি অন্তর্ভুক্ত করতে আদেশ দিয়েছেন।’ তিনি বলেন, একই সঙ্গে আদালত বলেছেন, অধিকতর তদন্ত করতে আদালতের অনুমতির প্রয়োজন নেই। তদন্ত কর্মকর্তা চাইলে তিনি অধিকতর তদন্ত করতে পারেন।

আদালতের আদেশের পর সেলিনা ইসলাম বলেন, ‘এই হত্যায় যারা পরিকল্পনাকারী ও ষড়যন্ত্রকারী, তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে চাই। এ জন্য নূর হোসেনকে রিমান্ডে নিলে এ হত্যার আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে।’ এ কথা বলার সময় আবেগাপ্লুত কণ্ঠে সেলিনা ইসলাম বলেন, কেন নূর হোসেন এই সাতজনকে হত্যা করল, কেন সাতটা পরিবার ধ্বংস করল, তা জাতির সামনে পরিষ্কার করা হোক।

গত ৮ এপ্রিল সাত খুনের এ মামলায় র‍্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তা, কাউন্সিলর নূর হোসেনসহ ৩৫ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। কিন্তু অভিযোগপত্রে এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামিকে বাদ দেওয়ায় ১১ মে অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন করেন নিহত নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি।

৮ জুলাই নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালত ওই নারাজি আবেদন খারিজ করে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। পরে সেলিনা ইসলাম নারাজি আবেদন পুনর্বিবেচনার (রিভিশন) আবেদন করলে ৯ নভেম্বর ওই আবেদনও খারিজ করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এরপর তিনি বিচারিক আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে ফৌজদারি রিভিশন আবেদন করেন। গত ২৯ নভেম্বর ওই আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়।

গত বছরের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। পরে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তাঁদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম ও চন্দনের জামাতা পৃথক দুটি মামলা করেন।