• মঙ্গলবার , ৭ মে ২০২৪

সম্ভ্রমহানির দাম ৫ হাজার টাকা-ক্ষোভে গৃহবধূর আত্মহত্যার চেষ্টা


প্রকাশিত: ৬:৩০ পিএম, ১০ জুন ১৬ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫৮ বার

 

বোয়ালমারী  প্রতিনিধি : ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ময়না ইউনিয়নের বানিয়াবাড়ী shelotahani-www.jatirkhantha.com.bdsগ্রামে সম্ভ্রমহানির উপযুক্ত বিচার না পেয়ে শুক্রবার দুপুরে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় দুই সন্তানের জননী রিনা বেগম নামের এক গৃহবধূ।

বর্তমানে অসুস্থ্য অবস্থায় তাকে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টার সাথে জড়িতদের গ্রাম্য মাতুব্বরেরা মূল ঘটনাটি ধামাচাপা দিয়ে জড়িতদের নামমাত্র জরিমানা করায় রাগে ও ক্ষোভে ঐ গৃহবধূ আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় বলে জানাগেছে। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বানিয়াবাড়ী গ্রামের দরিদ্র ভ্যানচালক রাজ্জাক শেখের স্ত্রীকে সম্প্রতি একা পেয়ে প্রতিবেশী সিরাজ শেখের লম্পট পুত্র উচমান শেখ ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ ঘটনায় রিনা বেগম আইনের আশ্রয় নিতে গেলে গ্রাম্য মাতুব্বরেরা বিচার করবেন বলে তাকে থানায় যেতে নিষেধ করে। পরে একাধিক বার শালিস বৈঠকে বসার কথা বলা হলেও গ্রাম্য মাতুব্বরদের অসহযোগীতার কারণে সালিশ হয়নি।

পরে এলাকাবাসীর চাপের মুখে শুক্রবার সালিশ বসে গ্রাম্য মাতুব্বর নবীর হোসেনের বাড়িতে। সালিশে অংশ নেন বানিয়াবাড়ীর নবীর হোসেন, ছামাদ ফকির, আখালী পাড়ার জালালউদ্দিন, চরবর্নি গ্রামের পাখী মোল্যা, আনিসুর রহমান, বছির মোল্যাসহ কয়েক মাতুব্বর। সালিশে অভিযুক্ত উচমানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এতে উপস্থিত গ্রামবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হলেও গ্রাম্য মাতুব্বরেরা তাদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন।

এদিকে, নামমাত্র জরিমানার খবর শুনে রাগে, ক্ষোভে গুল খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান রিনা বেগম। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, উচমান দীর্ঘদিন ধরে রিনা বেগমসহ গ্রামের কয়েক নারীকে বিভিন্ন ভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। রিনা বেগমের স্বামী ভ্যানচালক রাজ্জাক শেখ জানান, বিচারের নামে যা হয়েছে তা সাজানো। গ্রাম্য মাতুব্বরো টাকা খেয়ে লম্পট উচমানকে বাঁচিয়ে দিয়েছে। তিনি এ ঘটনার সঠিক বিচার চান।

এদিকে, শালিসে অংশ নেয়া গ্রাম্য মাতুব্বর জালালউদ্দিন জানান, রায় সঠিক হয়েছে। সবাই যা ভালো বুঝেছেন তাই করেছেন।
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, এ বিষয়ে তিনি অবগত নন। অভিযোগ পেলে তিনি যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।