‘সন্ত্রাসী দল’-বদনাম ঘোচাতে কানাডা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে খালেদা’র বৈঠকের তদবির
ডেস্ক রিপোর্টার : কানাডার আদালত বিএনপিকে ‘সন্ত্রাসী দল’ বলার টনক নড়েছে বিএনপি’র। ‘ বিএনপি সন্ত্রাসী দল’ এ-বদনাম ঘোচাতে এবার নেতারা কানাডা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে খালেদা’র বৈঠকের তদবির করছেন। এমনকি ঘটনার নেপথ্যে কেউ ঘুঁটি নাড়ছেন কিনা তারও খোঁজখবর নিচ্ছেন।
ইতিমধ্যে কানাডার আদালতের রায়ের অনুলিপি তুলেছেন দলটির নেতারা। এবার তারা কানাডা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চিন্তা করছেন। ২৩ ফেব্রুয়ারি দলটির দুজন সিনিয়র নেতা এ নিয়ে ঢাকাস্থ কানাডিয়ান দূতাবাসে গিয়ে প্রাথমিক আলোচনা করেছেন।
একই সঙ্গে নেতারা খোঁজ-খবর নিচ্ছেন রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়া মোহাম্মদ জুয়েল হোসেন গাজীরও ব্যাপারে’ও। দলটির নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সরকারের প্রভাবশালী একটি গোয়েন্দা সূত্র জানান, ২৩ ফেব্রুয়ারি সকালে কানাডার দূতাবাসে যান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
যদিও আমির খসরু জানান, ‘তারা প্রায় মাস খানেক আগের পাওয়া একটি মধ্যাহ্ন ভোজে অংশ নিতেই দূতাবাসে গিয়েছেন। একটি ডেলিগেশনে অংশ নিতেই দূতাবাসে গেছেন তারা।’ গোয়েন্দা সূত্র জানায়, কানাডার আদালত বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল ঘোষণার পর ঢাকাস্থ কানাডা দূতাবাসে আসেন দলটির দুই নেতা।নেতারা খুব শিগগির কানাডার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বৈঠকের জন্যেও তদবির করেছেন।
সূত্রে জানা গেছে, কানাডার আদালতের রায়ের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে বিএনপি। এক্ষেত্রে দলটির কয়েকটি টিম কানাডার প্রবাসী বিএনপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়া জুয়েল হোসেনের বিস্তারিত বিবরণ সংগ্রহ করার চেষ্টা চলছে। আশ্রয় চাওয়া ব্যক্তির সন্ধান ঠিকঠাক পেলেই কানাডার উচ্চ আদালতে আপিল করার বিষয়টি নিয়ে ভাববে বিএনপি।
আমির খসরু জানান, তার কাছে রায়ের কপি আছে। রায় পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করেই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন তারা। শুক্রবার তিনি বলেন, ‘এটা কোর্টের বিষয়। কানাডার সরকারের কাছে আমরা কিছু জানাবো কিনা, এ নিয়েও কোনও সিদ্ধান্ত বা আলোচনা হয়নি। যে ব্যক্তি আবেদন করেছেন, তাকেও আমি চিনি না। ফলে, খোঁজ-খবর নিচ্ছি। এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।’
২২ ফেব্রুয়ারি বুধবারই বিএনপিকে কানাডার একটি আদালত সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে মূল্যায়ন করেছে বলে খবর প্রচার হয়। একই দিনে ঢাকার কয়েকটি গণমাধ্যমেও খবরটি প্রকাশিত হয়।
পরেরদিন সকালেই নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দাবি করেন, কানাডার আদালতের রায়ে বিএনপিকে ‘সন্ত্রাসী দল’ হিসেবে যে পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছে তার পেছনে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীনদের চক্রান্ত আছে। নির্বাচনের আগে জনগণের মধ্যে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করতে এসব নাটক সাজাচ্ছে ক্ষমতাসীনরা।