• সোমবার , ৬ মে ২০২৪

শিক্ষক রেজাউল হত্যার আসামী গ্রেপ্তার শিবির নেতা হাফিজুরের মৃত্যু


প্রকাশিত: ৫:১৯ পিএম, ১৯ মে ১৬ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১২৭ বার

বিম্ববিদ্যালয় রিপোর্টার   :   রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া শিবির নেতা হাফিজুর রহমানের মৃত্যু 2হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। চিকিৎসকেরা বলছেন, রক্তস্বল্পতাজনিত জটিলতার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক গাজী সাইফুল আলম চৌধুরী জানান, হাফিজুর রহমান বংশগতভাবে রক্তস্বল্পতাজনিত একটি রোগে ভুগছিলেন।

আটক হওয়ার আগেও তিনি হেমাটোলজি বিভাগের চিকিৎসক মাইনুদ্দিনের কাছে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। গত মঙ্গলবার বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে বিকেল তিনটা ১০ মিনিটের দিকে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আজ ভোর সাড়ে চারটার দিকে রক্তস্বল্পতাজনিত জটিলতার কারণে তাঁর হার্ট ও ফুসফুস কাজ বন্ধ করে দিলে মৃত্যু হয়।ময়নাতদন্ত শেষে বেলা পৌনে একটার দিকে হাফিজুরের লাশ নগরের ছোটবনগ্রাম পশ্চিমপাড়ায় নিজেদের বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়। এ সময় তাঁর বড় ভাই আব্দুল হালিম সাংবাদিকদের বলেন, হাফিজুর অসুস্থ ছিল। এ জন্য তাঁরা তাকে যে ওষুধ খাওয়াতেন, পুলিশ ধরে নিয়ে যাওয়ার পর আর সেই ওষুধ খাওয়ানো হয়নি। এ কারণেই তাঁর ভাই মারা গেছে।

শিক্ষক রেজাউল করিম হত্যার ঘটনার দিন (২৩ এপ্রিল) রাতেই আটক করা হয়েছিল হাফিজুর রহমানকে। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ও রাজশাহী নগরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি ছিলেন। চার দিনের রিমান্ড শেষে ১ মে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে পুলিশ হাফিজুরের কোনো সংশ্লিষ্টতা পায়নি। তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক রেজাউস সাদিক তখন বলেছিলেন, হাফিজুরের কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে সেগুলো তারা যাচাই বাছাই করে দেখছেন।

গত মঙ্গলবার রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. শামসুদ্দিন সংবাদ সম্মেলন করে জানান, তারা মাসকাওয়াত হাসান সাকিব ওরফে আব্দুল্লাহ নামের একজন জেএমবি সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। মাসকাওয়াত গত সোমবার বিকেলে রাজশাহী মহানগর হাকিম আদালতে হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাতে বলেছেন তারা তিনজন হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন এবং আরও একজন মোটরসাইকেল নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। সেই চারজনের মধ্যে হাফিজুর নেই।

এরপর সাংবাদিকেরা পুলিশ কমিশনারের কাছে জানতে চান হাফিজুরকে ছেড়ে দেওয়া হবে কি না। জবাবে তিনি বলেন, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কাউকে ছেড়ে দেওয়া হবে না।গত ২৩ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নগরের শালবাগান এলাকায় নিজ বাসার সামনে শিক্ষক রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় তাঁর ছেলে রিয়াসাত ইমতিয়াজ সৌরভ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে নগরের বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় প্রথম হাফিজুর রহমানকে আটক করা হয়।