• মঙ্গলবার , ৭ মে ২০২৪

শাশুড়িকে বোঝার চেষ্টা-মন জয়ের কৌশল


প্রকাশিত: ২:১৩ পিএম, ১২ নভেম্বর ১৪ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩৪৫ বার

bou-1

লাবণ্য চৌধুরী.ঢাকা:
বউ-শাশুড়ির দ্বন্দ্ব মোটেও নতুন কোনো বিষয় নয়। তুচ্ছ নানা কারণে খিটিমিটি লেগে যেতে পারে বউ-শাশুড়ি সম্পর্কের মধ্যে।এতে করে সংসারে অশান্তির ঢেউ ওঠে। কখনো কখনো বিচ্ছেদের মতো কঠিন পরিস্থিতিও তৈরি হয়।

শাশুড়ির মন জয় করতে পারলে এসব ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। সম্প্রতি টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে শাশুড়ির মন জয়ের কয়েকটি উপায়ের কথা বলা হয়েছে। এসব মেনে চলতে পারলে শাশুড়ির সঙ্গে সুন্দর একটি সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে আপনার।

শাশুড়িকে বোঝার চেষ্টা-
বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে সম্পূর্ণ নতুন পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে আপনাকে যথেষ্ট বেগ পেতে হতে পারে।কারণ নতুন বাড়ির রীতি-রেওয়াজ, সংস্কার বা অন্যান্য বিষয় শুরুর দিকে আপনার জানা থাকে না। সবকিছু না জেনে ভুলেও আগ বাড়িয়ে কোনো মন্তব্য করতে যাবেন না। শাশুড়ির পছন্দ-অপছন্দসহ তাঁর খুঁটিনাটি নানা বিষয় জানার চেষ্টা করুন। এ ক্ষেত্রে স্বামীর সহায়তা নিতে পারেন আপনি। শাশুড়ি টিভি সিরিয়াল দেখতে পছন্দ করলে মাঝেমধ্যে টিভি সিরিয়ালের কাহিনি বা চরিত্র নিয়ে শাশুড়ির সঙ্গে আলাপ জুড়ে দিতে পারেন। এতে করে আপনাদের সম্পর্কের বরফ গলবে এবং ধীরে ধীরে সুন্দর একটি সম্পর্ক গড়ে উঠবে।

উপহার

উপহার পেতে কে না ভালোবাসে! শাশুড়ির মন জয় করতে চাইলে কোনো উপলক্ষকে কেন্দ্র করে বা কোনো উপলক্ষ ছাড়াই মাঝেমধ্যে তাঁকে উপহার দিন। অবশ্যই শাশুড়ি আপনার এই ভালোবাসার মূল্য দেবেন।

প্রতিযোগিতা নয়
মা হিসেবে ছেলের প্রতি কর্তৃত্বপরায়ণ হবেন আপনার শাশুড়ি। এই বাস্তবতাকে মেনে নিন। তাঁর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় না নামাই ভালো। হয়তো আপনার স্বামী আপনার হাতের রান্না করা খাবার খেতেই বেশি পছন্দ করেন। সাবধান, বিষয়টি শাশুড়িকে বুঝতে দেবেন না। শাশুড়ি হেঁশেলে ঢুকলে কখনোই তাঁকে বলতে যাবেন না, ছেলের জন্য কীভাবে রাঁধবেন তিনি। বরং তাঁর রান্নার প্রশংসা করুন। তাঁর কাছ থেকে রান্নার কিছু কৌশলও শিখে নিতে পারেন।

শিষ্টাচার
শাশুড়ির চোখে লক্ষ্মী মেয়ে হতে না পারলেও অন্তত তাঁর সঙ্গে মার্জিত আচরণ করুন। তিনি যা বলছেন তার ওপর কথা না বলাই ভালো। যুক্তি, পাল্টা যুক্তি কিংবা বিতর্ক এড়িয়ে চললে ক্ষতি কী!

ফোনে হলেও যোগাযোগ-
শাশুড়ির কাছ থেকে দূরে থাকলে সময়-সুযোগ পেলেই নির্দিষ্ট বিরতিতে ফোন দিয়ে তাঁর খোঁজ-খবর নিতে পারেন। তিনি কখন আপনাকে ফোন করবেন সেই অপেক্ষায় না থেকে নিজ থেকেই ফোন দিন। আপনি নিয়মিত ফোনে যোগাযোগ রাখলে আপনার শাশুড়ি উপলব্ধি করবেন, দূরে থাকলেও আপনি তাঁর খেয়াল রাখছেন। বিষয়টি আপনাদের সম্পর্কে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
পরামর্শ নিন
কোনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার আগে শ্বশুর-শাশুড়ির পরামর্শ বা উপদেশ নিন। এমনটি করলে তাঁরা এই ভেবে খুশি হবেন যে, সন্তানের জীবনে তাঁদের প্রভাব ফুরিয়ে যায়নি।

bou-2www.jatirkhantha.com.bdউদ্বেগ নয়
শাশুড়ির সামনাসামনি হলে অস্বস্তি বোধ করলেও ভড়কে যাবেন না। শান্ত থাকুন। মনে রাখবেন, আপনার শাশুড়িও আপনার মুখোমুখি হলে কিছুটা অস্বস্তিতে থাকতে পারেন। সামনাসামনি হলে জড়সড় হয়ে না থেকে সহজ-স্বাভাবিক আচরণ করুন। তাহলে শাশুড়িও আপনার সঙ্গে সহজ হতে পারবেন।
দ্বন্দ্ব থাকলেও অন্যের সামনে না-

একসঙ্গে থাকলে নানা কারণে শাশুড়ির সঙ্গে মন-কষাকষি হতেই পারে। কিন্তু আপনাদের ভেতরের এই দ্বন্দ্ব বাইরের মানুষদের বুঝতে দেওয়া ঠিক হবে না। কোনো পারিবারিক অনুষ্ঠানে পরিবারের বাইরের সদস্যদের সামনে শাশুড়ির বদনাম না করাই ভালো।

স্বামীর সঙ্গে ভালো ব্যবহার
প্রত্যেক বাবা-মা তাঁদের সন্তানকে সুখী দেখতে চান। শ্বশুর-শাশুড়ির সামনে পারতপক্ষে স্বামীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করবেন না। শ্বশুর-শাশুড়ির সামনে স্বামীর সঙ্গে ভালো ব্যবহার করলে তাঁদের শ্রদ্ধা অর্জন করতে পারবেন আপনি।
পরিপাটি থাকুন
নিজের সন্তুষ্টির পাশাপাশি শাশুড়ির মন জয়ের অন্যতম উপায় হতে পারে পরিপাটি থাকা। অপরিষ্কার পোশাক কিংবা এলোমেলো চুলে না থেকে পরিপাটি থাকার চেষ্টা করুন।