• বৃহস্পতিবার , ২ মে ২০২৪

লুটেরা পোটনকে ধরতে মামলা


প্রকাশিত: ৯:০৯ পিএম, ২৭ নভেম্বর ২৩ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩২ বার

৫৮২ কোটি টাকার সার লুট সাবেক এমপি’র

বিশেষ প্রতিনিধি : ৫৮২ কোটি টাকার বেশি মূল্যের প্রায় ৭২ হাজার টন সার আত্মসাতের দায়ে নরসিংদী-২-এর সাবেক সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খান পোটনসহ পোটন ট্রেডার্সের পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রাজধানীতে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক রফিকুজ্জামান বাদী হয়ে সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করেন।

দুদকের সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের জানান, উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ হাতে পেয়ে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় কামরুল আশরাফ খান পোটন ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন পোটন ট্রেডার্সের মহাপরিচালক মো. শাহাদত হোসেন, প্রতিষ্ঠানটির মহাব্যবস্থাপক মো. নাজমুল আলম বাদল, উত্তরবঙ্গ প্রতিনিধি মো. সোহরাব হোসেন ও খুলনা ও নওয়াপাড়া প্রতিনিধি মো. আতাউর রহমান।

এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ২০২১-২২ অর্থবছরে সরকারের সঙ্গে চুক্তি করে বিদেশ থেকে ইউরিয়া সার আমদানি করেন। কিন্তু আসামিরা শর্ত ভঙ্গ করে বাফার গুদামে না দিয়ে ৫৮১ কোটি ৫৮ লাখ ৯ হাজার টাকার প্রায় ৭২ হাজার টন সার আত্মসাৎ করেছেন। চুক্তি অনুযায়ী পোটন ট্রেডার্সের ৫০ দিনের মধ্যে বাফার গুদামে সার পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল। সেটা না করে সার ট্রানজিটে রয়েছে বলে বিসিআইসিকে মিথ্যা তথ্য দেওয়া হয়েছে।

২০২১-২২ অর্থবছরে জিটুজি চুক্তির আওতায় মধ্যপ্রাচ্যের তিনটি দেশ সৌদি আরব, দুবাই ও কাতার থেকে আমদানি করা ইউরিয়া সার পরিবহনের জন্য বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের সঙ্গে স্থানীয় প্রতিনিধি পোটন ট্রেডার্স এবং প্রিন্সিপাল ড্রাই বাঙ্ক শিপিং (প্রা.) লিমিটেডের মোট ৩ লাখ ৯৩ হাজার ২৪৫ টন ইউরিয়া সার বিভিন্ন গুদামে সরবরাহ দেওয়ার জন্য মোট ১৩টি স্থানীয় পরিবহন চুক্তি সই হয়।

যার মধ্যে ৩৭টি চুক্তির অধীনে পোটনের মালিকানাধীন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পোটন ট্রেডার্স ২ লাখ ১৫ হাজার ৩৭৭.৫৬৬ টন ইউরিয়া সার বুঝে নেয়। এর মধ্যে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৫৭৬ টন ইউরিয়া সার সরবরাহ করা হলেও প্রায় ৭২ হাজার টন ইউরিয়া সার সরবরাহ না করে আত্মসাৎ করেন।

বিসিআইসি গঠন করা তদন্ত কমিটিতেও অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। ২০২১ সালের ১ নভেম্বর থেকে ২০২২ সালের ৩০ জুলাইয়ের ওই আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে। ইউরিয়া সার দ্রুত সরবরাহ দেওয়ার জন্য পোটন ট্রেডার্সকে মোট ৪৩টি চিঠি দেওয়া হয়েছিল। এরপর দুদকে অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধান শুরু হয়। অনুসন্ধান শেষে মামলা দায়ের হলো।