• রোববার , ১৯ মে ২০২৪

মোবাইল মেমোরি ধরলো খুনীকে!


প্রকাশিত: ৫:০৪ পিএম, ১৮ জুলাই ১৮ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫৭ বার

স্টাফ রিপোর্টার :   অবশেষে মোবাইল মেমোরি ধরলো খুনীকে! কথা ছিল একটি মেসেজ পাঠিয়েই মোবাইল সেট থেকে সিম কার্ডটি বের করে পানিতে Probir-killer-www.jatirkhantha.com.bdফেলে দেওয়ার। কিন্তু সেটি না করে মোবাইল সেটটি নিজের কাছেই রেখে দেন বার্তাবাহক। আর তাতেই ভেস্তে যায় নারায়ণঞ্জে চাঞ্চল্যকর স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর চন্দ্র ঘোষকে হত্যার পর তথ্য লোপাটের সব পরিকল্পনা।

হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া বাপন ভৌমিক বাবু আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এমনটাই জানিয়েছেন।গতকাল নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশিক ইমামের আদালতে তিন ঘণ্টাব্যাপী ওই জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। পরে বাপনকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কারাগারে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, বাপন জবানবন্দিতে বলেছেন, প্রবীর হত্যা মামলার প্রধান আসামি পিন্টু গত ১৯ জুন রাতে আমাকে ডেকে নিয়ে বলে, ‘খুব ঝামেলায় আছি। প্রবীর ভারত চলে গেছে।’ তখন পিন্টুর অনুরোধে আমি কুমিল্লা সীমান্তবর্তী শিবেরবাজার এলাকায় চলে যাই। সেখান থেকে প্রবীরের মোবাইলের সিম ব্যবহার করে তার ভাই বিপ্লবের কাছে মেসেজ পাঠাই। মেসেজ দেওয়ার পর পরই মোবাইল সেট থেকে সিম কার্ডটি বের করে ফেলে দিই।

তবে পিন্টু আমাকে বলেছিল মেসেজ দেওয়ার পর সিমসহ মোবাইল সেটটি বন্ধ করে পানিতে ফেলে দিতে। কিন্তু মোবাইল সেটটি সুন্দর থাকায় আমি সিমকার্ড ফেলে দিয়ে সেটটি রেখে দিই। সেটি সঙ্গে নিয়েই আমি নারায়ণগঞ্জ শহরের কালীরবাজারে চলে আসি। ৭ জুলাই মোবাইল সেটটিতে আমার সিম প্রবেশ করিয়ে চালু করি। তার এক-দেড় ঘণ্টা পরই কালীরবাজার থেকে পুলিশ আমাকে গ্রেপ্তার করে।’

এর আগে গত শনিবার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের খাস কামরায় প্রবীর ঘোষ হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি পিন্টু দেবনাথের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। তিনি প্রবীর ঘোষকে একাই হত্যার পর সাত টুকরা করেন বলে স্বীকার করেন। তার অন্যতম সহযোগী বাপেনকে রিমান্ডে নিলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এতে ২১ মাস আগে আপহৃত স্বপন কুমার সাহা হত্যাকাণ্ডের কথাও বেরিয়ে আসে।

প্রবীর ঘোষ ও স্বপন হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির এসআই মফিজুল ইসলাম জানান, গত ১৮ জুন রাতে নিখোঁজ হওয়ার ২১ দিন পর ৯ জুলাই স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর চন্দ্র ঘোষের সাত টুকরা লাশ উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ। এ ঘটনায় বাপন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে তদন্তের স্বার্থে সবকিছু বলা যাচ্ছে না।
নারীর প্রলোভন দিয়ে খুন-

Probir-www.jatirkhantha.com.bd নারায়ণগঞ্জের স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর চন্দ্র ঘোষ হত্যার মূল আসামি পিন্টু দেবনাথ চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। বন্ধু প্রবীর ঘোষকে ৭ টুকরা করে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি।পিন্টু দেবনাথ আদালতকে বলেন, অর্থ, বন্ধকি স্বর্ণালঙ্কার ও দোকান আত্মসাতের পরিকল্পনায় বন্ধু প্রবীরকে হত্যা করি। নারীর প্রলোভন দেখিয়ে বন্ধু প্রবীরকে বাসায় ডেকে হত্যার পর লাশ ৭ টুকরা করে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দিই।

শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালতে প্রবীর চন্দ্র ঘোষ হত্যার মূল আসামি পিন্টু দেবনাথের স্বীকারোক্তিমূলক এ জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।জবানবন্দিতে প্রবীর হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা থেকে শুরু করে নৃশংসভাবে হত্যার পর লাশ ৭ টুকরা করার এবং হত্যার আলামত গুম করার বিস্তারিত বর্ণনা দেন পিন্টু দেবনাথ।