• মঙ্গলবার , ৩০ এপ্রিল ২০২৪

মোটা অংকে নকশা সামারি-ধরা খাচ্ছে রাজউকের রুই কাতলা’রা


প্রকাশিত: ৮:১৪ পিএম, ১৮ এপ্রিল ১৭ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১১৬ বার

এস রহমান  :  মোটা অংকে নকশা সামারি করার অভিযোগে ধরা খাচ্ছে রাজউকের 11কযেক রুই কাতলা ।এদের তিন কুতুবকে আজ জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার ক্লু পেয়েছে দুদক। দুদক জাতিরকন্ঠকে বলেছে রাজউকের তিন কুতুব মোটা অংকের টাকা সামারি করে মৃত ব্যক্তির নামে ভবনের নকশা অনুমোদন দিয়েছে।

দুদক বলেছে, ২০০৪ সালে ইন্দিরা রোডে প্রায় ১৫ কাঠা জমি রেখে মারা যান নজরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। কিন্তু মৃত্যুর ১০ বছর পর ৯৪ নম্বর ইন্দিরা রোডের ওই জমিতে ১০ তলা বাণিজ্যিক ভবনের নকশা অনুমোদন দেয় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।

অবৈধভাবে ওই ভবনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এমন একটি অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে আজ মঙ্গলবার রাজউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. সিরাজুল ইসলামসহ সংস্থার তিন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদকের অনুসন্ধান দল।

এ ছাড়া এ ধরনের আরও দুটি অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদকের দলটি। সিরাজুল ইসলাম ছাড়া আর যে দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, তাঁরা হলেন রাজউকের নগর পরিকল্পনাবিদ আশরাফ আলী আকন্দ ও অথরাইজড অফিসার (জোন-৫) এ জেড এম শফিউল হান্নান।

দুদক সূত্র জানায়, ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক ভবনের অনুমোদন ও বাণিজ্যিক এলাকায় একাধিক আবাসিক ভবনের অনুমোদন ও ড্যাপ চিহ্নিত জমিকে সাধারণ জমি হিসেবে ছাড়পত্র দেওয়ায় রাজউকের তিন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বলেন, সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আজ সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এই তিন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। দুদকের উপপরিচালক হেলাল উদ্দিন শরিফ নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে।

এ বিষয়ে রাজউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদ নয়; আমিসহ রাজউকের আরেকজন নগর পরিকল্পনাবিদ ও অথরাইজড কর্মকর্তাকে দুদক ডেকেছিল। তারা দুই-তিন বছর আগের একটি বিষয়ে ব্যাখ্যা জানতে চায়। এই যে বাণিজ্যিক থেকে আবাসিক, আবাসিক থেকে বাণিজ্যিক ছাড়পত্রের বিষয়ে। আমি কোনো ছাড়পত্র দিই নাকি? ছাড়পত্র দেয় আমার ডেপুটি টাউন প্ল্যানার (উপনগর পরিকল্পনাবিদ)।’

ইন্দিরা রোডের ভবনের নকশা অনুমোদনের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ড্যাপ রিভিউ প্রক্রিয়া, ঢাকার মাস্টারপ্ল্যানের কিছু বিষয় আর ইন্দিরা রোডের একটা বাড়ি সম্পর্কে আমরা আমাদের বক্তব্য দিয়ে এসেছি।’