মুফতি হান্নানের ফাঁসি যেকোনো সময়
হাইকোর্ট রিপোর্টার : ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মুফতি হান্নানসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
আদালতে মুফতি হান্নানসহ আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী নিখিল কুমার সাহা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, মুফতি হান্নানসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ খারিজ করে দেয়ায় এখন দণ্ড কার্যকরে আইনগত কোনো বাধা নেই।
তবে বিধি অনুযায়ী রায় ঘোষণার ৭দিন পর এবং ২১ দিনের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মোতাবেক যেকোন দিন ফাঁসি কার্যকর করতে পারবে কারা কর্তৃপক্ষ। মুফতি আব্দুল হান্নান ছাড়া দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- দেলোয়ার হোসেন ও শরিফ শাহেদুল আলম। অ্যাটর্নি জেনারেল আজ (রোবববার) সুপ্রিমকোর্টে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেছেন, এখন রায়ের বিষয়টি আসামিদের জানানো হবে। তারা চাইলে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারেন। যদি না করেন, তাহলে দু-এক দিনের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হতে পারে। কেননা, প্রক্রিয়া আগে থেকে শুরু হয়ে ছিল।
আসামিপক্ষের আইনজীবী নিখিল কুমার সাহা বলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন কি না, এ বিষয়ে তারা সিদ্ধান্ত নেবেন। ২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটে হযরত শাহজালাল (রহ.) এর মাজারে যান ঢাকায় নিযুক্ত তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী। ফেরার পথে ফটকের কাছে গ্রেনেড হামলায় আনোয়ার চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। নিহত হন পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন।
এ ঘটনায় করা মামলায় ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নান, জঙ্গি শরিফ শাহেদুল ও দেলোয়ারকে মৃত্যুদণ্ড এবং মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। গত বছরের ১১ ফেব্রুয়ারিতে হাইকোর্ট বিচারিক আদালতের রায় বহাল রাখেন।
গত ৭ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে মুফতি হান্নানসহ তিন জঙ্গির আপিল শুনানি শেষে আপিল বিভাগ খারিজ করে দিলে তারা রিভিউ আবেদন করে।