• রোববার , ১৯ মে ২০২৪

মুক্তিযোদ্ধা খুনী বড় মিয়ার মৃত্যুদণ্ডাদেশ-মুজিবুর-রাজ্জাকের আমৃত্যু কারাদণ্ড


প্রকাশিত: ১২:৪৬ পিএম, ১ জুন ১৬ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩৮ বার

হাইকোর্ট রিপোর্টার  :   মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হবিগঞ্জের বানিয়াচং juddaporadi 3 brother-www.jatirkhantha.com.bdউপজেলার মহিবুর রহমান ওরফে বড় মিয়াকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া মহিবুরের ছোট ভাই মুজিবুর রহমান আঙ্গুর মিয়া এবং তাদের চাচাতো ভাই আব্দুর রাজ্জাককে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।

বুধবার বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই রায় ঘোষণা করেন। এর আগে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে গত ১১ মে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখে ট্রাইব্যুনাল।

রাষ্ট্রপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, আসামিদের মধ্যে মহিবুর রহমান ওরফে বড় মিয়া হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার খাগাউড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান। তাঁর ভাই মুজিবুর রহমান ওরফে আঙ্গুর মিয়া একই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান। ট্রাইব্যুনালের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি এই দুই ভাইকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আর রাজ্জাককে গ্রেফতার হন গত বছরের ১৯ মে।

গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর এই তিন আসামির বিরুদ্ধে চারটি অভিযোগ গঠন করার মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হয়। ২১ অক্টোবর থেকে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্য দেন ১২ জন। আসামিপক্ষে সাক্ষ্য দেন সাত জন। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ১০ মে থেকে দুই পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শুরু হয়।

প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আকল মিয়ার স্ত্রী হবিগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই তিনজনসহ মোট ছয়জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলা করেন। পরে মামলাটি ট্রাইব্যুনালে আসে।

আসামিদের বিরুদ্ধে চার অভিযোগ:

মহিবুর, মজিবুর ও রাজ্জাকের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ হলো, একাত্তরে হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাঁরা মুক্তিযোদ্ধা আকল আলী ও রজব আলীকে হত্যা করে লাশ গুম করেন।

দ্বিতীয় অভিযোগ হলো, আসামিদের সহযোগিতায় পাকিস্তানি সেনারা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মেজর জেনারেল এম এ রবের বাড়িতে হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ ও লুণ্ঠন চালান।

তৃতীয় অভিযোগে বলা হয়েছে, খাগাউড়া এলাকার উত্তরপাড়ায় আসামিদের সহযোগিতায় পাকিস্তানি সেনারা দুই নারীকে ধর্ষণ করেন।

চতুর্থ অভিযোগ হলো, আনছার আলী নামের এক ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে রাজাকার ক্যাম্পে আটক রেখে নির্যাতন চালান আসামিরা। ঐ নির্যাতনে পঙ্গু হন আনছার।