• মঙ্গলবার , ৭ মে ২০২৪

মানুষের ব্রেনে তাজা কৃমি


প্রকাশিত: ৮:৪৮ পিএম, ২৯ আগস্ট ২৩ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২৭ বার

মেডিকেল ডেস্ক : মানুষের ব্রেনে তাজা কৃমি পাওয়া নিয়ে তোলপাড় চলছে। মানুষের ব্রেনের ভেতরে জীবন্ত কৃমি ভয়ঙ্কর মনে হলেও সেটিই ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ায়।বিশ্বে প্রথমবার এক নারীর মগজে ৮ সেন্টিমিটার (৩ ইঞ্চি) লম্বা একটি জীবন্ত কৃমি পেয়েছেন চিকিৎসকরা।গতবছর ক্যানবেরায় অস্ত্রোপচারের সময় তার মগজে ক্ষতিগ্রস্ত ফ্রন্টাল লোব টিস্যু থেকে সুতা বা দড়ির মত লাল ওই পরজীবীকে বের করে আনা হয়। সেটি দুই মাস ধরে ওই নারীর মগজে ছিল বলে ধারণা চিকিৎসকদের।গবেষকদের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, এই ঘটনা প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমণের ক্রমবর্ধমান বিপদ তুলে ধরছে।

ক্যানবেরা হাসপাতালের সংক্রামক রোগ চিকিৎসক সঞ্জয় সেনানায়েক বলেন, ওই নারীর মাথায় অস্ত্রোপচারের সময় চিকিৎসক যখন চিমটা নিয়ে অস্বাভাবিক কিছু তুলে আনছিলেন, তখন উপস্থিত চিকিৎসকদের সকলেই ধাক্কা খান। কারণ অস্বাভাবিক সেই জিনিসটি ছিল বাঁকানো আট সেন্টিমিটার লম্বা উজ্জ্বল একটি লাল কৃমি।মানুষের মস্তিকে এই পরজীবী সংক্রমণ আগে কখনও দেখা যায়নি বলে জানান সেনানায়েক।

বিবিসি জানিয়েছে, ওফিডাসকারিস রবার্তসি প্রজাতির গোলকৃমি কার্পেট পাইথনের (অজগর) মধ্যে খুব সাধারণ। অস্ট্রেলিয়া জুড়ে দেখা মেলে এই অজগর। যদিও এটি বিষধর সাপ নয়।বিজ্ঞানীদের ধারণা, খুব সম্ভবত ওই নারী যেখানে থাকেন, সেখানে লেকের পাশে স্থানীয় সবজি ‘ওয়ারিগাল গ্রিনস’ তুলতে গিয়ে তিনি সংক্রমিত হয়েছিলেন।

‘এমার্জিং ইনফেকশাস ডিজিজেস’ জার্নালে অস্ট্রেলিয়ান প্যারাসাটোলজি বিশেষজ্ঞ মেহরাব হোসেন জানান, ওয়ারিগাল গ্রিনস রান্না করার পর সেই পরজীবীর ‘আকস্মিক বাহক’ হয়েছিলেন ওই নারী। ওয়ারিগাল গ্রিনসে অজগরের মল ও পরজীবীর ডিম ছিল বলে তার সন্দেহ।ওই ঘটনায় অস্বাভাবিক পেটে ব্যথা ও কাশির পাশাপাশি রাতে প্রচুর ঘাম এবং ডায়রিয়া হয় ওই নারীর। এর ফলে স্মৃতিভ্রষ্টের ঘটনা ও বিষণ্নতাও বাড়ছিল।

২০২১ সালের জানুয়ারির শেষে দিকে ওই নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে মস্তিকে স্ক্যান করলে মগজের ডান ফ্রন্টাল লোবে একটি ক্ষত দেখা যায়। পরের বছরের জুনে বায়োপসি করার সময় তার শারীরিক অসুস্থতার কারণ প্রকাশ পায়। অস্ত্রপচারের পর ওই নারী ধীরে ধীরে সেরে উঠছেন।