মহান স্বাধীনতা দিবস আজ জাতীয় স্মৃতিসৌধে নিরাপত্তা বলয়
মাসুদার রহমান : মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাভার ও আশুলিয়াজুড়ে নিরাপত্তাবলয় গড়ে তুলেছে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা। বিভিন্ন সড়কে সাধারণ যানবাহনের চলাচল নিয়ন্ত্রণসহ নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে র্যাবের টহল। শনিবার সকাল থেকেই সড়কপথে র্যাবের এ টহল শুরু হয়।
সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকাজুড়ে, আমিনবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে র্যাব টহলে থেকে নজরদারি করবে। সড়কপথে পাশের বহুতল ভবনে ব্যবহার করা হচ্ছে শক্তিশালী দূরবীন। এদিকে সাভার ও আশুলিয়ার বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থান ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাতে আইনশৃংখলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক উইং কমান্ডার মুফতি মাহামুদ বলেন, নাশকতা বা সহিংসতা মোকাবিলায় জাতীয় স্মৃতিসৌধের সার্বিক আইনশৃংখলা পর্যবেক্ষণে র্যাবের টহল শুরু হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে র্যাব সদস্যরা আইনশৃংখলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শুরু করেছে। স্বাধীনতা দিবসে নিরাপত্তায় আইনশৃংখলা বাহিনীর অন্যান্য এজেন্সির বাইরে র্যাবের পক্ষ থেকে আলাদা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধসহ সারাদেশে র্যাব সদস্যরা মাঠে থাকবে। এছাড়া সাদা পোশাকে র্যাবের গোয়েন্দা কার্যক্রম আগেই শুরু করা হয়েছে। র্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল, ডগ স্কোয়াড টিমের পাশাপাশি ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে স্মৃতিসৌধ এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
র্যাব-৪ এর এরিয়া কমান্ডার মেজর আব্দুল হাকিম বলেন, নাশকতার আশংকায় এবার নিরাপত্তা জোরদারে অন্য বছরের তুলনায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নাশকতার পরিকল্পনা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। অন্যান্য আইনশৃংখলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় রেখে র্যাব রাজধানীর সার্বিক নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে।
এর বাইরে জাতীয় স্মৃতিসৌধকে সামনে রেখে সকাল থেকে বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তাছাড়া প্রতিটি অঞ্চলে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তিন থানার ওসিকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি মাঠে নামনো হয়েছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের।
চোরাগোপ্তা হামলা, বিশৃংখলাসহ যে কোনো ধরনের নাশকতা মোকাবেলায় স্পর্শকাতর পয়েন্টগুলোতে কঠোর গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি স্ট্রাইকিং ফোর্স, দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে আর্মড পার্সোনাল কেরিয়ার (এপিসি), রায়ট কন্ট্রোল কার (আরসিসি) ও জলকামান। সাভার ও আশুলিয়ার বিভিন্ন স্পটে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহন ও পথচারী তল্লাশি করছে পুলিশ ও র্যাব।
প্রধান সড়ক ও আশপাশের অলিগলিগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে নিরাপত্তা জোরদার করা প্রসঙ্গে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান বলেন, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পুরো স্মৃতিসৌধ এলাকাতে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে । স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে কেউ যাতে কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে সেজন্যই এ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সব ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য পুলিশ প্রস্তত রয়েছে বলেও তিনি জানান।