• সোমবার , ৬ মে ২০২৪

মন্ত্রীর শেল্টারে ল্যান্ডমাফিয়া কুতুব পাকরাও


প্রকাশিত: ৭:৫৭ পিএম, ৮ এপ্রিল ১৮ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫৫ বার

kutub-www.jatirkhantha.com.bd
বিশেষ প্রতিনিধি :  মন্ত্রীর শেল্টারে থেকে’ও রক্ষা পেলেন না ল্যান্ডমাফিয়া সেই কুতুব। ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা কুতুব উদ্দীন ওরফে ভূমি কুতুবকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ভূমিমন্ত্রী শামসুজ্জামান শরীফের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন কুতুব। রোববার (০৮ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা তাকে পাকরাও করা হয়। দুদকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জাতিরকন্ঠকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।দুদক সূত্র বলছে, সরকারি জমি দখল ও অবৈধভাবে  অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গুলশান থানায় করা এক মামলায় কুতুব উদ্দীনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

রাজধানীর গুলশানে ১০ কাঠা জমি ভুয়া আম মোক্তার দেখিয়ে নিজের শ্বশুরের নামে হস্তান্তর করেন তিনি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মীর্জা জাহিদুল ইসলাম কুতুব উদ্দীনকে আটক করেছেন।জানা যায়, শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া ইউনিয়নের ছয়গাঁও গ্রামের এক সাধারণ পরিবারের সন্তান কুতুব উদ্দীনের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে হাজার কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, ২০০১ সালে চার দলীয় জোট ক্ষমতায় আসার পর ভাগ্য পাল্টাতে থাকে কুতুব উদ্দীনের। ওই সময় ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রটোকল কর্মকর্তা কুতুব উদ্দীন জোট সরকারের ভূমি প্রতিমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর সঙ্গে যোগসাজশে চেইনম্যানের ৩৩৬টি পদে নিয়োগের সময় প্রায় পাঁচ কোটি টাকা ঘুষ আদায় করেন। এ সময় প্রত্যেক প্রার্থীর কাছ থেকে নেওয়া হয় দেড় থেকে দুই লাখ টাকা করে।

এরপর থেকে কুতুব উদ্দীন অন্যদের কাছে ‘ভূমি কুতুব’ হিসেবেই পরিচিত হতে থাকেন। অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকার সরকারি খাস জমি তিনি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দিয়েছেন। এ সব অভিযোগে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেও তাকে গ্রেফতার করে দুদক। কিন্তু মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক নেতাদের ধরে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন এবং চাকরিতে যোগ দেন।

তার বিরুদ্ধে ব্যক্তি মালিকানাধীন একটি জমিকে খাস দেখিয়ে তা বন্দোবস্ত নেওয়া বাবদ সচিবালয়, ভূমি মন্ত্রণালয় ও ঢাকার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে কমপক্ষে এক কোটি পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেন হওয়ার সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর বাইরেও ঘুষ লেনদেন হওয়ার অভিযোগ তদন্ত করছে দুদক।