• মঙ্গলবার , ৩০ এপ্রিল ২০২৪

মন্ত্রীর মানহানি ১‌০০ কোটি


প্রকাশিত: ১১:১০ পিএম, ১২ জানুয়ারী ২৪ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩৩ বার


ওলিও’র আপত্তিকর বক্তব্য-মামলা গণপূর্ত মন্ত্রীর

বিশেষ প্রতিনিধি : ওলিও মানহানি করেছে গণপূর্ত মন্ত্রী’র । তাকে আর রেহাই দেয়া যায় না। তাই মন্ত্রী হয়েই ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করলেন নয়া গণপূর্ত মন্ত্রী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় নির্বাচনি সভায় আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের স্বতন্ত্র ও নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী ফিরোজুর রহমান ওলিওর বিরুদ্ধে আদালতে একশ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেছেন নবনিযুক্ত গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ও এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যুগ্ম জেলা জজ নজরুল ইসলামের আদালতে এই মামলা দায়ের করেন তিনি। ফিরোজুর রহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী (কাঁচি প্রতীক) নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৬৪ হাজার ৩৭ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। আওয়ামী লীগ প্রার্থী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৮৭২ ভোট পেয়ে চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং নবগঠিত মন্ত্রীসভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী নিযুক্ত হন।

বাদীর আইনজীবী আবদুল জব্বার মামুন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত ২৬ ডিসেম্বর সদর উপজেলার সুহিলপুরে এক নির্বাচনি সভায় ফিরোজুর রহমান ওলিও উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বক্তব্য দেন।ফিরোজুর রহমান ওই নির্বাচনি সভায় বলেন, তার নিজের (বাদী) ঘরেই আমার টাকা। আজ থেকে ৩০-৩৫ বছর আগে আমি তাকে ৫০ হাজার টাকা দিয়া রাখছি। এবং আমি তাকে ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিষ্ঠার সময় আর্থিক সহায়তা করেছি।

প্রকৃতপক্ষে ৩০-৩৫ বছর পূর্বে ফিরোজুর রহমানের সঙ্গে মোকতাদিরের কোনো পরিচয় ছিল না। সে সময় বাদী মোকতাদির চৌধুরী তৎকালীন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনার সহকারী একান্ত সচিবের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। ফিরোজুর বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা। এই মানহানিকর বক্তব্য প্রদানে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী মোকতাদিরের ব্যক্তিগত, রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনে মানমর্যাদা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

যা গণপূর্ত মন্ত্রী মোকতাদিরের ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় ১০০ কোটি টাকা হবে। এ ব্যাপারে ফিরোজুর রহমান বলেন, মামলা করার আগে তিনি উকিল নোটিশ পাঠিয়েছিলেন, কিন্তু নির্বাচনে ব্যস্ত থাকার কারণে সেদিকে মনোনিবেশ করতে পারিনি। যেহেতু তিনি মামলা করেছেন আইনিভাবে আমি জবাব দিবো।