• সোমবার , ২০ মে ২০২৪

মধ্যপ্রাচ্যে সন্ত্রাসবাদ-নানা উত্তাপ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে ঢাকা


প্রকাশিত: ১২:৫১ পিএম, ৫ জুন ১৭ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩৪ বার

ডেস্ক রিপোর্টার :  কাতারের সঙ্গে সৌদি, মিশর, আরব আমিরাত ও বাহরাইনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের পর 11মধ্যপ্রাচ্যে পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে ঢাকা। সোমবার সকালে সৌদি আরবসহ ওই চারটি দেশের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত ঘোষণা আসার পরপরই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মধ্যপ্রাচ্যের মিশনগুলোতে যোগাযোগ করেছে। বাংলাদেশ সার্বক্ষণিক বিষয়টির ওপর নজর রাখছে বলেও জানা গেছে।

সন্ত্রাসবাদ ও অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের আরও তিনটি দেশ। এ দেশগুলো সৌদি আরবের একান্ত বন্ধু রাষ্ট ও মিত্র। কাতারের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থার সাম্প্রতিক একটি হ্যাকের ঘটনা নিয়ে কাতার ও উপসাগরীয় এ আরব দেশগুলোর মধ্যে বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ছে। যার সূত্র ধরে ওই চারটি দেশ কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেয়।
22
এরআগে মধ্যপ্রাচ্যে কাতার উত্তেজনা সৃষ্টি করছে, এই অভিযোগে দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে সৌদি আরব, মিসর, বাহরাইন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। কাতার মুসলিম ব্রাদারহুডসহ অন্যান্য জঙ্গি দলগুলোকে সমর্থন ও সহযোগিতা দেয় বলে অভিযোগ করছে এই দেশগুলো। চারটি দেশই কাতারের নিকটতম প্রতিবেশী।

সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এসপিএ বলছে, রিয়াদ কাতারের সঙ্গে নিজের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে, এবং জল, স্থল ও আকাশপথে দুই দেশের যাবতীয় দ্বিপাক্ষিক চুক্তি বিচ্ছিন্ন করেছে। কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সংস্থাটি বলছে, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ করে নিজের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে সৌদি আরব এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

মিসরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইতিমধ্যে কাতারের সাথে আকাশসীমা এবং বন্দরসমূহ বন্ধ করে দিয়েছে দেশটি। এদিকে, সংযুক্ত আরব আমিরাত দেশটিতে নিযুক্ত কাতারের কূটনীতিকদের দেশত্যাগের ৪৮ ঘণ্টার সময় বেধে দিয়েছে। আর বাহরাইন অভিযোগ করছে, দেশটির নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা নষ্ট করার চেষ্টা করছিল কাতার।