• শনিবার , ১৮ মে ২০২৪

ভেজাল প্যারাসিটামল তেলেসমাতি-রীড ফার্মার সব আসামী খালাস


প্রকাশিত: ২:৪০ পিএম, ২৮ নভেম্বর ১৬ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭২ বার

 

rid-crime-1-www-jatirkhantha-com-bdএস রহমান : ভেজাল প্যারাসিটামল মামলায় তেলেসমাতি কারবারে রীড ফার্মার সব আসামী খালাস হয়েছে।সাত বছর rid-crime-1-www-jatirkhantha-com-bd-2আগে ভেজাল প্যারাসিটামল পানে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় রীড ফার্মাসিউটিক‌্যালসের বিরুদ্ধে করা মামলায় পাঁচ আসামির সবাইকে খালাস দিয়েছে আদালত।

ঢাকার ঔষধ আদালতের বিচারক আতোয়ার রহমান সোমবার এই রায় ঘোষণা করে বলেন, মামলার বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তার ‘অযোগ‌্যতা ও অদক্ষতার কারণে’ অভিযোগ প্রমাণ করতে রাষ্ট্রপক্ষ ব‌্যর্থ হয়েছে।

পাঁচ আসামির মধ‌্যে রীড ফার্মার মালিক মিজানুর রহমান ও তার স্ত্রী কোম্পানির পরিচালক শিউলি রহমান রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আর কোম্পানির পরিচালক আব্দুল গণি, ফার্মাসিস্ট মাহবুবুল ইসলাম ও এনামুল হক পলাতক।

rid-crime-1-www-jatirkhantha-com-bd-3রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, “বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শফিকুল ইসলাম সঠিক নিয়ম মেনে জব্দ তালিকা ও পরীক্ষার প্রতিবেদন জমা দেননি। মামলা দায়েরের সময় যেসব পদেক্ষেপ নেওয়া উচিৎ ছিল, তা না নেওয়ায় তার অযোগ‌্যতা ও অদক্ষতা প্রমাণিত হয়।

২০০৯ সালের জুন থেকে অগাস্ট পর্যন্ত রীড ফার্মার প্যারাসিটামল সিরাপ পানে সারাদেশে ২৮ শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠলে ১০ অগাস্ট ঢাকার ঔষধ আদালতে এ মামলা হয়। তৎকালীন ড্রাগ সুপার শফিকুল ইসলাম মামলা করার পর সেদিনই আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।ওই সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রীড ফার্মার বিরুদ্ধে আরও চারটি মামলা হয়।

rid-crime-1-www-jatirkhantha-com-bd-4মিজানুর রহমান ওই বছরের ১২ অক্টোবর আত্মসমর্পণ করলে ঢাকার তৎকালীন জজ এ এন এম বশিরউল্লাহ তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। শিউলি হাই কোর্ট জামিন পান। অন‌্য তিন আসামি পলাতক থাকেন। মামলার এজাহারে বলা হয়েছিল, রীড ফার্মার প্যারাসিটামলে বিষাক্ত উপাদানের কারণে শিশু মৃত‌্যুর ঘটনা ঘটেছে।

কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে জমা দেওয়া অভিযোগপত্রে বলেন, ওই প্যারাসিটামলে ডাই ইথানল গ্লাইকল পাওয়া যায়নি। তবে ওই ওষুধ ছিল নিম্নমানের। আলোচিত এ মামলার বিচারকালে বাদী শফিকুল ইসলাম, ঢাকা শিশু হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক এ আর খান, একই হাসপাতালের উপ-পরিচালক এইচ এস কে আলম, ঔষধ প্রশাসনের সহrid-crime-1-www-jatirkhantha-com-bdকারী পরিচালক মো. আলতাফ হোসেন, একই অধিদপ্তরের ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবের সহকারী বিশ্লেষক মো. আবু বকর সিদ্দিক রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্য দেন।

এর আগে ভেজাল প্যারাসিটামল তৈরির দায়ে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাডফ্লেম ফার্মাসিউটিক্যালসের অন্যতম মালিক, ব্যবস্থাপকসহ তিনজনকে ১০ বছর কারাদণ্ড দেয় এই আদালত।
একই আদালত ভেজাল প্যারাসিটামল সিরাপ পানে ১৯৯২ সালে ৭৬ শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় ঔষধ আইনে করা আরেকটি মামলায় বিসিআই ফার্মার ছয় কর্তাব্যক্তিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়।