• মঙ্গলবার , ৭ মে ২০২৪

বিদ্যুতের ও গ্যাসের দাম ফের বাড়ল-এক চুলা গ্যাস ৬০০-দুই চুলা ৬৫০ টাকা


প্রকাশিত: ৮:৫৬ পিএম, ২৭ আগস্ট ১৫ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৪৭ বার

1111111111বিশেষ প্রতিবেদক.ঢাকা:  গ্রাহক পর্যায়ে আবারও গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আজ বৃহস্পতিবার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে ২.৯৩ শতাংশ, আর গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে ২৬.২৯ শতাংশ। তবে সেচে এবং লাইফ লাইন (৫০ ইউনিট পর্যন্ত ব্যবহারকারী) বিদ্যুতের মূল্য অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিইআরসির কার্যালয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে দাম বাড়ানোর এ ঘোষণা দেওয়া হয়। ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, আগামী মাস অর্থাৎ ১ সেপ্টেম্বর থেকে এটি কার্যকর হবে।

বিদ্যুতের বর্ধিত মূল্য
১ থেকে ৫০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের বিল বাড়বে না। নতুন দরে ৫০ থেকে ৭৯ ইউনিট পর্যন্ত ৩ টাকা ৫৩ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৩ টাকা ৮০ পয়সা করা হয়েছে। ৭৬ থেকে ২০০ ইউনিট পর্যন্ত ৫ টাকা ০১ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৫ টাকা ১৪ পয়সা, ২০১ থেকে ৩০০ ইউনিট পর্যন্ত ৫ টাকা ১৯ পয়সা টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ টাকা ৩৬ পয়সা, ৩০১ থেকে ৪০০ ইউনিট ব্যবহারকারীদের জন্য ৫ টাকা ৪২ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৫ টাকা ৬৩ পয়সা, ৪০১ থেকে ৬০০ ইউনিট পর্যন্ত ৮ টাকা ৫১ পয়সা টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮ টাকা ৭০ পয়সা এবং ৬০০ ইউনিটের ঊর্ধ্বে ব্যবহারকারী গ্রাহকদের জন্য ৯ টাকা ৯৩ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৯ টাকা ৯৮ পয়সা করা হয়েছে।

গ্যাস
বিদ্যুৎ ও সার উৎপাদন ছাড়া সব ক্ষেত্রে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে।
গৃহস্থালির গ্যাস ব্যবহারে জন্য এক চুলার ক্ষেত্রে দাম ৪০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে দাম ৬০০ টাকা, আর দুই চুলা ৪৫০ থেকে থেকে বাড়িয়ে ৬৫০ টাকা করা হয়েছে। গৃহস্থালিতে মিটারভিত্তিক গ্যাসের বিল প্রতি ঘনমিটার ৫ টাকা ১৬ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৭ টাকা করা হয়েছে।
শিল্পের ক্ষেত্রে ৫ টাকা ৮৬ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৬ টাকা ৭৪ পয়সা, ক্যাপটিভ ক্ষেত্রে ৪ টাকা ১৮ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৮ টাকা ৩৬ পয়সা, বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ৯ টাকা ৪৭ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১১ টাকা ৩৬ পয়সা, গাড়িতে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস বা সিএনজির দাম প্রতি ঘনমিটার ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৫ টাকা করা হয়েছে।
বিইআরসির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পরও বছরে সরকারকে ৪ হাজার ৩০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হবে।
গত জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে ও ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে এই দাম বৃদ্ধির বিষয়ে বিইআরসি গণশুনানি করে। এতে দাম বাড়ানোর পক্ষে কোনো যুক্তি খুঁজে পাওয়া যায়নি। এর পর বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে। ফলে দেশে বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ আরও কমেছে। এই পরিস্থিতিতেও গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ল।
বর্তমান সরকারের এ মেয়াদে প্রথমবার হলেও আগের মেয়াদে কয়েক দফা বিদ্যুৎতের দাম বাড়ানো হয়।