‘বিতর্কিত ব্যক্তিদের অতিথি করা যাবে না স্বাধীনতা দিবসে’
স্টাফ রিপোর্টার : স্বাধীনতাবিরোধী ও ‘বিতর্কিত ব্যক্তিদের’ স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে অতিথি করা যাবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা ও অনুষ্ঠানের পদ্ধতি পর্যালোচনার জন্য অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক শেষ হয় সোয়া ১১টার দিকে। এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা।
সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সাংবাদিকদের বলেন, আজকের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, স্বাধীনতাবিরোধী ও বিতর্কিত ব্যক্তিদের স্বাধীনতা দিবসের কোনো ধরনের অনুষ্ঠানে অতিথি করা যাবে না। এটা জেলা-উপজেলা থেকে শুরু যেকোনো পর্যায়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। বিতর্কিত কারা, তা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানতে চান সাংবাদিকরা। জবাবে তিনি বলেন, জেলা-উপজেলা পর্যায়ে স্থানীয় নেতারা জানেন, কারা স্বাধীনতাবিরোধী। তাঁরাই সেটা নিশ্চিত করবেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সারা দেশে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশসহ (বিজিবি) বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন।প্রতিবছরই স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে যেখানে-সেখানে পতাকা ইচ্ছামতো পতাকা উত্তোলন করা হয়। এবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় পতাকা উত্তোলনের বিষয়ে একটা সিদ্ধান্ত নেবে। তথ্য মন্ত্রণালয় তা বাস্তবায়ন করবে।
মন্ত্রী জানান, কূটনীতিকদের বিশেষ নিরাপত্তা নিয়ে সাভারে স্মৃতিসৌধে নেওয়া হবে। আবার সেখান থেকে তাঁদের দূতাবাস বা আবাসস্থলে পৌঁছে দেওয়া হবে। তিনি আরো জানান, স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে ঢাকা থেকে সাভার স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত রাস্তায় কোনো ধরনের তোরণ নির্মাণ করা যাবে না। সাভারে ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশন।