• রোববার , ১২ মে ২০২৪

ফায়ার সার্ভিসের অদক্ষতা অবহেলা মৃত জেহাদ উদ্ধার করলো জনতা


প্রকাশিত: ২:৪৯ এএম, ২৮ ডিসেম্বর ১৪ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১১৪ বার

 

jihad-www.jatirkhantha.com_.bd_-300x160শফিক আজিজ.ঢাকা: অবশেষে ফায়ার সার্ভিসের অদক্ষতা অবহেলার নিঃশেষে মৃত জেহাদ উদ্ধার করলো জনতা।এ ঘটনায় কোন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি।এলাকাবাসির অভিযোগ ফায়ার সার্ভিসের লোকজন স্থানীয় লোকজনের কথায় যথাযথ আমলে না নেয়ায় শিশু জেহাদ অকালে মারা গেছে।

ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকাজ স্থগিত ঘোষণা করার পাঁচ মিনিট পরই নাটকীয়ভাবে উদ্ধার হয় জিহাদ। শিশু জিহাদকে মৃত ঘোষণা করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক কে এম নিয়াজ মোর্শেদ।বিকেল চারটার দিকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন কে এম নিয়াজ মোর্শেদ সাংবাদিকদের জানান, অনেক আগেই জিহাদ মারা গেছে। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে জিহাদকে ওই হাসপাতালে নেওয়া হয়। আধঘণ্টা তাকে পরীক্ষা করা হয়।

সাধারণ মানুষের চেষ্টায় উদ্ধার হলো জিহাদ
বেলা তিনটার দিকে শিশু জিহাদকে উদ্ধার করা হয়। এর ঠিক পাঁচ মিনিট আগে ফায়ার সার্ভিস উদ্ধারকাজ স্থগিত ঘোষণা করে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসা শাহ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, শফিকুল ইসলাম ও রাহুল দাস দাবি করেন, তাঁদের বানানো বর্শার সাহায্যেই জিহাদকে উদ্ধার করা হয়েছে। শাহ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ  জানান, তাঁর বাসা মেরাদিয়া এলাকায়। এফএম রেডিওতে জিহাদের খবর শোনেন তিনি। গতকাল রাতেই শফিকুল ও রাহুলকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তাঁদের সঙ্গে তিনটি বর্শা ছিল। বর্শাগুলোতে আংটা লাগানো ছিল। দুটো বর্শা নড়াচড়া করার জন্য ও একটি বর্শা টেনে আনার কাজের উপযোগী করে বানানো হয়। বর্শাগুলোর মধ্যে ক্যামেরা লাগানো ছিল।
শাহ মোহাম্মদ আবদুল্লাহর দাবি, ফায়ার সার্ভিস উদ্ধারকাজ স্থগিত করার ঘোষণা দেওয়ার সময় তাঁরা দড়ি বেঁধে বর্শাগুলো পাইপের মধ্যে ফেলেন। একবার চেষ্টাতেই তাঁরা সফল হয়েছেন । প্রায় ২৩৫ থেকে ২৪০ ফুট ভেতরে যাওয়ার পরে বর্শাটি কোনোকিছুর সঙ্গে আটকে গেছে বলে তাঁরা টের পান। ধীরে ধীরে ওপরে তোলা হয়। ১০০ মিটারের মধ্যে যখন বর্শাটি আসে তখন ক্যামেরায় বোঝা যায় শিশুটি সেখানে আটকে আছে। তাঁর ভাষ্য, গতকাল রাত থেকেই বর্শা ফেলার সুযোগ খুঁজছিলেন। ফায়ার সার্ভিসের বড় বড় কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীরা থাকায় তাঁরা সেই সুযোগ পাননি। আগে ফেলতে পারলে রাতেই তাঁরা জিহাদকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করতে পারতেন। তাঁর ভাষ্য, শিশুটি হয়তো ওই পাইপ ধরে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছিল। যদি পাইপটি কেটে ফেলা না হতো তাহলে শিশুটিকে জীবিত উদ্ধার করা যেত। কাটার ফলে শিশুটি নিচে পানিতে পড়ে যায়। সেখানেই সে মারা গেছে বলে তাঁর ধারণা।
এর আগে রাজধানীর মিরপুর থেকে ঘটনাস্থলে আসা আবু বকর সিদ্দিক  বলেন, তাঁর বানানো খাঁচার সাহায্যেই জিহাদকে উদ্ধার করা হয়। তাঁর ভাষ্য, গণমাধ্যমে শিশুটিকে উদ্ধার করা যাচ্ছে না দেখে গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টায় তিনি ঘটনাস্থলে লোহার খাঁচা নিয়ে যান। রাতে একবার খাঁচাটি ভেতরে ঢুকিয়ে উদ্ধারের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তখন উদ্ধার করা যায়নি। খাঁচাটি কিছুটা ভেঙে যাওয়ায় সারা রাত ধরে তিনি এটি মেরামত করেন। পরে আরও কয়েকজনকে নিয়ে আবু বকর সিদ্দিক দুটি খাঁচা ভেতরে ঢোকান। এরপর তাঁরা দেখেন, খাঁচায় কিছু একটা আটকে গেছে। ধীরে ধীরে খাঁচাটি টেনে তোলা হয়। এভাবে উদ্ধার হয় জিহাদ।

আবু বকর সিদ্দিকের ভাষ্য, উদ্ধারের সময় জিহাদ অচেতন ছিল। তার চোখ বন্ধ ছিল। পরনে একটি প্যান্ট ছিল। শরীর কালো হয়ে গিয়েছিল। শিশুটির ওপর মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ে। সেখানে ধাক্কাধাক্কি ও হট্টগোল শুরু হয়। অনেকে মাটিতে গড়িয়ে কান্নাকাটি করতে থাকেন।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চাইলেন জিহাদের মা

শিশু জিহাদকে উদ্ধারের পরে তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, মা খাদিজা আক্তার আহাজারি করছেন। তিনি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীসহ যাঁরা জিহাদকে উদ্ধার করার নামে বিভিন্ন ধরনের কথা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমি তাঁদের বিচার চাই।’ তিনি বলেন, ‘তাঁরা যদি বিভিন্ন ধরনের কথা না বলতেন, যদি ভালোভাবে খুঁজে দেখতেন, তাহলে আমার বাচ্চাকে আমি কালকেই পেতাম।’

জিহাদের মা অভিযোগ করেন, গতকাল রাতে তাঁর স্বামী ও ভাইকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, বাচ্চাটাকে তাঁরা কোথাও লুকিয়ে রেখেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসবের বিচার চান।

বিক্ষোভ, ভাঙচুর
পানির পাম্পের কাছে এক হাজারের মতো মানুষ বিক্ষোভ করছেন। তাঁরা পাম্পের কয়েকটি টিন শেডের ঘরে ভাঙচুর চালান। ‘ আমার ভাই জিহাদ মরল কেন’ বলে স্লোগান দিচ্ছেন তাঁরা। একপর্যায়ে তাঁরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়েন। এ সময় পুলিশ তাঁদের হালকা লাঠিপেটা করে সরিয়ে দেয়। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যে পাইপে জিহাদ পড়ে যায় সেটি লোহার ঢাকানা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে।

উদ্ধারকাজ স্থগিত ঘোষণা ফায়ার সার্ভিসের
সকাল থেকে পাইপের ভেতর শিশুটির পড়ে যাওয়া ও তার অবস্থান নিয়ে সংশয় বাড়তে থাকে। পরে বেলা আড়াইটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ খান সাংবাদিকদের জানান, ২৮০ ফুট গভীরে ক্যামেরা দিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। সেখানে শক্ত স্তর থাকায় ক্যামেরা আর নামানো যায়নি বলে দাবি করে ফায়ার সার্ভিস। শিশুটির অস্তিত্ব না পাওয়ায় উদ্ধারকাজ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয় ফায়ার সার্ভিস। তবে ওই স্তরের নিচে শিশুটি রয়েছে কি না, তা নিয়ে তাঁরা সন্দেহ প্রকাশ করেন।

ফায়ার সার্ভিসের ডিজি আলী আহমেদ খান আরও জানান, ক্যামেরায় পাওয়া ছবিতে শিশুটির কোনো অস্তিত্ব মেলেনি। তার পরও শিশুটির পরিবারের আকুতি ও স্থানীয় লোকজনের কথা বিবেচনা করে ফায়ার সার্ভিস উদ্ধারকাজ চালিয়ে যায়। পাইপের ২৮০ ফুট গভীরে ক্যামেরা যায়। এর পরের স্তর ভেঙে আর ক্যামেরা নামানো যায়নি। ক্যাচার (বিশেষ ধরনের খাঁচা) দিয়েও ওই স্তর ভাঙা যায়নি। ফায়ার সার্ভিস কূপটি রেলওয়ের কাছে হস্তান্তর করে দেবে বলে জানায়। রেলওয়ে ওই স্তরসহ পাইপটি তুলবে। প্রয়োজনে ফায়ার সার্ভিস তাঁদের সহযোগিতা করবে বলেও জানায়।

ডিজি আলী আহমেদ খান বলেন, এ ধরনের ঘটনা দেশে প্রথম। বলা চলে পৃথিবীতেও প্রথম। অভিজ্ঞতার ঘাটতির কারণে ভুল হতে পারে। তবে ভুল ইচ্ছাকৃত নয়। তিনি জানান, স্থানীয় লোকজনের কথা শুনে সকাল থেকেই দড়ি, খাঁচা দিয়ে উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হয়েছে। এ সময় সাংবাদিকেরা জানতে চান, শিশুটিকে অনেকে জুস দেওয়ার কথা জানিয়েছিল। শিশুটির কথা শোনা গিয়েছিল বলেও জানা গিয়েছিল। এ সময় ডিজি জানান, পাইপটি গভীর হওয়ায় প্রতিধ্বনি শোনা যেতে পারে। জুস পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সাড়া পাওয়া যায়নি।

‘ছেলেকে কোথায় লুকিয়ে রেখেছ, বলো’

ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) আবদুল হালিম বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাংবাদিকদের জানান, তাঁরা পাইপের ২৪৫ ফুট গভীর পর্যন্ত ক্যামেরা দিয়ে তল্লাশি চালিয়েছেন। সেখানে ভিকটিমের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। শিশুটি না থাকার সম্ভাবনাই বেশি। উদ্ধারকাজে পুলিশের মেকানিক্যাল টিমের একজন এসেছেন বলে তিনি দাবি করেন। তাঁর দাবি, দেশীয় প্রযুক্তি দিয়ে অনেকে উদ্ধারকাজ চালাতে চাইছেন। ফায়ার সার্ভিস তাঁদের সহায়তা করছে।

সকালে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) মেজর শাকিল নেওয়াজ জানান, তাঁরা এখন পাইপের ভেতরে ময়লা পরিষ্কার করে ভেতরে কিছু আছে কি না, তা খুঁজে দেখার চেষ্টা করছেন। তাঁর ভাষ্য, পাইপের ভেতরে আবার দুই ইঞ্চি পাইপ ছিল। সেখান থেকে কিছু খুঁজে বের করা খুব কষ্টসাধ্য। সব ধরনের চেষ্টাই করা হচ্ছে। যতক্ষণ পর্যন্ত সম্ভব অভিযান চলবে। নতুন আরেকটি যন্ত্রও ভেতরে ঢোকানো হচ্ছে বলে তিনি জানান।

শিশু জিহাদের বাড়ি ওই পানির পাম্পের পাশেই। এ/৪০ নম্বরের ওই বাড়ির দোতলায় সাবলেটে থাকে তারা। জিহাদরা তিন ভাইবোন। বড় মেয়ে স্বর্ণা (১৩), মেজো ছেলে ঈশান (৬) ও সবচেয়ে ছোট জিহাদ (৪)।   মা খাদিজা আক্তার বলেন, গতকাল দুপুরে ভাত খেয়ে দুই পাশে দুই ছেলেকে নিয়ে তিনি ঘুমিয়েছিলেন। ঘরের দরজা খোলা ছিল। বিকেলে ঘুম থেকে উঠে দেখেন জিহাদ পাশে নেই।

রেলওয়ের ওই পানির পাম্পের পাইপের পাশে আরেক জায়গায় গর্ত খুঁড়ে পানির পাইপ বসানোর কাজ চলছে। বেলা ১১টার দিকে প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাস্থলের পাশের বাড়ির বাসিন্দা ফাতেমা নামে এক কিশোরী জানায়, সে ব্যাডমিন্টন খেলছিল। খেলার একপর্যায়ে কর্ক পানির পাম্পের পাইপের পাশে পড়ে যায়। আনতে গেলে সে পাইপের ভেতরে কী যেন পড়ার শব্দ শোনে। সে শুনতে পেয়েছে, ‘বাঁচাও মা’। মতিঝিলে পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) আনোয়ার হোসেনের ভাষ্য, জিহাদের বাবা নাসির উদ্দিনকে নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) মেজর শাকিল নেওয়াজ বলেন, চার বছরের শিশু জিহাদ পড়ে যাওয়ার ঘটনার কোনো প্রত্যক্ষদর্শী পাওয়া যায়নি। ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়ার আগেই সেখানে উৎসুক মানুষের ভিড় জমে। শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ কাঠ, দড়ি নানা জিনিস ফেলেন।

পাইপটি কতটা গভীর, জানতে চাইলে শাকিল নেওয়াজ বলেন, এখন পর্যন্ত তাঁরা সঠিক গভীরতা জানেন না। পাইপটির গভীরতার ব্যাপারে ওয়াসাও কোনো সঠিক তথ্য দিতে পারেনি। ঘটনার পর আশপাশে থাকা ওয়াসার পাম্পের কর্মকর্তাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে তিনি দাবি করেন। তবে তাঁদের ক্যামেরার কেবল ৩০০ ফুট গভীর পর্যন্ত গিয়েছিল। এর মধ্যে কোনো কিছুর সন্ধান পাওয়া যায়নি।

গতকাল শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে জিহাদের গভীর পাইপে পড়ে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। খেলতে গিয়ে সে ওই পাইপে পড়ে যায়। ঘণ্টা খানেকের মধ্যে শুরু হয় শিশুটিকে উদ্ধারের তৎপরতা। এরপর প্রায় রাতভর চলে এই অভিযান।

সন্ধ্যা ছয়টার দিকে উদ্ধারকারী দলের একজন জানান, শিশুটি পাইপের ভেতর থেকে সাড়া দিচ্ছে। তার জন্য পাঠানো হয় খাবার ও পানি। পাইপের মধ্যে দেওয়া হয় অক্সিজেন। এরপর থেকে উদ্ধার তৎপরতা নিয়ে পাওয়া যায় একের পর এক বিভ্রান্তিকর তথ্য। রাত পৌনে তিনটার দিকে গর্তে পাঠানো ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখে পাইপের মধ্যে আদৌ কোনো শিশু পড়েছে কি না, এ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন উদ্ধারকর্মীরা। কেউ কেউ বলতে থাকেন, এটি গুজব। তবে অভিযান চলতে থাকে।

রাজনৈতিক উত্তাপসহ সব আলোচনা ছাপিয়ে প্রধান হয়ে ওঠে এ ঘটনা। দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে উৎকণ্ঠা। ঘটনাস্থলের আশপাশে জড়ো হওয়া শত শত মানুষ প্রার্থনা করতে থাকে শিশুটির জন্য।

রেলওয়ে পাম্প থেকে প্রায় ১০০ গজ দূরে রেলওয়ে কলোনির একটি বাড়ির দোতলার একটি কক্ষে পরিবারের সঙ্গে থাকত জিহাদ। তার বাবা নাসির উদ্দিন মতিঝিলের একটি বিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মী। দুই ভাই, এক বোনের মধ্যে জিহাদ সবার ছোট।

জিহাদের ময়না তদন্ত হবে কাল
জিহাদের মরদেহের ময়না তদন্ত আজ শনিবার হবে না। কাল রোববার তার ময়না তদন্ত হবে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যাম্প ইনজার্চ পরিদর্শক মোজাম্মেল হক এ কথা জানান।