ফাঁসির দারপ্রান্তে ৩ জঙ্গিনেতা -পরোয়ানা শুনে বিমর্ষ হান্নান
মোস্তফা কামাল প্রধান : মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হরকাতুল জিহাদ (হুজি) নেতা মুফতি হান্নানকে তার রিভিউ আবেদন খারিজের রায় ও মৃত্যু পরোয়ানা পড়ে শোনানো হয়েছে আজ। আজ বুধবার সকালে কাশিমপুর কারাগারের হাই সিকিউরিটি কনডেম সেলে মুফতি হান্নানকে মৃত্যু পরোয়ানা পড়ে শোনান জেল সুপার মিজানুর রহমান। এসময় মুফতি হান্নানকে বিমর্ষ হয়ে পড়তে দেখা যায় বলে জানান জেল সুপার।
মুফতি হান্নানকে ফাঁসিতে ঝুলানোর ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়ার সব ধাপ শেষে এখন বাকি রয়েছে শুধু প্রেসিডেন্টের কাছে প্রাণ ভিক্ষার আবেদন। মুফতি হান্নান কঠোর নজরদারিতে বন্দি রয়েছেন গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের হাই সিকিউরিটি ইউনিটের কনডেম সেলে।
কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার মিজানুর রহমান জানান, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে রিভিউ আবেদনের খারিজের রায় ও মৃত্যু পরোয়ানা মুফতি হান্নানকে বুধবার সকালে পড়ে শোনানো হয়েছে। তিনি আরো জানান, যেহেতু মুফতি হান্নান একটি স্পর্শকাতর মামলার ফাঁসির আসামি, সেহেতু তাকে বিশেষ নিরাপত্তায় রাখা হয়েছে।
রেডিও, টেলিভিশন অথবা অন্য কোনও গণমাধ্যমের সুবিধাও পাচ্ছেন না তিনি। ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামি মুফতি হান্নান ২০১৩ সাল থেকে কাশিমপুরের হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের হাই সিকিউরিটি ইউনিটে বন্দি রয়েছেন। মুফতি হান্নান ছাড়াও তার সঙ্গে মৃত্যুদ-পাপ্ত অন্য দুজন হলেন- শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল ও দেলোয়ার ওরফে রিপন।
উল্লেখ্য, গত রোববার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ মুফতি হান্নানসহ তিন জঙ্গির মৃত্যুদন্ড বহাল রেখে সর্বোচ্চ আদালতের দেওয়া রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন (রিভিউ) খারিজ করে দেন। ২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটে সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলার মামলায় তাদের মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়।
গত ৬ মার্চ ঢাকার আদালতে হাজিরা দেয়ার পর কাশিমপুর কারাগারে আনার সময় মুফতি হান্নানকে ছিনিয়ে নিতে গাজীপুরের টঙ্গীতে প্রিজন ভ্যান লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে মোস্তফা কামাল ও পরে আরও দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।