• মঙ্গলবার , ৩০ এপ্রিল ২০২৪

প্রধানমন্ত্রীর বিমানে নাশকতা চেষ্ঠা-তদন্ত প্রতিবেদন ২৯ মার্চ


প্রকাশিত: ১:৪৮ পিএম, ১৯ ফেব্রুয়ারি ১৭ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭৭ বার

বিশেষ প্রতিনিধি  :  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানের ইঞ্জিনে অয়েল (লুব্রিকেন্ট) সিস্টেমে bbনাট-বোল্ট খোলা থাকার ঘটনায় দায়ের মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত। রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম গোলাম নবী এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৯ মার্চ দিন নির্ধারণ করেন।

আজ মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের ধার্য তারিখ ছিল। কিন্তু মামলার তদন্ত সংস্থা ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটি) প্রতিবেদন দাখিল না করায় আদালত নতুন এই তারিখ ধার্য করেন।

গত ২৭ নভেম্বর হাঙ্গেরি যাওয়ার পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং ৭৭৭ বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এ সময় তুর্কমেনিস্তানের রাজধানী আশখাবাদে জরুরি অবতরণ করে বিমানটি।

পরে অন্য একটি বিমান পাঠিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে পৌঁছানো হয়। পরে ত্রুটি সারিয়ে ওই উড়োজাহাজটিও হাঙ্গেরি পাঠানো হয়। এ ঘটনায় গত ২৮ নভেম্বর বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) আলাদাভাবে কমিটি গঠন করে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গত ৩০ নভেম্বর বিমানের ইঞ্জিনিয়ারিং ও কারিগরি বিভাগের ছয় কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়। এরপর ১৪ ডিসেম্বর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের তিনজন শীর্ষ প্রকৌশলীকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

এ ঘটনায় ২০ ডিসেম্বর মধ্যরাতে বিমানবন্দর থানায় ৯ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন বাংলাদেশ বিমানের পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট) এমএম আসাদুজ্জামান।
এরপরই পরে তাদের গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে তারা কারাবন্দি আছেন।

মামলার আসামিরা হলেন- বিমানের প্রধান প্রকৌশলী (প্রোডাকশান) দেবেশ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী (কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স) এস এ সিদ্দিক, প্রধান প্রকৌশলী (মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড সিস্টেম কন্ট্রোল) বিল্লাল হোসেন, প্রকৌশল কর্মকর্তা এস এম রোকনুজ্জামান, সামিউল হক, লুৎফুর রহমান, মিলন চন্দ্র বিশ্বাস, জাকির হোসাইন ও টেকনিশিয়ান সিদ্দিকুর রহমান।