• মঙ্গলবার , ৭ মে ২০২৪

‘পদ বাণিজ্যে কোটি কোটি টাকা নিচ্ছে নুর’


প্রকাশিত: ১২:০৬ এএম, ৩ জুলাই ২৩ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩৮ বার

বিশেষ প্রতিনিধি : গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর পদ বাণিজ্যে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে নুর।গোয়েন্দা সংস্থা এটা জেনেও নুরের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন রেজা কিবরিযা। এ অবস্থায় ক্ষুদ্ধ তিনি। সেজন্য আর নুরের সঙ্গে কাজ করবেন না বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া। তিনি বলেন, নুরকে চিনতে ভুল করেছি, আমি বিশ্বাসঘাতকতার শিকার।

রোববার (২ জুলাই) দুপুরে গুলশানে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রেজা কিবরিয়া। সংগঠনটির আহ্বায়ক বলেন, বিপুল অংকের লোভেই ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করেছেন নুর। কালো ব্যাগ নিয়ে দেশে ফেরেন তিনি। শিগগিরই নুরকে আইনি নোটিশ দেবেন জানিয়ে রেজা কিবরিয়া বলেন, ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার মদতপুষ্ট নুরের সঙ্গে আমি কাজ করব না।

তিনি বলেন, গণপরিষদে দ্বন্দ্বের মূল কারণই নুরের আর্থিক অস্বচ্ছতা, বিভিন্ন জায়গা থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থের উৎস জানতে চাওয়ায় রেগে যায় নুর। এরপর থেকে সে আমাকে দল থেকে সরানোর জন্য উঠেপড়ে লাগে। রেজা কিবরিয়া বলেন, গঠনতন্ত্রকে উপেক্ষা করেই নুর আমার বিরুদ্ধে বহিষ্কারাদেশ দিয়েছেন। এটি অবৈধ। ৪৩ বছর ভালো চাকরির পর দেশের কাজ করে রাজনীতিতে এসেছি আমি, আর নুর ৪৩ দিনও হালাল উপার্জন করেননি।

নুরের ইসরায়েলি অর্থের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্ত করা উচিত মন্তব্য করে তিনি বলেন, আশ্চর্যজনকভাবে তারা নিষ্ক্রিয়। আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য নুর দলের বেশ কয়েকজনকে ২ কোটি টাকা করে অফার দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন রেজা কিবরিয়া।

তিনি বলেন, আমি বিএনপি ভাঙ্গার কোনো চেষ্টাই করছি না। আমি কখনোই চাই না বিএনপি ভাঙ্গুক। বর্তমান নেতৃত্বের ওপর আমার আস্থা আছে। নুরের হাত থেকে দলকে বাঁচাতে আমি কাজ করে যাব। পদত্যাগ করব না। ইসরায়েলি কানেকশন নিয়ে প্রশ্ন করাতেই নুর জানিয়েছিলেন সে কোনো প্রশ্নের উত্তর দেবেন না। যতটুকু বুঝতে পেরেছি নুরের জন্য ইসরায়েলি অর্থ অনেক গুরুত্বপূর্ণ, যোগ করেন রেজা কিবরিয়া।

কিবরিয়া বলেন, প্রবাসী অধিকার পরিষদের সব টাকাই সরাসরি নুরের কাছে যায়। তার একার স্বাক্ষরেই সেসব টাকা নেয়। দলের আর কারো নাম সে রাখেনি। বিভিন্ন দেশের প্রবাসীদের পদ দেয়ার নাম করে সে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা নিচ্ছে। ওমান থেকে একজনকে পদ দেয়ার কথা বলে ৩ লাখ টাকা নিয়েও পদ না দেয়ায় ওই ব্যক্তি অভিযোগ করেছে। সবশেষ ২ দফায় কাতার সফরে বিপুল অংকের টাকা এনে আত্মসাৎ করেছেন নুর। নুরের জবাবদিহিতার অভাবে গণঅধিকার পরিষদে বর্তমান বিশৃঙ্খলা বলেও অভিযোগ করেন রেজা কিবরিয়া।