• বৃহস্পতিবার , ২ মে ২০২৪

‘নীতিমালা লংঘন করে ওমরা হজে লোক পাঠানোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন’


প্রকাশিত: ৭:০৯ পিএম, ১৮ মে ১৬ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৮২ বার

সংসদ রিপোর্টার  :   ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় ধর্ম মন্ত্রণালয় 111নির্ধারিত নীতিমালা লংঘন করে ওমরা হজে অতিরিক্ত লোক পাঠানোর সাথে জড়িত এসেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।আজ সংসদ ভবনে কমিটির সভাপতি বজলুল হক হারুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ পরামর্শ দেয়া হয়।

কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লা, মোঃ আসলামুল হক, এ.কে.এম.এ আউয়াল (সাইদুর রহমান),আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন, সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, মোঃ মকবুল হোসেন, মোহাম্মদ আমির হোসেন এবং দিলারা বেগম সভায় অংশগ্রহণ করেন।

সভায় কমিটির ১৮তম বৈঠকের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রতিবেদন সভায় উপস্থাপন করে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সভায় প্রয়াত সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিনের মৃত্যুতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।

সভায় হজ্জ যাত্রীদের জন্য হজ্জ ব্যাগ তৈরীর অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়। হজ্জ নীতিমালায় ব্যাগ তৈরীর জন্য হজ্জ যাত্রীদের নিকট থেকে সংগৃহীত অর্থ হজ্জ এজেন্সি অব বাংলাদেশ (হাব) এর একাউন্টে প্রেরণের যে বিধান রয়েছে তা বাতিল করার পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দেয়া হয় ।

সভায় বিধিবিধান প্রতিপালন ব্যতীত হাব কোন ধরনের পদক্ষেপ নিতে চাইলে তা বাতিল করার জন্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা প্রদান এবং তৈরী করা হজ্জ ব্যাগের নমুনা গঠিত সংসদীয় সাব-কমিটির নিকট উপস্থাপন করে মান যাচাই সাপেক্ষে অনুমোদন নিয়ে সরবরাহ করার সুপারিশ করা হয়।

সভায পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের আলোকে মন্ত্রণালয় গৃহীত নীতিমালার আলোকে ২০১৬ সালে প্রতিটি হজ্জ এজেন্সি থেকে ৫শ’ জনের বেশী হাজী ওমরাহ্ পালনের জন্য সৌদি আরবে প্রেরণ করতে পারবে মর্মে বাংলাদেশস্থ সৌদি দূতাবাসকে পত্র প্রদানের পর পুনরায় কেন কয়েকটি এজেন্সিকে ৫শ’ জনের অতিরিক্ত হাজী ওমরাহ্ পালনের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে তা জানতে চাওয়া হয়। কমিটি এ ধরনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন না করতে মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা গ্রহনের সুপারিশ করে।

সভায় বেসরকারী হজ্ব যাত্রীদের মধ্যে রেজিষ্ট্রেশনকৃতরা হজ্জে গমন না করলে শূন্য স্থানে সংসদীয় কমিটিকে অবহিত রেখে ও তাদের সুপারিশের আলোকে হজ্জ যাত্রীদের কোটা পূরণ করার সুপারিশ করা হয়।সভায় কালো তালিকাভুক্ত ও অভিযুক্ত ১০৪টি হজ্জ এজেন্সি নিয়ে আলোচনা করা হয়।

হজ্জ এজেন্সিগুলোর জরিমানা সম্পর্কে সংসদের ফ্লোরে ধর্ম মন্ত্রী উত্থাপিত জরিমানার পরিমানের সাথে কমিটির নিকট মন্ত্রণালয় থেকে উত্থাপিত জরিমানার পরিমান কতটুকু সাঞ্জস্যপূর্ন তা খতিয়ে দেখে কমিটির পরবর্তি বৈঠকে বিস্তারিতভাবে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য মন্ত্রণালয়কে পুনরায় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
সভায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মোঃ আব্দুল জলিল, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বিভাগের এবং সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।