• সোমবার , ২৯ এপ্রিল ২০২৪

নির্বাচন আসলে ভয়ে থাকি-সহিংসতার শিকার হয় সংখ্যালঘুরা


প্রকাশিত: ৬:৩৫ পিএম, ১৪ নভেম্বর ২৩ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩০ বার

স্টাফ রিপোর্টার : আমাদের দেশে সম্প্রীতি বারবার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কখনো ধর্মের নামে কখনো রাজনীতির নামে। সামনে নির্বাচন, নির্বাচনের আসলেই আমরা ভয়ে থাকি। নির্বাচনের আগে, সময় ও পরে যে ।১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশকে পেছনে নিয়ে যাওয়া হয়। যার সকল সংকট তখন শুরু হয় এখনও চলছে বলে জানিয়েছেন বক্তারা। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘সম্প্রীতির বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার ঠাঁই নাই’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আগামী নির্বাচনে হুমকি হতে পারে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন শিক্ষাবিদ ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল। তিনি বলেন, ভারতে নির্বাচনে নাকি ভয় সোশ্যাল মিডিয়া। আমাদের এখানেও ভয় আছে। আমি সোশ্যাল মিডিয়াকে ভয় পাই।মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘সম্প্রীতির বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার ঠাঁই নাই’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় মুখ্য আলোচক হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।

জাফর ইকবাল বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশকে পেছনে নিয়ে যাওয়া হয়। যার সকল সংকট তখন শুরু হয় এখনও চলছে। যারা ৭১ এ বিজয়ী হয়ে আসছে তারা কেউ হতাশ হয়না। বাংলাদেশের মানুষরা প্রয়োজনে একত্রিত হয়। তার জন্য কাজ করতে হবে। শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ তার প্রমাণ।

এই শিক্ষাবিদ বলেন, প্রাইমারি স্কুল থেকে শিক্ষার্থীদের মাথায় অসাম্প্রদায়িকতা ঢুকাতে হবে। কওমি মাদরাসার ৩৫ লাখ শিশুকে আমরা রক্ষা করতে পারছি না, এটা আমাদের ব্যর্থতা। হেফাজতের পরামর্শে পাঠ্যপুস্তকের লেখা চেঞ্জ করা হয়।
আলোচনা সভায় ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া বলেন, আমাদের দেশে সম্প্রীতি বারবার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কখনো ধর্মের নামে কখনো রাজনীতির নামে। সামনে নির্বাচন, নির্বাচনের আসলেই আমরা ভয়ে থাকি। নির্বাচনের আগে, সময় ও পরে যে সহিংসতা হয় তার শিকার হয় বেশির ভাগ সংখ্যালঘুরা।