• সোমবার , ২৯ এপ্রিল ২০২৪

নিরাপত্তার চাদরে ইসি


প্রকাশিত: ৯:১১ পিএম, ১৫ নভেম্বর ২৩ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩৪ বার

বিশেষ প্রতিনিধি : তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয় ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। এছাড়াও ঢাকায় নির্বাচন কমিশনের সকল কার্যালয় নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়ার কথা জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (অপারেশনস) বিপ্লব কুমার সরকার। বুধবার (১৫ নভেম্বর) ডিএমপি সদরদপ্তরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি জানান, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর রাজধানীবাসীর সার্বিক নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন একদিকে রেখে নিরাপত্তার বিষয়ে যদি বলি তাহলে বলবো, ঢাকাবাসীকে নিরাপদ রাখতে যত ধরনের আইনগত ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন, ডিএমপি সব ব্যবস্থা নিয়েছে।

বিএনপির চলমান অবরোধের মধ্যেই তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি চলছে। এরমধ্যে কোনো সহিংসতার শঙ্কা রয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা গণমাধ্যমে জেনেছি প্রধান নির্বাচন কমিশনার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন এবং তফসিল ঘোষণা করবেন। তফসিলের পর নির্বাচন সামনে রেখে ঢাকাবাসীর নিরাপত্তায় সব ধরনের আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যত ধরনের নিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রয়োজন সবই আমরা গ্রহণ করেছি। রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি নিয়ে কোনো কথা নেই। তারা তাদের কর্মসূচি পালন করবে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার কোনো দলের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে না। কিন্তু রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে কেউ যদি বাস পোড়ানো, গাড়ি ভাঙচুর করার চেষ্টা করে এবং রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে কেউ যদি অরাজকতা করার চেষ্টা করে, নগরবাসীর জীবনযাত্রায় বিঘ্ন সৃষ্টির চেষ্টা করে এবং নগরবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করে তাদের বিরুদ্ধে ডিএমপি জিরো টলারেন্স নীতিতে রয়েছে। বিন্দুমাত্র নাশকতা অরাজকতা সহ্য করা হবে না।

সন্ধ্যা হলেই বাসে আগুন কোনোভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়েছে কি না, জানতে চাইলে বিপ্লব কুমার বলেন, বাসে আগুনের ঘটনা ঘটছে অবরোধের আগে। অবরোধ ছিল আজ। কিন্তু অবরোধের আগেই বাসে আগুন দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। বাসে আগুন দেয়া ফৌজদারি অপরাধ। তাদের টার্গেট সাধারণ মানুষের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা। আতঙ্ক সৃষ্টি করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করা হচ্ছে। বাস পোড়ানো কোনো রাজনীতির অংশ হতে পারে না। এ অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের অনেককেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

যুগ্ম পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বহুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পাশাপাশি নাশকতায় যুক্ত ১৪ জনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাকিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা যাদের নাম পেয়েছি ধরে ধরে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। যারা বাইরে থেকে নাশকতা করছেন তারা যদি ভাবেন যে অধরা থাকবেন তাহলে ভুল ভাবছেন। পুলিশের নেটওয়ার্কে আজ অথবা কাল আসতেই হবে। নাশকতাকারীদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ করছে। নাশকতাকারী উচ্চ পর্যায়ের হোক অথবা নিম্ন পর্যায়ের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।

আগুন নেভানোসহ পুলিশের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড এডিট করে অনলাইনে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। গুজব প্রতিরোধে ডিএমপির প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে যুগ্ম কমিশনার বলেন, গুজব একটি অনৈতিক ও অপরাধমূলক কাজ। পুলিশের পজিটিভ নিউজ এডিট করে নেগেটিভ বা গুজব হিসেবে প্রচার করা অনৈতিক কাজ।

তিনি বলেন, যারা নাশকতা করছে, বাসে আগুন দিচ্ছে তারাই কিন্তু এ ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে। তারা রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় না গিয়ে নাশকতার পথ বেছে নিয়েছে। অনেকের শরীরে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ডিএমপি পুলিশের পাশাপাশি সিটিটিসির সাইবার, ডিবির সাইবার টিমসহ আমাদের প্রতিটি টিম দিনরাত সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে কাজ করছে। নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে এগোনো হচ্ছে। কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবে না।

বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, কেউ যদি মিছিলের নামে নাশকতার চেষ্টা করে এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় বিঘ্ন সৃষ্টির চেষ্টা করে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। আমরা সব ব্যবস্থা নিয়েছি এবং সে অনুযায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজিয়েছি।