• মঙ্গলবার , ৩০ এপ্রিল ২০২৪

দুর্নীতিবাজ রাঘববোয়ালদের পক্ষে আইন-প্রধানমন্ত্রী কি বিভ্রান্ত?


প্রকাশিত: ৪:২৮ পিএম, ৩০ জানুয়ারী ১৮ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫৬ বার

বিশেষ প্রতিনিধি :  ভোটের বছরে প্রধানমন্ত্রীকে বিভ্রান্ত করতে এবং মিডিয়াকে সরকারের বিরুদ্ধে উস্কে দিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খসড়া তৈরী করা হয়েছে বলে একাধিক PM-www.jatirkhantha.com.bdবিশিষ্ঠ ব্যক্তি জাতিরকন্ঠকে জানিয়েছেন। তবে বিশেষজ্ঞরা অভিমত দিয়েছেন যে, নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নয়া ডিজিটাল আইনের ব্যাখ্যাগুলো পড়েননি। তিনি এসব পড়ে দেখলে নিশ্চয়ই এমনটা হতো’না! অভিযোগ করা হয়েছে, সরকারের নয়া ডিজিটাল আইন দুর্নীতিবাজ রাঘববোয়ালদের পক্ষে চলে যাওয়ার পথ তৈরী হয়েছে।

এই আইন পাশ হলে বেসিক ব্যাংকের মতো মহা দুর্নীতির তথ্য সংগ্রহের জন্যে শেখ আবদুল হাই বাচ্চুর কাছে গিয়ে বলতে হবে, আপনি যে দুর্নীতি করেছেন সেই তথ্য-প্রমাণগুলো দেন। আমরা রিপোর্ট করব। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দুর্নীতিবাজের বিরুদ্ধে লিখতে হলে এভাবেই সাংবাদিকতা করতে হবে।তানাহলে হলমার্ক, রিজার্ভ চুরি, মুক্তিযুদ্ধের বিদেশি অতিথিদের স্বর্ণপদকে ভেজাল, বেসিক ব্যাংক ডাকাতির তথ্য গোপনে সংগ্রহ করে সংবাদ প্রকাশ করলে, তা গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে অভিযুক্ত হতে হবে। আর এর শাস্তি ১৪ বছরের জেল, ২০ লাখ টাকা জরিমানা।

আইনটি’র খসড়া নিয়ে সকল যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দার ঝড় বইছে সারাদেশে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মন্তব্য করে নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদক গোলাম মর্তুজা। তিনি তার ফেসবুকে লিখেছেন- ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ধারাগুলো ৫৭ ধারার চেয়েও ভয়ঙ্কর নিপীড়নমূলক। বেসিক ব্যাংকের মতো মহা দুর্নীতির তথ্য সংগ্রহের জন্যে শেখ আবদুল হাই বাচ্চুর কাছে গিয়ে বলতে হবে, আপনি যে দুর্নীতি করেছেন সেই তথ্য-প্রমাণগুলো দেন; আমরা রিপোর্ট করব।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী, সাংবাদিকতা এভাবেই করতে হবে। হলমার্ক, রিজার্ভ চুরি, মুক্তিযুদ্ধের বিদেশি অতিথিদের স্বর্ণপদকে ভেজাল, বেসিক ব্যাংক ডাকাতির তথ্য গোপনে সংগ্রহ করে সংবাদ প্রকাশ করলে, তা গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে অভিযুক্ত হবে। শাস্তি ১৪ বছরের জেল, ২০ লাখ টাকা জরিমানা।এই আইন দ্বারা দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে।

গণমাধ্যম বা গণমাধ্যম কর্মীরা এসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির সংবাদ তখনই প্রকাশ করতে পারবেন, যখন তারা স্বেচ্ছায় নিজেদের করা দুর্নীতির তথ্য- প্রমাণ নিজেরা সরবারাহ করবে। আর গণমাধ্যম কর্মীরা তাদের নিজস্ব পদ্ধতিতে মানে গোপনে তথ্য- প্রমাণ সংগ্রহ করলে, গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে অভিযুক্ত হবেন।ফলে দুর্নীতির সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হবে না।

টিআইবি দুর্নীতির ধারণ সূচক প্রস্তুতের জন্যে গণমাধ্যম থেকে দুর্নীতির তথ্য পাবে না। বাংলাদেশ বলতে পারবে ‘দেশে আর কোনো দুর্নীতি নাই’। আছে শুধু ‘উন্নয়ন আর উন্নয়ন’।মোস্তাফিজুর রহমান নামে একজন লিখেছেন, ‘চারদ‌িকে কাঁটাতার‌ের ব‌েড়া দ‌িয়ে একট‌ি বৃহৎ কারাগার‌ে মানুষক‌ে বন্দী কর‌ে ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতা দখল‌ে রাখার ফন্দ‌ি ফ‌িক‌ির। এ থ‌েকে পর‌িত্রাণ পাবার প্রতীক্ষায় দ‌েশবাসী’।

মোহাম্মদ সায়েদুর রহমান নামে অারেকজন লিখেছেন, ‘সাগর চুরির তথ্য গোপন করতে না পারলে ডিজিটাল উন্নয়নের পালাগান গাইবো ক্যামনে?এভাবে আরেও অনেকেই মতামত প্রকাশ করেছেন।প্রসঙ্গত, তথ্যপ্রযুক্তি আইনের বহুল আলোচিত কয়েকটি ধারা বিলুপ্ত করা হলেও ৫৭ ধারায় বর্ণিত অপরাধ ও শাস্তির বিধান পুনর্বিন্যাস করে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮’-এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অনুমোদন দেওয়া হয়।