• শনিবার , ১৬ নভেম্বর ২০২৪

দুদকের জালে মহাজালিয়াত-মুন গ্রুপের চেয়ারম্যান মিজান পাকরাও


প্রকাশিত: ১০:৩৬ পিএম, ১০ আগস্ট ১৬ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩৯ বার

আসমা খন্দকার  :  অবশেষে দুদকের জালে মহাজালিয়াত-মুন গ্রুপের চেয়ারম্যান মিজান পাকরাও Moon-mizan arrest-www.jatirkhantha.com.bdহয়েছে। অগ্রণী ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় মুন গ্রুপের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে সংস্থাটি। আজ বুধবার রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে বলেন, মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে অগ্রণী ব্যাংকের ২২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।

গত ৩০ জুন অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ আবদুল হামিদ, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মিজানুর রহমান খান, মুন গ্রুপের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, ব্যাংকটির আরও পাঁচজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাসহ আটজনকে আসামি করে মামলা করেছিল দুদক।

মামলা করার পরপরই ৩০ জুন গ্রেপ্তার হয়েছিলেন অগ্রণী ব্যাংকের ডিএমডি মিজানুর রহমান খান, ব্যাংকটির উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. আখতারুল আলম ও সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. শফিউল্লাহ। মিজানুর রহমান খান গত বৃহস্পতিবার জামিন পান।

ওই মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে নিজেরা লাভবান হয়ে এবং অন্যদের লাভবান করে প্রতারণা, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করেছেন। রাজধানীর কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ড–সংলগ্ন ৫৫৫ নম্বর প্লটে মিজানুর রহমানের বৈধ মালিকানা ছিল না।

ওই জমির মালিকানা নিয়ে আদালতে মামলা চলছিল। তা ছাড়া রাজউক অনুমোদিত বৈধ নকশাও ছিল না। বিতর্কিত ওই জমিতে নির্মাণাধীন একটি ভবনের অস্বাভাবিক নির্মাণ ব্যয় ও আয় দেখিয়ে মিথ্যা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে মুন গ্রুপকে ১০৮ কোটি টাকা ঋণ দেয় অগ্রণী ব্যাংক। মঞ্জুর হওয়া ঋণ থেকে পর্যায়ক্রমে ৯৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা তুলে নিয়ে ব্যাংক তথা রাষ্ট্রের ওই পরিমাণ অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

দুদকের অনুসন্ধানকারী টিম জাতিরকন্ঠকে জানায়, ৯৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হলেও মামলার তদন্ত চলাকালে তাঁর বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ২২০ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তদন্তে আরও আত্মসাতের তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যেতে পারে বলে তাদের ধারণা। অগ্রণী ব্যাংকে মুন গ্রুপের মোট ঋণ ৩০০ কোটি টাকার বেশি বলে জানিয়েছে সূত্রটি।

উল্লেখ্য, মিজানুর রহমানের প্রতিষ্ঠান এমআর ট্রেডিং রাজধানীর দিলকুশায় সরকারি জমির ওপর ‘সানমুন স্টার টাওয়ার’ নামে ৩০ তলা আরেকটি ভবন তৈরি করেছিল। সে ক্ষেত্রেও পদে পদে অনিয়ম-দুর্নীতি, নির্মাণে আইন, বিধি, নীতিমালা—কোনোটাই মানা হয়নি। সাউথ বাংলা এগ্রিকালচারাল ব্যাংকের পরিচালক ছিলেন মিজানুর রহমান। ব্যাংকের পর্ষদ তাঁকে এ পদ থেকে অব্যাহতি দেয়।