• রোববার , ১৯ মে ২০২৪

তাড়াহুড়ার ভোট ধরে নিন গন্ডগোল হবে-বললেন বিশেষজ্ঞরা


প্রকাশিত: ২:২৮ এএম, ২৯ নভেম্বর ১৫ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৬৫ বার

প্রিয়া রহমান:   তাড়াহুড়ার ভোট ধরে নিন গন্ডগোল হবে বললেন বিশেষজ্ঞরা। একই সঙ্গে একদিনে ২৩৬টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন তাঁরা। তাঁদের মতে, এ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া কঠিন হবে। ফলে অনিয়ম, কারচুপি ও সংঘাত বেশি হতে পারে। কারণ, নির্বাচন কমিশন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত উপস্থিতির জন্য গত উপজেলা নির্বাচন ধাপে ধাপে Bangladesh Electionসম্পন্ন করে। এরপরেও অনিয়ম, কারচুপি ও সংঘাত সৃষ্টি হয়BANGLADESH vote-www.jatirkhantha.com.bd

আর এবার একদিনে নির্বাচন সম্পন্ন করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি অনেক কম হবে। এতে আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে অনিয়ম বাড়তে পারে।সর্বশেষ ২০১১ সালে ১২, ১৩, ১৭ ও ১৮ জানুয়ারি চার দিনে পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এবার সময় সল্পতার কারণে তাড়াহুড়া করে নির্বাচন আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।

তবে একদিনেই ২৩৬টি পৌরসভা নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম. সাখাওয়াত হোসেন।তিনি বলেন,তাড়াহুড়ার ভোট ধরে নিন গন্ডগোল হবে। বললেন- নির্বাচনে যে এটা একটা গোলমালের বিষয় হবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। একই নির্বাচনে দুই ধরনের আইনে অনেক কিছুই হবে।

কীভাবে নির্বাচন কমিশন সামাল দিবে এটা বলতে পারছি না। যারা আইন দিয়ে নির্বাচন করাবে তারা ভালো বলতে পারবে। দেখতে হবে এখন কী হয়। এখন মানুষ ভোট দিতেও যেতে চাই না। ভোটের প্রতি মানুষের আস্তে আস্তে অনিহা হয়ে যাচ্ছে। কারণ, বুথে যাওয়ার আগেই বুথ দখল হচ্ছে। সিল মারামারি হচ্ছে।

কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না মানুষকে।ইসি কর্মকর্তারা বলেন, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন সম্পন্ন না হলে আইনি জটিলতা বেড়ে যাবে। নতুন ভোটারদের যুক্ত করতে হলে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কারণ, ২ তারিখে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে।

এরপর দাবি, আপত্তি ও শুনানি শেষে ৩১ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। এ ছাড়া জানুয়ারিতে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা নিয়ে ইসি কর্মকর্তারা ব্যস্ত থাকবেন। আবার জানুয়ারিতে শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমা। ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি পরীক্ষা। এপ্রিলে শুরু হবে এইচএসসি পরীক্ষা।

গত ২৪ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেন, পৌরসভা নির্বাচন একটি বড় নির্বাচন। এ নির্বাচনে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেবো। বিভিন্ন বাহিনীর সঙ্গে সভা করেই সে বিষয়টি ঠিক করা হবে।
স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ বলেন, এ নির্বাচন নিয়ে নানামুখী আশঙ্কা রয়েছে। দেখতে হবে সব দলগুলো নির্বাচনে আসছে কি না। ভোটাররা নির্বাচনমুখী হচ্ছে কি না। ভোটাররা তো বহুদিন যাবৎ নির্বাচনে আসছে না।

ভোটাররা নির্বাচন থেকে বিমুখ হয়ে আছে। দিন দিন অনিয়ম বাড়ছে।তিনি বলেন, পৌরসভা নির্বাচনের আইনটা যে হলো পুরোপুরি হলো না। এটা রাজনৈতিকও হলো না, অরাজনৈতিকও হলো না। পরিবর্তনের অর্থটাই বা কী? অর্থটাই ক্লিয়ার হল না। এতে আসন্ন নির্বাচনে সমস্যা তো কিছু হবেই।