• বৃহস্পতিবার , ২ মে ২০২৪

হেলিকপ্টার দূর্ঘটনারোধে সরকারের তদারকি জরুরী:প্রকৌ.মেহেদী হাসান


প্রকাশিত: ৩:১০ পিএম, ১৩ অক্টোবর ১৮ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৯৬ বার

বিশেষ প্রতিনিধি : যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ এবং সিভিল এভিয়েশনের তদারকি না থাকলে হেলিকপ্টার দূর্ঘটনা বাড়তেই থাকবে বলে অভিযোগ করেছেন স্বর্ণ কিশোরী ফাউন্ডেশনের উপদেষ্ঠা প্রকৌশলী মেহেদী হাসান। এ ধরনের দূর্ঘটনায় জান মালের ক্ষতির সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মনের ভয় ও প্রযুক্তিভীতিও প্রকট আকার ধারণ করছে। আজ এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেছেন। তিনি বলেন, সিভিল এভিয়েশনকে এক্ষেত্রে শুধু তদন্ত করলেই চলবে না। এজন্য তাদের নিতে হবে যথাযথ ব্যবস্থা। তানা হলে হেলিকপ্টার দূর্ঘটনা বাড়তেই থাকবে।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাজশাহীতে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম ও চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, স্বর্ণ কিশোরী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী ফারজানা ব্রাউনিয়া, সংগীতশিল্পী ফেরদৌস আরাসহ ছয়জন অল্পের জন্যে প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন অাল্লাহর অশেষ রহমতের কারণে। কিন্তু যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ এবং সিভিল এভিয়েশনের তদারকি থাকলে হেলিকপ্টার দূর্ঘটনা ঘটত না।

তিনি বলেন, স্বর্ণকিশোরীদের কৃতিত্বের জন্যে তাঁদের সাইকেল বিতরন অনুষ্ঠানে তাঁরও যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি জার্মানির ফ্রাংকফ্রুট বইমেলায় অবস্থানের কারণে স্বর্ণ কিশোরী ফাউন্ডেশনের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেননি।তিনি বলেন, এর আগে ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর হেলিকপ্টার দূর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার বাংলাদেশের খ্যাতনামা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। অভিযোগ ছিল তখনও সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ যথাযথ তদারকি করেননি।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকায় কয়েকটি বেসরকারি হেলিকপ্টার সার্ভিস রয়েছে। সিভিল এভিয়েশনের হিসাব অনুযায়ী বর্তমানে ৯টি কোম্পানির ১৫টি হেলিকপ্টার রয়েছে।বাণিজ্যিক ভিত্তিতে হেলিকপ্টার সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় কোম্পানি সিকদার গ্রুপের মালিকানাধীন আরএনআর এয়ারলাইন্স। তাদের ৩টি হেলিকপ্টার। এগুলো হল বেল-৪০৪, আর-৬৬ ও আর-৪৪ হেলিকপ্টার। আরও দুটি আর-৬৬ হেলিকপ্টার শিগগিরই ঢাকায় আসছে।

এছাড়া রাজনীতিক মেজর আবদুল মান্নানের সাউথ এশিয়ান এয়ারলাইন্সের ৩টি (২টি আর-৪৪, ১টি আর-৬৬), স্কয়ার গ্রুপের ১টি, চট্টগ্রামের পিএইচপি গ্রুপের ১টি, বাংলা ইন্টারন্যাশনালের ১টি, বিআরবি কেবলের ১টি, মেঘনা গ্রুপের ১টি, আরিরান (ইয়াং ওয়াং) গ্রুপের ২টি, এমএএস বাংলাদেশের ১টি হেলিকপ্টার রয়েছে। এছাড়াও ৩/৪টি কোম্পানি হেলিকপ্টার নিয়ে এলেও এখনও পর্যন্ত এওসি পায়নি।

এর মধ্যে বিআরবি কেবল, বাংলা ইন্টারন্যাশনাল, পিএইচপি এয়ারলাইন্স রয়েছে। সাধারণ কাজের জন্য হেলিকপ্টারের ভাড়া প্রতি ঘণ্টার জন্য ১ লাখ টাকা, আর ১৫ শতাংশ ট্যাক্স। কিন্তু এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের জন্য প্রতি ঘণ্টায় ৯০ হাজার টাকা ভাড়া দিতে হয়, সঙ্গে ১৫ শতাংশ ট্যাক্স। এছাড়া ভূমিতে অপেক্ষমাণ চার্জ প্রতি ঘণ্টার জন্য ৬ হাজার টাকা, সঙ্গে ১৫ শতাংশ ট্যাক্স।

সিভিল এভিয়েশন সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীতে বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটির রেজিস্ট্রেশন নম্বর এস-২ এএইচডাব্লিউ (S-2 AHW)। এর নাম ইউরোকপ্টার ইসি-১৩০ (Eurocopter EC-130)। এর মালিক ইমপ্রেস এভিয়েশন লিমিটেড।তবে ইমপ্রেস এভিয়েশনের হেলিকপ্টার থাকলেও পরিচালনার নিজস্ব কোনও লাইসেন্স নেই। এটিএল নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে হেলিকপ্টারটির ফ্লাইট পরিচালিত হতো।