• বৃহস্পতিবার , ৯ মে ২০২৪

ঢাকার বাইরে বিভাগীয় শহরে ঈদ জামায়াত-


প্রকাশিত: ১২:০৬ এএম, ৩ মে ২২ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১০৯ বার

ডেস্ক রিপোর্টার : ঢাকার বাইরে বিভাগীয় শহরসহ বিভিন্ন জেলায় অনুষ্ঠিত হবে ঈদ জামায়াত- প্রিয় পাঠক জেনে নিন কোথায় কখন ঈদ জামায়াত সমূহ-

রংপুর

ঢাকার বাইরে রংপুর নগরীতে ঈদের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। এ ঈদগাহ ময়দানে ২০ থেকে ২৫ হাজার মুসল্লি অংশ নিতে পারবেন।ইসলামিক ফাউন্ডেশন রংপুরের পরিচালক মুহাম্মদ আবুল কালাম জানান, আবহাওয়া খারাপ থাকলে কিংবা বৃষ্টি হলে সকাল ৯টায় মডেল মসজিদে হবে প্রধান জামাত।এবারে রংপুর পুলিশ লাইন মাঠে ঈদের জামাত হবে না, তবে সকাল ৮টায় পুলিশ লাইন্সের ভিতরে ঈদের নামাজ হবে।

সদর মসজিদ মাঠ, পশ্চিম নীলকণ্ঠ ঈদগাহ মাঠ, মুন্সিপাড়া ঈদগাহ,রংপুর মেডিকেল কলেজ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে সকাল সাড়ে ৮টায় এবং বড়বাড়ি ঈদগাহ, দামুদরপুর বড় ঈদগাহ মাঠে সকাল ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। কেরামত আলী মাজার সংলগ্ন কেরামতিয়া মসজিদে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৯টায়।
এছাড়াও নগরী ও জেলার বিভিন্ন এলাকার বেশিরভাগ ঈদগাহ মাঠে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সকাল ৯টার ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

রাজশাহী
রাজশাহীতে ঈদুল ফিতরের নামাজের প্রধান জামাত হবে সকাল ৮টায় রাজশাহী শহরের হযরত শাহমখদুম রূপোস (রহ.) কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে।এখানে ইমামতি করবেন জামিয়া ইসলামিয়া শাহমখদুম (রহ.) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি শাহাদত আলী।তিনি জানান, ঈদের দিন বৈরী আবহাওয়া থাকলে ঈদগাহ ময়দানের পরিবর্তে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে হযরত শাহমখদুম (রহ.) দরগা শরীফ জামে মসজিদে। সেখানে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হলেও সময় অপরিবর্তিত থাকবে।

রাজশাহীতে ঈদের দ্বিতীয় প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে নগরীর টিকাপাড়া ঈদগাহ ময়দানে। সেখানেও সময় নির্ধারণ করা হয়েছে সকাল ৮টা।এ ছাড়া নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টেও ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়। এখানে সাহেববাজার বড় মসজিদসহ মধ্য শহরের পাঁচটি মসজিদের মুসল্লিরা ঈদের নামাজ আদায় করবেন। এবারও এখানে নারীদেরও জামাতে নামাজের আলাদা ব্যবস্থা থাকবে।
রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল জানিয়েছে, শহরের প্রায় ৫০টি এবং জেলার ৯ উপজেলায় আরও প্রায় ৩৫০টি ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় হবে। এ জন্য ইতোমধ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে ঈদগাহ কমিটি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গুরুত্বপূর্ন ঈদগাহে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।

ময়মনসিংহ
ইসলামিক ফাউন্ডেশন ময়মনসিংহের পরিচালক মো.আজমল হক জানান, ময়মনসিংহে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায় নগরীর আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে। একই স্থানে দ্বিতীয় জামাত হবে সকাল ৯টায়। এছাড়াও আকুয়া মার্কাজ মসজিদে সকাল ৭টা, ঐতিহ্যবাহী বড় মসজিদে সকাল সাড়ে ৯টা, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সাড়ে ৮টায়, ভাটিকাশর জামে মসজিদে সকাল ৯টা, বলাশপুর জামে মসজিদে সকাল ৯টায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও জেলার ৭৩টি স্থানে বড় পরিসরে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।

সিলেট
সিলেটে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে শাহী ঈদগাহ ময়দানে সকাল সাড়ে ৮টায়। জামাতে ইমামতি করবেন শেখ বাড়ি জামিয়ার মুহতামিম, শায়খুল হাদিস মুফতি মোহাম্মদ রশিদুর রহমান ফারুক।
সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে ঈদের জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে।
হযরত শাহজালাল (র.) দরগাহ মসজিদে ঈদের জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে।

নগরীর বন্দরবাজারের কালেক্টরেট জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় হবে ঈদের জামাত।বন্দরবাজারের কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদে তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত সকাল সাড়ে ৭টায় এবং দ্বিতীয় জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় ও তৃতীয় জামাত সকাল সাড়ে ৯টায় হবে।
নগরীর রিকাবীবাজারস্থ মধুশহীদ জামে মসজিদে জামাত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। তেলিহাওর জামে মসজিদ এবং মদিনা মার্কেট জামে মসজিদে জামাত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়।

খুলনা
খুলনা নগরীর প্রধান ঈদ জামাত হবে সকাল ৮টায় খুলনা সার্কিট হাউস ময়দানে।
এছাড়া সকাল সাড়ে ৮টায় খুলনা আলিয়া মাদ্রাসা-সংলগ্ন মডেল মসজিদে এবং সকাল ৯টায় টাউন জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।খুলনা সিটি করপোরেশনের ৩১টি ওয়ার্ডে সিটি করপোরেশনের সহায়তায় ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে পৃথকভাবে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।খুলনার জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার জানান, ঈদ জামাতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অবশ্যই মাস্ক পরে আসতে হবে।

বরিশাল
বরিশালে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে শহরের বান্দরোড কেন্দ্রীয় হেমায়েত উদ্দিন ঈদগাহ মাঠে।মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের প্রধান জামাতে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা নামাজ আদায় করবেন।
তবে বরিশালে সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে চরমোনাই দরবার শরিফ মাঠে সকাল সাড়ে ৮টায়।
বরিশাল জামে এবাদুল্লাহ মসজিদের খতিব মাওলানা নূরুর রহমান বেগ জানান, শহরের বেশ কয়েকটি মসজিদে দুটি করে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

এর মধ্যে কেন্দ্রীয় জামে কশাই মসজিদে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়, দ্বিতীয়টি সকাল ১০টায়। জামে এবাদুল্লাহ মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় প্রথম জামাত ও সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় জামাত বায়তুল মোকাররম মসজিদে প্রথম জামাত সকাল ৯টা ও দ্বিতীয় জামাত ১০টায়, পুলিশ লাইনস মাঠে প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায় ও দ্বিতীয় জামাত হবে সাড়ে ৯টায়।

এছাড়া বরিশাল মুসলিম গোরস্থান জামে মসজিদে ঈদের একমাত্র জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়। গুঠিয়া বায়তুল আমান জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।এছাড়া বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ৩০টি ওয়ার্ড সহ জেলার সহস্রাধিক ঈদ গাহ ও মসজিদে ভোট বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে প্রথম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে জমিয়তুল ফালাহ্ জাতীয় মসজিদে।
ঈদের দিন সকাল ৮টায় প্রথম এবং ৯টায় জমিয়তুল ফালাহ্ মসজিদে দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে বলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

এছাড়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (সিসিসি) তত্ত্বাবধানে নগরীর ৪১ ওয়ার্ডের প্রতিটিতে যে ঈদ জামাতের আয়োজন করা হত, এবার তা প্রতি ওয়ার্ডের মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে।চসিকের ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ কর্মকতা কামাল চৌধুরী জানান, সকাল ৮টায় প্রথম জামাতের ইমামতি করবেন জমিয়তুল ফালাহ্ জাতীয় মসজিদের খতিব সৈয়দ আবু তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দিন আল কাদেরী। ৯টায় দ্বিতীয় জামাতের ইমামতি করবেন মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা আহমেদুল হক। ৪১টি ওয়ার্ডে সিসিসি’র কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে একটি করে প্রধান ঈদ জামাত স্থানীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে।

শোলাকিয়ায় ঈদ জামাতে
সর্বোচ্চ নিরাপত্তা

বিশেষ প্রতিনিধি : করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় এবারের ঈদে শোলাকিয়ায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দুই বছর এখানে ঈদ জামাত না হওয়ায় এবার মুসল্লির সংখ্যা বেশি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ফলে এবারের ঈদজামাতকে ঘিরে আরো সুচারূ ও সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। পুরো মাঠকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে।

নিরবচ্ছিন্ন নজরদারির জন্য বাইনোকুলার ছাড়াও ৪টি ড্রোন উড়বে শোলাকিয়ায়। নিরাপত্তা পরিকল্পনায় প্রথমবারের মতো যুক্ত করা হয়েছে এক্সিট ও এন্ট্রি পয়েন্ট। এছাড়া নিরাপত্তার দিক বিবেচনায় রেখে ছাতা ও মোবাইল ফোন নিয়ে ঈদগাহ মাঠে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। মাঠে কেবল জায়নামাজ নিয়ে প্রবেশ করা যাবে। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের জন্য মাস্ক পরতে হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, মাঠ ও মাঠের আশপাশ এলাকায় ড্রোনে পর্যবেক্ষণ ছাড়াও ঈদগাহ ময়দানের বাইরে, ভেতরে ও প্রবেশ পথে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। ঈদগাহ ময়দান, আশেপাশের এলাকা এবং অলিগলিসহ মাঠ সংলগ্ন চারপাশের অন্তত দুই কিলোমিটার এলাকা নিয়ে আসা হচ্ছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় আওতায়। মাঠে স্থাপন করা হয়েছে ছয়টি ওয়াচ টাওয়ার।

এর চারটিতে পুলিশ বাহিনী ও দুইটিতে র্যা ব বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়ে ঈদজামাতের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা তদারকি করবেন। এরই মধ্যে মাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে পুলিশ। সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শহর এবং আশপাশের এলাকায় বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। বিজিবি, র্যা ব, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান, আরআরএফসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দেড় হাজারেরও বেশি সদস্য দিয়ে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হচ্ছে শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানকে। ঈদগাহ ময়দানের প্রবেশপথে স্থাপিত আর্চওয়ে দিয়ে মুসল্লিদের ঢুকতে হবে।

এর আগে আরো অন্তত তিন দফা মেটাল ডিটেক্টরে মুসল্লিদের দেহ তল্লাসি করা হবে। নিরাপত্তার স্বার্থে ঈদগাহে আগত মুসল্লিদের কেবল জায়নামাজ ছাড়া ছাতা, মোবাইল ফোন বা কোনো ধরণের ব্যাগ নিয়ে ঢুকতে দেওয়া হবে না। নিশ্ছিদ্র এই নিরাপত্তাব্যুহ ডিঙিয়ে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যক্তির ঈদগাহ ময়দানে প্রবেশ একেবারেই অসম্ভব বলে মনে করছেন নিরাপত্তা সংশ্লিষ্টরা।

পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার) জানান, শান্তিপূর্ণভাবে ঈদজামাত অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে চার স্তরের নিরাপত্তা পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। মাঠের বাইরে, মাঠের ভেতরে ও প্রবেশ পথে সর্বোচ্চ ও সুচারূ নিরাপত্তা পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। উড়ন্ত ড্রোন থেকে নজরদারি ছাড়াও প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।

শোলাকিয়ায় এবারের ১৯৫তম ঈদুল ফিতরের জামাত শুরু হবে সকাল ১০টায়। এতে ইমামতি করবেন ইসলাহুল মুসলিহীন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ। উপমহাদেশের বৃহত্তম এই ঈদজামাত আয়োজনের সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। সব মিলিয়ে বৃহত্তম ঈদজামাতের জন্য ২৭২ বছরের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান পুরোপুরি প্রস্তুত।