• মঙ্গলবার , ২১ মে ২০২৪

‘জঙ্গি’ দমনে জাতীয় ঐকমত্য


প্রকাশিত: ২:৫৯ এএম, ১২ নভেম্বর ১৪ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৮৮ বার

gongi-1

প্রিয়া রহমান.ঢাকা:


বর্তমান সরকারের বিগত কয়েক বছরের বেশ কিছু সাফল্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সন্ত্রাস দমনে তৎপরতা। তবে এই সন্ত্রাস ধর্মভিত্তিক সন্ত্রাস, যাকে সাধারণত ‘জঙ্গি’ বলা হয়।

বাংলাদেশে ছিনতাইসহ অন্যান্য সন্ত্রাসের বিস্তার থাকলেও আমরা স্বভাবতই ধর্মভিত্তিক সন্ত্রাস নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন। তার কারণ, এটি মতাদর্শের ভিত্তিতে (আইডিওলজিক্যাল) সংঘটিত হয়। একসময়ের বাম চরমপন্থী মতাদর্শভিত্তিক সন্ত্রাসের জায়গা দখল করেছে কট্টরপন্থী ইসলাম ধর্মভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। এদের লক্ষ্যও এককালের অতি চরম বামপন্থীদের প্রায় কাছাকাছি। অতি চরম বামপন্থীরা সমাজতান্ত্রিক বিশ্ব বা প্যান কমিউনিজমের দীক্ষায় দীক্ষিত ছিল, আর অতি দক্ষিণপন্থী সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো বিবশ্বজুড়ে একটি ইসলামি খেলাফত বা প্যান ইসলামিজমের মন্ত্রে দীক্ষিত।
বর্তমান বিশ্বে চরম বামপন্থীদের তেমন অবস্থান নেই। তবে বর্তমানে অতি দক্ষিণপন্থীদের উত্থানে বিশ্বের বহু অঞ্চল সন্ত্রাসের জনপদে পরিণত হয়েছে, বিশেষ করে মুসলিম ও মুসলিমপ্রধান দেশগুলোয়। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। এতদঞ্চলে, বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ায়, ধর্মীয় চরমপন্থীদের এহেন উত্থানের ইতিহাস কম–বিস্তর সবারই জানা রয়েছে এবং পরবর্তী সময়ে কীভাবে ও কী কারণে বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে, তা–ও প্রায় সবার জানা আছে। গত শতাব্দীতে আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত দখলদারত্ব শেষ হওয়ার পর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী তথাকথিত জিহাদি সংগঠনগুলোকে তথা আফগানিস্তানকে পশ্চিমা বিশ্ব পরিত্যক্ত ঘোষণা করে।

শুধু পশ্চিমা বিশ্বই নয়, যেসব দেশের সরকার পশ্চিমা বিশ্বের, বিশেষ করে ইঙ্গ-মার্কিন শক্তির প্ররোচনায় তথাকথিত জিহাদ বা ধর্মযুদ্ধে যোগদানে নিজেদের দেশের সাধারণ জনগণকে নিরুৎসাহিত করেনি; সেসব দেশও আফগান-ফেরত জিহাদিদের পরিত্যাগ করে। এই জিহাদিদের নিয়ে গড়ে ওঠে আল-কায়েদা নামক সংগঠনটি, যারা আফগানিস্তান তথা পশ্চিমা বিশ্বের একধরনের হঠকারিতার বিরুদ্ধে, তাদের পন্থায়, যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। তৈরি হয় বিভিন্ন দেশে ধর্মীয় উগ্রপন্থী সংগঠন। উদ্দেশ্য মুসলিম বিশ্বের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক আঙ্গিক থেকে পশ্চিমের প্রভাব সমূলে উৎপাটিত করা।

gongi-www.jatirkhantha.com.bdএর মাধ্যমে পশ্চিমা রাজনীতির ভাবাদর্শের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সৃষ্টি করা এবং পশ্চিমা বিশ্বের প্রভাবে পরিচালিত মুসলিম ও মুসলিমপ্রধান দেশের বিরুদ্ধেও প্রয়োজনে সক্রিয় প্রতিরোধ গড়ে তোলা। ক্রমেই উগ্রপন্থা অবলম্বনে এসব জিহাদি সংগঠন প্যান-ইসলাম প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্যে সংগঠিত হতে থাকে বিভিন্ন দেশে।
বাংলাদেশে প্রথম দিকে আল-কায়েদা প্রভাবিত উপমহাদেশীয় কয়েকটি উগ্রপন্থী সংগঠনের শাখা গড়ে ওঠে, যার মধ্যে প্রধানত হিজবুত তাওহিদ, জামাআতুল মুজাহিদীন, হরকাতুল জিহাদ, আল ইসলামি বাংলাদেশ সংক্ষেপে হুজি (বি) উল্লেখযোগ্য। দুটিই কাশ্মীরভিত্তিক আল-কায়েদা সমর্থিত ইসলামপন্থী সন্ত্রাসী সংগঠন।

পাকিস্তানভিত্তিক এসব সন্ত্রাসী সংগঠনের পেছনে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার সমর্থনের কথা গোপনীয় নয়। হুজি (বি) বাংলাদেশে যথেষ্ট তৎপর থাকলেও এই সংগঠনের বাইরে জন্ম হয় সম্পূর্ণ স্থানীয় উগ্র ধর্মীয় সংগঠন জেএমবি। এর উত্থান হয়েছিল একবিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে তৎকালীন সরকারের উদাসীনতায় অথবা মৌন সম্মতিতে। জেএমবির উত্থান হয় অনেকটা ফ্রাংকেনস্টাইনের দৈত্যের মতো, পরে যা নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে। আমরা জেএমবির উত্থানের পেছনে প্রচ্ছন্ন পৃষ্ঠপোষকতা এবং পরবর্তী সময়ে ফ্রাংকেনস্টাইনের দৈত্যের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে দেখেছি।

ক্রমেই জেএমবি ওই সময়কার সরকারের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। জেএমবিকে নিয়ন্ত্রণ করার শক্তি হারিয়ে ফেলেছিল ওই সময়কার প্রশাসন। পরে
তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নিতে যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গেছে।
জেএমবির পথ ধরে গত এক যুগে এ দেশে এক ডজনের ওপরে স্থানীয় ধর্মীয় চরমপন্থীর উত্থান হয়েছে। এ প্রক্রিয়া এখনো শেষ হয়নি। প্রায়শই নতুন নতুন সংগঠনের তথ্য প্রকাশিত হচ্ছে। গত পাঁচ বছরের সরকারের তৎপরতায় ধর্মীয় উগ্রপন্থীরা কিছুটা স্তিমিত হলেও বর্তমানে বাংলাদেশের দুই উগ্রপন্থী সংগঠনের হুজি (বি) ও জেএমবির নতুনভাবে উত্থানের চেষ্টা লক্ষণীয়।
প্রায় সাত বছর আগে জেএমবির শীর্ষ নেতারা মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হলেও এর তৎপরতা থেমে থাকেনি। বর্তমানে সংগঠনটির বিস্তৃতি শুধু বাংলাদেশেই নয়, এর বিস্তার হয়েছে সীমান্তসংলগ্ন ভারতের দুই রাজ্য পশ্চিম বাংলা ও আসামের বিভিন্ন অঞ্চলে। মাত্র এক মাস আগে ভারতের পশ্চিম বাংলার বর্ধমানে বোমা (আইইডি) তৈরির সময় দুর্ঘটনার মাধ্যমে প্রকাশিত হয় বংলাদশের ধর্মীয় চরমপন্থী জেএমবির পশ্চিম বাংলার তথা বাংলাদেশের আরেক প্রতিবেশী ভারতীয় রাজ্য আসামে সংগঠনের বিস্তার। বর্ধমান বিস্ফোরণের পর থেকে সন্ত্রাস বিষয় নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার ও পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকারের মধ্যে একধরনের রাজনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়েছে।

 

তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ধর্মীয় চরমপন্থী আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, বিশেষ করে বাংলাদেশের সংগঠন জেএমবি নিয়ে। অথচ বাংলাদেশিদের সম্পৃক্ততা নিয়ে যতখানি প্রচার পায়, বাস্তবে ততখানি সম্পৃক্ততা পায়নি এনআইএ। ভারতীয় এনআইএর (ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি) অনুসন্ধানে যত ব্যক্তিকে সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, তার মধ্যে মাত্র চার সন্দেহভাজন ব্যক্তি বাংলাদেশের জেএমবির সদস্য বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারত সরকারের অনুমোদনবিহীন মাদ্রাসার অস্তিত্বের কথা বলা হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে যে এসব মাদ্রাসার সঙ্গে বাংলাদেশের উগ্র দক্ষিণপন্থী চরমপন্থী দল জেএমবির যোগাযোগ রয়েছে। একই অভিযোগ আসামের বেলায়ও। তবে এনআইএর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন ভারত সরকার অথবা প্রাপ্তি সাপেক্ষে বাংলাদেশ সরকার প্রকাশ না করলে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে না।
বাংলাদেশের সন্ত্রাসীদের পশ্চিমবঙ্গে উপস্থিতি কোনো নতুন বিষয় নয়, তবে ইসলামপন্থী সন্ত্রাসীদের যে ব্যাপক উপস্থিতির চিত্র তুলে ধরা হচ্ছে, তার মধ্যে বেশ নতুনত্ব রয়েছে।

বর্ধমানের ঘটনার পর পশ্চিমবঙ্গ ও আসামে জেএমবির উপস্থিতি, প্রশিক্ষণকেন্দ্র স্থাপন এবং কথিত বিস্ফোরক মজুতের তথ্য প্রকাশ বহু প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। তা ছাড়া এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ও আসামের গড়পড়তা ২০ শতাংশ মুসলিম ভোট, যার ওপর এখন বিজেপির নজর।
ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির গতি–প্রকৃতি যা-ই থাকুক, বাস্তবতার নিরিখে প্রতীয়মান যে বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে জেএমবি পুনরুত্থানের পথে।

এই সংগঠনের এ পর্যন্ত যাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে, তাদের সূত্র থেকে পাওয়া এবং গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য বিশ্লেষণে এমনই ধারণা পাওয়া যায়। যদিও বাংলাদেশে অতীতে হুজির আধিপত্য ছিল, এখন হয়তো তেমন মাত্রায় নেই। অন্য কয়েকটি সংগঠন যেমন আনসারুল্লাহ বাংলা টিম অথবা আল্লাহর দলসহ অন্য সংগঠনগুলো সাংগঠনিকভাবে হুজি অথবা জেএমবির মতো শক্তি অর্জন করতে পারেনি।
বিভিন্ন সূত্রে প্রকাশ যে উপমহাদেশে আল-কায়েদার সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় ইদানীং যথেষ্ট গতি পেয়েছে। হুজি ছাড়াও ভারতের দুটি রাজ্যে জেএমবির উপস্থিতি সংগঠনটির সঙ্গে আল-কায়েদার যোগসূত্রের সম্ভাবনা যৌক্তিক মনে হয়। ভারতীয় গোয়েন্দাদের সূত্রমতে জেএমবির উপস্থিতি কাশ্মীরেও রয়েছে বলে তাদের বিশ্বাস। কাশ্মীরে, বিশেষ করে পাক-কাশ্মীরে, আল-কায়েদা সমর্থিত একাধিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কয়েক যুগ ধরে উপস্থিত রয়েছে।
যা হোক, উপমহাদেশে আল-কায়েদার হুমকি যে হালকাভাবে নেওয়ার উপায় নেই, তার উদাহরণ কলকাতা বন্দরে ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজের প্রদর্শনী বাতিলের ঘটনা। পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী ভারতীয় সাবমেরিন নিয়োজিত থাকবে কলকাতা বন্দরের ওপরে নজরদারির জন্য।

স্মরণযোগ্য, আল-কায়েদা ভারতের যে কয়টি রাজ্যে তাদের সম্ভাব্য কর্মকাণ্ডের আভাস দিয়েছে, তার মধ্যে আসাম একটি। পশ্চিমবঙ্গের নাম উল্লেখ না করলেও ওই রাজ্যে আল-কায়েদা অথবা সমমনা সংগঠনের দায়িত্ব বাংলাদেশের জঙ্গিদের দেওয়া হয়েছে, তাতে সন্দেহ নেই। বিভিন্ন সূত্রে প্রকাশ, ইসলামিক খেলাফত বাংলা অথবা এ ধরনের নামের ঘোষণার প্রস্তুতি রয়েছে আল-কায়েদা ও সহযোগী সংগঠনগুলোর।

এ অবস্থায় বাংলাদেশ বহুবিধ কারণে ধর্মীয় উগ্রবাদের ও চরমপন্থীদের হুমকির মুখে রয়েছে। বহু কারণের মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা অপ্রাসঙ্গিক হবে না। দেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকটের সুরাহা হওয়ার পথ এখনো দৃশ্যমান নয়। দুই বড় দলের ভেতরের টানাপোড়েনে যে ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তাতে এ ধরনের সংগঠনের বিস্তার হওয়ার ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে, শাসকগোষ্ঠীর সঙ্গে মধ্যমপন্থী ধর্মীয় দলগুলোর দূরত্ব আরও বাড়ছে, যা সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। জামায়াতে ইসলামীর ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হচ্ছে একধরনের অস্থিরতা। অন্যদিকে, দেশে সুশাসনের অভাব, সীমাহীন দুর্নীতি, সিংহভাগ তরুণের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ সরকার-সমর্থিত সহযোগী সংগঠন, বিশেষ করে ছাত্র ও যুব সংগঠনগুলোর মধ্যে সংঘাত, টেন্ডারবাজি, দুর্নীতি ইত্যাদি যে ধরনের সামাজিক অস্থিরতার সৃষ্টি করেছে, তার সুযোগ যে উগ্রাবাদী সংগঠনগুলো নিয়ে থাকে, এর একাধিক উদাহরণ রয়েছে।

এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রয়োগে মতাদর্শভিত্তিক চরম উগ্রপন্থীকে নির্মূল অথবা নিষ্ক্রিয় করা সম্ভব নয়। এমনটা হলে গত ২০ বছরের ওপর বিশ্বের পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র যে বল প্রয়োগ করছে, তার মাধ্যমে আল-কায়েদা, আল-নুসরা অথবা হালের আইএসকে নিশ্চিহ্ন করতে পারত। প্রয়োজন হতো না আফগান তালেবানদের সঙ্গে আলোচনার। প্রয়োজন হতো না সিরিয়ার আসাদকে এখনো জিইয়ে রাখার।

বাংলাদেশের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে মতাদর্শভিত্তিক সন্ত্রাস নির্মূল অথবা স্থায়ীভাবে দমন সম্ভব নয়। এমনটা হলে জেএমবির এ ধরনের পুনরুত্থানের অথবা সংগঠিত হওয়ার প্রয়াস দেখা যেত না। বাংলাদেশের সমাজকে এ ধরনের হুমকি থেকে নিরাপদ রাখতে হলে বহুমুখী তৎপরতার প্রয়োজন হবে। প্রয়োজন রয়েছে একটি জাতীয় ঐকমত্য গঠনের এবং জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে এই কালো থাবাকে প্রতিহত করা। তেমনটি করতে না পারলে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা চরম হুমকির সম্মুখীন হবে।
এম সাখাওয়াত হোসেন: অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও কলাম লেখক৷