• মঙ্গলবার , ৩০ এপ্রিল ২০২৪

চোরের মার বড়গলা-ল্যাপটপ চুরির নিয়ে তোলপাড় রুয়েট


প্রকাশিত: ৫:৪৪ পিএম, ১১ নভেম্বর ১৬ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭৮ বার

রুয়েট প্রতিনিধি  :  চোরের মার বড়গলা-! ল্যাপটপ চুরির নিয়ে তোলপাড় চলছে রুয়েট।ঘটনার জের ধরে রাজশাহী 222প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এক সপ্তাহের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক এন এইচ এম কামরুজ্জামান সরকার জাতিরকন্ঠকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

কামরুজ্জামান সরকার জানান, আজ শুক্রবার থেকে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার বেলা তিনটার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ সময় শিক্ষার্থীরা হলে অবস্থান করতে পারবেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ক্লাস ও পরীক্ষা হবে না। আগামী শুক্রবার থেকে যথারীতি হল খুলে দেওয়া হবে এবং ক্লাস ও পরীক্ষা হবে।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জিয়াউর রহমান হলের ২১৭ নম্বর কক্ষ থেকে তিনটি ল্যাপটপ হারিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন ওই কক্ষের শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী ছাত্রকল্যাণ পরিচালক সিদ্ধার্থ শংকর হলে খোঁজখবর নিতে আসেন।

এ সময় ৪০৩ নম্বর কক্ষে ছাত্রলীগের নেতা শাকিল কবিরের সঙ্গে তাঁর কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সিদ্ধার্থ শংকর তাঁকে একটি চড় মারেন। এর জের ধরে ওই হলের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সিদ্ধার্থ শংকরকে হলের প্রাধ্যক্ষের কক্ষে আটকে রাখেন। এ সময় তিনি লাঞ্ছিত হন বলে অভিযোগ রয়েছে।

সিদ্ধার্থ শংকর রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক হওয়ায় এ নিয়ে হলে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে মহানগর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।ওই ল্যাপটপ চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত তিনজন আহত হন। আহত মাসুম আকন্দকে (২২) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্যদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান দাবি করেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে বহিরাগত কিছু লোক ছাত্রলীগের কর্মী রাকেশ, সারওয়ার, মাসুমসহ অন্যদের ওপর হামলা চালায়। এতে কয়েকজন আহত হন।তৌহিদুর রহমান দাবি করেন, তুচ্ছ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্যাম্পাস বন্ধ করে দিল। তারা একটু সিরিয়াসলি বিষয়টি দেখলে ছাত্রদের এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হতো না।