• সোমবার , ২৯ এপ্রিল ২০২৪

‘ঘুষখোর’ নিয়ে চেয়ারম্যান ইউএনও


প্রকাশিত: ৬:৫৫ পিএম, ২৪ জুলাই ১৮ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫৬ বার

যশোর প্রতিনিধি : ‘ঘুষখোর’ নিয়ে যশোরের চৌগাছায় উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনওর মধ্যে হাতাহাতি’ পর্যায়ের ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, যশোরের চৌগাছায় উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম হাবিবুর রহমান এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইবাদত হোসেনের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় হাতাহাতির উপক্রম হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে মাসিক সভা চলাকালীন সময় এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলা চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে মাসিক সভা শুরু হয়। এ সময় নির্বাহী অফিসারের উপস্থাপনায় বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান তার অফিসের কাজের অগ্রগতি পর্যায়ক্রমে বলতে থাকেন। এক পর্যায়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আবদুল্লাহ্ বায়েজিদ তার অফিসের কার্যক্রম তুলে ধরতে থাকেন।

এ সময় উপজেলা চেয়াম্যান ৪০ দিন কর্মসৃজন কর্মসূচির বিল দিতে কেন এত দেরি হচ্ছে জানতে চান। পিআইও জানান, তিন চারটি ইউনিয়নের বিল দেওয়া হয়েছে বাকি ৮টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা বিল জমা দেয়নি।এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, আমি উপজেলা চেয়ারম্যান। নিয়মানুযায়ী উপজেলা পরিষদের সকল কাজ আমার সঙ্গে সমন্বয় করে করতে হবে। অথচ আমাকে না জানিয়ে নিজেদের ইচ্ছামাফিক লেবার কর্তন করে বিল দিচ্ছেন আপনারা পেয়েছেন কী?

এ সময় নির্বাহী অফিসার বলেন, আপনার সঙ্গে কিসের সমন্বয় করবে। তার এ কথা ধরে শুরু হয় বাদানুবাদ। এক পর্যায়ে উপজেলা চেয়াম্যান নির্বাহী অফিসারকে ঘুষখোর অফিসার বলে ওঠেন। নির্বাহী অফিসার উঠে দাঁড়িয়ে সংযত হয়ে কথা বলতে বলেন। এরপর শুরু হয় অশ্লীল বাকযুদ্ধ।

এক পর্যায়ে নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা চেয়ারম্যান একে অপরের দিকে তেড়ে যান। এ সময় পাশে বসে থাকা এসি ল্যান্ড রনি আলম নূর উভয়কে শান্ত করার চেষ্টা করেন।নির্বাহী কর্মকর্তা এ সময় সভা কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান এবং তার সিএ মহি উদ্দীনকেসহ সকল অফিসারকে মিটিং থেকে বেরিয়ে আসতে বলেন। সিএ বাদে সকলে এ সময় যার যার সিটে বসে ছিলেন।

পাঁচ মিনিট পর নির্বাহী কর্মকর্তা আবার নিজেই সভাকক্ষে প্রবেশ করে তার সিটে বসে পিআইওকে তার বক্তব্য শেষ করতে বলেন। পিআইও বক্তব্য দেওয়া শুরু করলে আবারও উপজেলা চেয়ারম্যান এবং নির্বাহী অফিসারের মধ্যে বাকযুদ্ধ শুরু হয়। এভাবে প্রায় তিনবার চরম উত্তেজনা দেখা যায়।

এ সময় অপরপাশে বসা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান দেবাশীষ মিশ্র জয় এবং ইউনিয়ন চেয়ারম্যানগণ নির্বাহী কর্মকর্তার এহেন আচারণে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানান।এ ব্যাপারে দেবাশীষ মিশ্র জয় জানান, মূলতঃ নির্বাহী কর্মকর্তার কাজের অসংগতি ধরা পড়ায় তিনি বেসামাল হয়ে পড়েছেন।

নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, আমি কোন অনিয়ম করিনি। ৪০ দিন কর্মসৃজন কর্মসূচির লেবার বিল যাচাই বাছাই করে দেওয়া হচ্ছে বলে অনেকের গাত্রদাহ হচ্ছে।উপজেলা চেয়ারম্যান জানান, প্রধানমন্ত্রী দরিদ্র্য তহবিল থেকে বরাদ্দ অর্থ থেকে নির্বাহী অফিসার ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা নিচ্ছেন। যা আমার কাছে প্রমান আছে।উল্লেখ্য গত ৬জুন কর্মসৃজন কর্মসূচির কাজ শেষ হলেও লেবাররা এখনও বিল পাননি।