• রোববার , ১৯ মে ২০২৪

গ্রেফতার এড়াতে আদালতে এলেন খালেদা-আত্মপক্ষ সমর্থনে শুনানি ২৩ জুন


প্রকাশিত: ১:১৮ পিএম, ২ জুন ১৬ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৪৪ বার

কোর্ট রিপোর্টার  :   জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য 22পরবর্তী শুনানির দিন ২৩ জুন নির্ধারণ করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার বিশেষ জজ আদালতে খালেদা জিয়া উপস্থিত হয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য সময়ের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করে এ দিন ধার্য করেন।

এর আগে সকাল ১০টার দিকে খালেদা জিয়া গুলশানের বাসা থেকে আদালতের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। বেলা পৌনে ১১টায় সেখানে পৌছান তিনি। বিএনপি চেয়ারপারসনের আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া জানান, এ মামলায় খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য পরবর্তী তারিখ ২৩ জুন নির্ধারণ করেছেন আদালত।

তিনি জানান, আদালতে হাজির হয়ে সময় আবেদন করায় আদালত তা মঞ্জুর করেন। এর ফলে আরেক দফা পেছাল খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থন। এর আগে গত ১৯ মে খালেদা জিয়া আদালতে হাজির না হওয়ায় এ মামলায় তার আত্মপক্ষ সমর্থন পঞ্চম দফায় পিছিয়ে যায়।

ওইদিন খালেদার পক্ষ থেকে তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া সময় আবেদন করেন। আদালত তা মঞ্জুর করে পরবর্তী ধার্যদিনে খালেদা জিয়াকে আদালতে উপস্থিত হতে নির্দেশ দেন। তা না হলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির কথা বলেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আজ আদালতে হাজির হন বিএনপি চেয়ারপারসন।

এদিকে খালেদা জিয়ার আদালতে যাওয়াকে কেন্দ্র করে আদালত ও আশেপাশের এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
অপরদিকে চেয়ারপার্সনের আগমনকে কেন্দ্র করে বিপুল সংখ্যক বিএনপিপন্থী আইনজীবী ও দলের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত হন।

বিএনপি নেতাদের মধ্যে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আবদুল্লাহ আল নোমান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নাজিমউদ্দিন আলম আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদ্দারের আদালতে এ মামলার বিচার কার্যক্রম চলছে।এ মামলায় বিভিন্ন সময়ে ৩২ জন্য সাক্ষ্য দেন।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।তদন্ত শেষে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।

বাকি আসামি হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।