গুলশানে মহিলা ব্যবসায়ীর বিএমডব্লিউ জালিয়াতি
এস রহমান : রাজধানীর গুলশানে মহিলা ব্যবসায়ী বিএমডব্লিউ জালিয়াতি নিয়ে তোলপাড় চলছে। শুল্ক ফাঁকি দেয়াঅভিযোগে রাজধানীর গুলশান ২ থেকে মহিলা ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে অভিযান চালিয়ে বিএমডব্লিউ ৫২৫আই সিরিজের গাড়িটি জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। সোমবার বিকেলের দিকে নীল রংয়ের ওই গাড়ী জব্দের বিষয়ে জানায় শুল্ক গোয়েন্দার মহাপরিচালক ড. মঈনুল খান।
তিনি বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গুলশান-২ এর ১৩৭ নম্বর সড়কের ৭ নম্বরস্থ রুখসানা আমিরের বাড়ী থেকে গাড়ীটি জব্দ করা হয়। তবে গাড়ীটি গুলশান-২ এর ৪৮ নম্বর সড়কের ১৪, রোড ৪৮ বাড়ীর নামে নিবন্ধন করা। খবর পাওয়ার পর গত ৩০ মার্চ বিকেলে বাড়ীটিতে অভিযান চালানো হলে গাড়ির মালিক অসহযোগিতা করেন। তিনি গাড়িটি কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখেন এবং চাবি দিতে অস্বীকৃতি জানান।
এরপর দীর্ঘ নাটকীয়তা শেষে ঐদিন রাত ১০ টায় গাড়িটি শুল্ক গোয়েন্দাদের কাছে হস্তান্তর করেন তিনি। পরে বিআরটিএ-তে যোগাযোগ ও তথ্য যাচাইয়ে শুল্ক ফাঁকির প্রাথমিক আলামত পাওয়ায় সোমবার গাড়িটি শুল্ক আইন অনুসারে জব্দ দেখানো হয়েছে। গাড়িটি ভূয়া দলিলাদি দিয়ে ঢাকা-গ ২১-০৮৭৫ হিসেবে ২০০৭ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রেজিস্ট্রেশন নেয়া হয়েছিল। ২ হাজার সিসি ও বিএমডব্লিউ ব্রান্ডের গাড়িটির চেসিস নং ডব্লিউবিএডিটি ৩৩৪৯২জিএফ৪২৫৫৫, ইঞ্জিন নম্বর ৬১১৪৩৫৯২২৫৫৫। রূপরেখা নামের একটি প্রতিষ্ঠানের নামে নীল রঙয়ের ওই গাড়ীটি রেজিস্ট্রেশন করা হয়। শুল্ক ফাঁকি দেয়া গাড়িটি একজন মহিলা ব্যবসায়ী ব্যবহার করতেন।
মঈনুল খান জানান, গাড়ীটির বিষয়ে বিআরটিএ থেকে তথ্য যাচাই করলে তারা সোমবার স্মারকের মাধ্যমে জানান যে, ঢাকা মেট্রো- গ-২১-০৮৭৫ নম্বরযুক্ত কোন মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন বিআরটিএ কার্যালয় থেকে দেয়া হয়নি। গাড়িটি কারনেট-ডি-প্যাসেজ সুবিধায় শুল্কমুক্তভাবে বাংলাদেশে আসে। পরে একটি জালিয়াত চক্রের মাধ্যমে মিসেস রূখসানা আমীর এটির মালিক হন। একই চক্রের মাধ্যমে আরো গাড়ি ভূয়া নম্বর প্লেট ব্যবহার করে চলছে যা খুঁজে বেড়াচ্ছে শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে প্রায় অর্ধ শতাধিক গাড়ি গোয়েন্দা নজরদারিতে আটক হয়েছে।