• শনিবার , ২৭ এপ্রিল ২০২৪

ক্যাসিনোকান্ড- এনু রুপন রাষ্ট্রের কলংক


প্রকাশিত: ৬:৪১ পিএম, ২৮ নভেম্বর ২৩ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২৭ বার


কোর্ট রিপোর্টার : মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের আরেক মামলায় বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক ভূঁইয়া ওরফে এনু ও তাঁর ভাই রুপন ভূঁইয়ার সাত বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাঁদের ৫২ কোটি টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮–এর বিচারক বদরুল আলম ভূঁইয়া মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর এ রায় দেন বলে আইনজীবীরা দৈনিক সত্যকথা প্রতিদিন কে জানান।

রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, ‘এ দেশের মানুষ দুর্নীতিবাজদের ঘৃণা করেন। এরা রাষ্ট্রের কলংক। আর যারা মানি লন্ডারিং অপরাধের সঙ্গে যুক্ত, তারা শুধু আমাদের সম্পদ চুরি করছে না, তারা আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যতও চুরি করছে। তাদের প্রত্যেককে বিচারের আওতায় এনে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা করা আমাদের প্রত্যেকের কর্তব্য।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর এনামুল ও রুপনদের পুরান ঢাকার বানিয়ানগরের বাসাসহ তাঁদের দুই কর্মচারীর বাসায় অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে পাঁচ কোটি টাকা এবং সাড়ে সাত কেজি সোনা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সূত্রাপুর ও গেন্ডারিয়া থানায় তাঁদের নামে ছয়টি মামলা হয়।

অর্থ পাচারের মামলায় বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক ভূঁইয়া ওরফে এনু, তাঁর ভাই রুপন ভূঁইয়াসহ ১১ জনকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আসামিদের চার কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন আজ সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ড পাওয়া অপর আসামিরা হলেন এনু-রুপনের ভাই মেরাজুল হক ভূঁইয়া, রশিদুল হক ভূঁইয়া, শহিদুল হক ভূঁইয়া, তাঁদের সহযোগী পাভেল রহমান, তুহিন মুন্সি, জয় গোপাল, আবুল কালাম আজাদ, নবী হোসেন ও সাইফুল ইসলাম।১১ আসামির মধ্যে এনু-রুপনসহ সাতজন কারাগারে আছেন। এনু-রুপনকে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে গ্রেপ্তার করা হয়।

পলাতক রয়েছেন মেরাজুল, রশিদুল, শহিদুল ও পাভেল। তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।অর্থ পাচারের মামলায় গত বছরের ২৬ জানুয়ারি ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।গত ১৬ মার্চ এ মামলায় যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়। রায়ের জন্য ৬ এপ্রিল তারিখ রেখেছিলেন আদালত। কিন্তু সেদিন রায় হয়নি। পরে রায়ের জন্য আজকের তারিখ দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী, আজ রায় হলো।একই আদালতে এনু-রুপনদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের তিনটি মামলা সাক্ষ্য গ্রহণের পর্যায়ে আছে।

২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি এনামুল ও রুপনদের পুরান ঢাকার লালমোহন সাহা স্ট্রিটের বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। ওই বাড়ি থেকে ২৬ কোটি ৫৫ লাখ ৬০০ টাকা জব্দ করা হয়। আর ৫ কোটি ১৫ লাখ টাকার এফডিআরের কাগজপত্র পাওয়া যায়। সোনা পাওয়া যায় এক কেজি। এ ঘটনায় দুই ভাইয়ের নামে আরও দুটি মামলা হয়।২০২০ সালের জানুয়ারিতে এ দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এনামুল ও রুপনের বিরুদ্ধে ১০টি মামলা রয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশনও এনামুল ও রুপনের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা করেছে। মামলায় এনামুলের বিরুদ্ধে ২১ কোটি ৮৯ লাখ ৪৩ হাজার টাকার আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। আর রুপনের বিরুদ্ধে ১৪ কোটি ১২ লাখ ৯৫ হাজার ৮৮২ টাকার আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।