• সোমবার , ৬ মে ২০২৪

কুচক্রী মহলর ইন্ধন-অভিযোগ এমডি’র॥ ফ্লাইট বন্ধ করে ইউনাইটেড এয়ার ওয়েজকে জিম্মী করার অপচেষ্ঠা ব্যর্থ


প্রকাশিত: ৯:০৭ পিএম, ২৩ এপ্রিল ১৫ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩১৯ বার

united air-www.jatirkhantha.com.bdএস রহমান.ঢাকা: ফ্লাইট বন্ধ করে ইউনাইটেড এয়ারকে জিম্মী করার অপচেষ্ঠাকারী ক্যাপ্টেনদের বিরুদ্ধে অবশেষে ব্যবস্থা নিয়েছে ইউনাইটেড এয়ার লাইন্স কর্তৃপক্ষ।কর্তৃপক্ষ বিশেষ ব্যবস্থায় শুক্রবার থেকে অভ্যন্তরীন এবং আন্তজার্তিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করবে বলে জানা গেছে।

দেশীয় স্বার্থবিরোধী কুচক্রী মহলের ক্রিড়নক ক্যাপ্টেনদের কাছে ইউনাইটেড এয়ার লাইন্স কর্তৃপক্ষ মাথা নত করবে না বলে জানিয়েছেন ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিunited md tasbir-www.jatirkhantha.com.bdচালক ক্যাপ্টেন তাসবিরুল আহমেদ চৌধুরী।
তিনি জাতিরকন্ঠকে জানিয়েছেন, ওরা যা দাবি করছে তা ন্যায়সঙ্গত নয়।

আমরা ওদের দাবি থেকে সরে এসে ভদ্র হয়ে কাজ করতে বলেছিলাম।কিন্তু ওরা এদেশীয় বিমান সংস্থার স্বার্থবিরোধী কাজ অব্যাহত রেখেছে।তাই ওদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।অন্যায়কারী  এবং ইউনিয়নবাজ ক্যাপ্টেনদের সঙ্গে আপোষ করা হবে না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইউনাইটেডে কর্মরত থেকে দেশীয় স্বার্থবিরোধী কুচক্রী মহলের ক্রিড়নক ক্যাপ্টেনরা এমডির অবর্তমানে নানা ধরনের অন্যায় কার্জকলাপ করে আসছিল।যা ইউনাইটেডের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করে।ইতিমধ্যে এসব বিষয় কর্তৃপক্ষ চিহ্নিত করলে চক্রটি জোট বাঁধে। একপর্যায়ে তারা উড়োজাহাজ চালানো বন্ধ করে বাড়তি ফায়দা লোটার চেষ্ঠা করলে উদ্ভূত পরিস্থিতির সৃষ্ঠি হয়।

সূত্র জানায়, কয়েকজন পাইলটের পদত্যাগ কিংবা কর্ম বিরতি নাটকে ক্ষতিগ্রস্ত দেশীয় পাবলিক লিমিটেড কোম্পানী ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ। গত ৮ (আট) বছর যাবৎ ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করে আসছে।

প্রায় ৫৫,০০০ ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে, ২২ লক্ষাধিক যাত্রী পরিবহন করেছে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিমান পরিবহন খাতে একমাত্র পাবলিক লিমিটেড কোম্পানী।১০ই জুলাই ২০০৭ থেকে যাত্রা শুরু করা ইউনাইটেড এয়ারওয়েজে মোট এক হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে। এখন পর্যন্ত পূর্ববর্তী মাসের বেতন পরবর্তী মাসের শেষ দিনের পূর্বেই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দিয়ে আসছে।

কিন্তু হঠাৎ করে গত ১৯ এপ্রিল ১২ জন ক্যাপ্টেনের স্বাক্ষরিত একটি চিঠি পরিচালক ফ্লাইট অপারেশন ডিপার্টমেন্ট, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর ই-মেইলে পাঠান। সেখানে স্পষ্টকরে লিখা আছে এপ্রিলের ৩০ তারিখের মধ্যে পূর্ববর্তী মাসের বেতন ও অন্যান্য ভাতাদি পরিশোধ না করলে ১লা মে ২০১৫ থেকে ফ্লাইট পরিচালনা করবেন না।

দাবি-দাওয়ার ব্যাপারে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ক্যাপ্টেনদের সাথে একটি সুষ্ঠু সমাধানের জন্য আলোচনা চালিয়ে যান কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় কোন ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ২২ এপ্রিল ২০১৫ থেকে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটের সকল ধরনের ফ্লাইট পরিচালনা থেকে ক্যাপ্টেনরা বিরত থাকেন। যাতে হাজার হাজার যাত্রীসাধারন অনিশ্চিয়তার মধ্যে পড়েন। এর মাঝে আন্তর্জাতিক রুটের যাত্রীরা অনেকেই ভিসা জটিলতায় পড়েছেন।

যাত্রী সাধারনের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে যাদের ভিসা জটিলতা আছে তাদেরকে প্রাধান্য দিয়ে বাংলাদেশ বিমানসহ অন্যান্য এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌছানোর ব্যবস্থা করেছেন। সম্মানিত যাত্রীসাধারনকে নির্দিষ্ট ট্রাভেল এজেন্সি কিংবা এয়ারলাইন্সের নিজস্ব সেলস্ অফিসে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।

উল্লেখ্য যে, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের অন্যান্য ডিপার্টমেন্টের প্রায় একহাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী কয়েকজন ক্যাপ্টেনের কর্মবিরতির সাথে কোন ধরনের একাত্বতা প্রকাশ করেনি। সব ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা গুটি কয়েক ক্যাপ্টেনের কাছে জিম্মি হয়ে থাকতে পারে না বলে মত প্রকাশ করেছে।

কর্মবিরতিতে অংশগ্রহনকারী ক্যাপ্টেনরা বেতন ভাতাদির কথা উল্লেখ করেছে, অথচ শুধুমাত্র মার্চ মাসের বেতন দেওয়া বাকী আছে, যা প্রক্রিয়াধীন।দ্রুততম সময়ে ক্যাপ্টেন নিয়োগের মাধ্যমে সকল ধরনের উদ্ভূত পরিস্থিতি সমাধান করা হবে বলে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষ আশাবাদ ব্যক্ত করছে।

ইউনাইটেড এয়ারওয়েজে ইতিপূর্বে এ ধরনের কোনো আন্দোলনের নজির নেই। পদত্যাগী ক্যাপ্টেনরা জানেন, তাদের ছাড়া ফ্লাইট পরিচালনা সম্ভব নয়। এই কট্টর মনোভাব থেকেই ক্যাপ্টেনরা ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের এক হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী তথা ইউনাইটেড এয়ারওয়েজকে জিম্মি করে ফেলেছে, যা কারো কাছেই কাম্য হতে পারে না। তাদের অস্বাভাবিক ও উদ্দেশ্যমূলক দাবী পরোক্ষভাবে কোম্পানীর অগ্রযাত্রাকেই শুধু ব্যহত করছে না বরং সার্বিকভাবে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজকে বন্ধ করার পায়তারায় লিপ্ত বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

উপরোক্ত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ কয়েকজন ক্যাপ্টেনের অযৌক্তিক ও অনৈতিক কর্মবিরতির ফলে সম্মানিত যাত্রীসাধারনের সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে। খুব শীঘ্রই উপরোক্ত পরিস্থিতির থেকে উত্তোরণ ঘটবে বলে আশা প্রকাশ করছে কর্তৃপক্ষ।