• শুক্রবার , ৩ মে ২০২৪

এমপি সনি’তে বিব্রত সরকার


প্রকাশিত: ৯:৪৩ পিএম, ৩ আগস্ট ২৩ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২৫ বার

কূটনৈতিক রিপোর্টার : ওমানে এমপি সনি’র কর্মকান্ডে বিব্রত সরকার অবশেষে বক্তব্য দিয়েছে।সরকারি মুখপাত্র স্বীকার করেছেন এমপি সনিকে আটক করা হয়েছিল। পরে দূতাবাসের তৎপরতায় তিনি মুক্তি পেয়েছেন মুচলেকা দিয়ে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি শাখার মহাপরিচালক সেহেলি সাবরিন জানিয়েছেন, ওমানে রাজনৈতিক সভায় যোগ দেওয়ায় সে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হওয়া সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য (চট্টগ্রাম) খাদিজাতুল আনোয়ার সনিসহ ১৭ জনই এখন মুক্ত ।

বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। ওমানে নারী সংসদ সদস্য আটকের বিষয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি জানার পর ওমানে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে সংসদ সদস্যসহ মোট ১৭ জনকে রিলিজ করেছে। এখন সবাই রিলিজড।

অথচ এর আগে মিথ্যা বলেছিলেন এমপি সনি। তিনি গনমাধ্যম কে ফোনে বলেছেন, মেয়েকে নিয়ে ছুটি কাটানোর জন্য সোমবার তিনি মাসকট পৌঁছান। সেখানে তিনি আরও অনেক অনুষ্ঠান করেছেন। তবে সেদিন অনুষ্ঠানে বেশি লোক হওয়ায় গোয়েন্দারা হানা দেন। গোয়েন্দা পুলিশ তাকে আটক করেছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে পুলিশের কোনো কথাই হয়নি। তারা অনুষ্ঠানের আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। আমাকে আটকের প্রশ্নই আসে না’।

ওমানে টেলিফোনে এমপি খাদিজাতুল আনোয়ার সনি বুধবার বলেন, এটা ছিল একটা সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। আমাকে যে হলে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে তার ধারণ ক্ষমতা ছিল ১৫০ জন। কিন্তু লোকসমাগম হয়েছে ৩০০। অনেক মানুষ দেখে গোয়েন্দারা আসেন। এত লোক নিয়ে কেন অনুষ্ঠান করছে তা আয়োজকদের কাছে জানতে চায়।তিনি আরও বলেন, তখন ছিল অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়। আমরা তখনই অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেই। গোয়েন্দাদের জানানো হয়, আমন্ত্রণ ছাড়াই লোকজন অনুষ্ঠানে এসে গেছে। আয়োজকরা দুঃখ প্রকাশ করলে গোয়েন্দারা চলে যান।

যাহোক, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি শাখার মহাপরিচালক সেহেলি সাবরিন আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্থানীয় আইন-কানুনে শ্রদ্ধাশীল থাকার এবং তা মেনে চলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তাই প্রবাসী বাংলাদেশিদের ওপর আমাদের প্রত্যাশা থাকবে বাংলাদেশের নেতা এবং উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিরা যখন বিদেশ সফর করেন, তখন কারও সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং সভা করার ক্ষেত্রে স্থানীয় আইন-কানুন মেনে চলবেন। যাতে কোনো বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন না হতে হয়। কারণ এটি প্রবাসীদের জন্য যেমন বিব্রতকর তেমনি সরকারের জন্য।

সেহেলি বলেন, একটু আগে জানলাম যে ১৭ জনকে আটক করা হয়েছে সবাই ছাড়া পেয়েছেন। আমরা জানতে পেরেছি, ওমানে এ ধরনের কোনো সভা করার ক্ষেত্রে তাদের নিষেধ আছে। আমরা যেটা জেনেছি প্রবাসী বাংলাদেশিরা যারা এ সভার আয়োজন করেছিলেন, তাদের ক্ষেত্রেই অনুমতি নেওয়া হয়নি। তারা পারমিশন নেননি দেখেই এবং সেখানে সংখ্যাও বেশিছিল। যেহেতু একটি হোটেলে করা হয়েছিল এটা সেজন্যই পুলিশি তৎপরতা এভাবে হয়।

মামলা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলার কথা তো আমি কোন…। আমি দূতাবাস থেকে জানতে পেরেছি উনি (সংসদ সদস্য) পুলিশ কাস্টডি থেকে আমাদের দূতাবাসের কর্মকর্তারা যেয়ে এবং বুঝিয়ে তাকে মুক্ত করেন। মুচলেকা নেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, দূতাবাসের ক্ষেত্রে যেটা হয় সবকিছুর একটা অফিসিয়াল প্রসিডিউর আছে। সেখানে দূতাবাস যখন হস্তক্ষেপ করেছে তখন দূতাবাসের একটা আন্ডারটেকিং বা হস্তক্ষেপের মাধ্যমেই তাকে পুলিশ কাস্টডি থেকে মুক্ত করা হয়েছে। কোথা থেকে রিলিজ হয়েছে জানি না, যতটুকু জেনেছি ১৭ জনের মধ্যে প্রথমে ওমানের যারা প্রবাসী মুক্তি পেয়েছিল। তারপর পরবর্তীতে সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব থেকে যে কয়জন ছিল তাদের আজ মুক্ত করা হয়েছে। কেউই এখন পুলিশ কাস্টডিতে নেই।

এমপি কতক্ষণ আটকা ছিলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, সে ব্যাপারে সঠিক তথ্য নেই। তবে, অনুষ্ঠিনটি রাত ১০টার দিকে, তখন ওনাকে…। পরদিন সকালে ওনাদের দূতাবাসের হস্তক্ষেপে মুক্ত করা হয়। স্থানীয় যে আইন সে অনুযায়ী পারমিশনটা নেওয়া হয়নি। যার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে।