• শনিবার , ২৭ এপ্রিল ২০২৪

উহানের ৩১৪জন ‘আইসোলেশন ইউনিটে’


প্রকাশিত: ৭:১৫ পিএম, ১ ফেব্রুয়ারি ২০ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৫১ বার

 

বিশেষ প্রতিনিধি : উহানের ৩১৪ জন ‘আইসোলেশন ইউনিটে’ চীনে করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করায় অবরুদ্ধ উহান শহর থেকে ৩১৪ বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৭ জনের জ্বর ১০০ ডিগ্রির বেশি থাকায় চিকিৎসার জন্য তাদেরকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া অন্য ৩০৭ বাংলাদেশিকে পরবর্তী ১৪ দিন তাদেরকে নিবিড় পর্যবেক্ষণের জন্য রাখা হয়েছে আশাকোনার হজ ক্যাম্পে স্থাপিত ‘আইসোলেশন ইউনিটে’। সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিরা সকাল থেকে তাদের তদারকি করছেন।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘কয়েকটি মন্ত্রণালয় মিলে ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৩০৭ জন যে ১৪ দিন হজ্জ ক্যাম্পে থাকবেন সেখানে দিনে পাঁচ বেলা করে তাদের খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।’

ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘তাদের দেশে ফিরিয়ে আনাতে নতুন করে কোনো ঝুঁকি তৈরি হবে না। কারণ এরা তো আক্রান্ত না। এরপরও কারও মধ্যে যদি করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা যায় তাহলে তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হবে। সেখানেও প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে।’আশকোনা হাজী ক্যাম্পের পরিচালক সাইফুল ইসলাম জাতিরকন্ঠ কে জানান, তিন তলার চারটি ডরমেটরিতে ৩০৭ জনকে রাখা হয়েছে। প্রতিটি ডরমেটরিতে ১০০ জনের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে বিছানা, চাদর, বালিশ, মশারি, মেডিসিন, পানি, লাইট, টয়লেট আছে। সকাল ও বিকেলের নাস্তাসহ পাঁচ বেলা খাবারের ব্যবস্থা আছে। এ ছাড়া শিশু ও নারীদের জন্যও আছে আলাদা খাবার ও থাকার ব্যবস্থা।

এদিকে তারা যেন বাইরে বের না হোন সেজন্য তৃতীয় তলার সিড়ির প্রবেশ পথে কলাপসিবল গেইট লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। ১৪ দিনের মধ্যে সেখান থেকে কেউ বের হতে পারবেন না। তাদেরকে যারা সেবা দেবেন তাদেরকেও বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।চীন ফেরত বাংলাদেশিদের কারো মধ্যে করোনাভাইরাসের উপসর্গ আছে কি না তা পরীক্ষা করবেন সেনাবাহিনীর মেডিকেল কোরের সদস্যরা৷ এ ছাড়া পুরো প্রক্রিয়ার মধ্যে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবি রয়েছে। এ ছাড়া ইমিগ্রেশনসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরাও দায়িত্ব পালন করছেন। হজ ক্যাম্পে কেউ অসুস্থ হলে তাকে কুর্মিটোলা হাসপাতাল, সিএমএইচ বা কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নেওয়া হবে।