• মঙ্গলবার , ৭ মে ২০২৪

ইরানকে সমিহ ট্রাম্পের সমঝোতা চান!


প্রকাশিত: ৪:৪১ পিএম, ২৭ মে ১৯ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৮৫ বার

 

আন্তজার্তিক ডেস্ক রিপোর্টার : অবশেষে ইরানের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের আস্ফালন খতম হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন ইরানের সঙ্গে সমঝোতার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। যদিও তিনি এখন জাপান সফরে রয়েছেন। আজ সোমবার জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে সাক্ষাতে ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহের কথা প্রকাশ করেন। আজ শিনজো আবের সঙ্গে সাক্ষাতে ইরান ইস্যুতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমি মনে করি, ইরান আলোচনা করতে চায়। তারা আলোচনা করতে চাইলে আমরাও আলোচনা করতে চাই।’

চার দিনের সফরে ট্রাম্প গত শনিবার জাপান পৌঁছান। ইরান নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা দেখব কী ঘটে। কিন্তু আমি জানি যে প্রধানমন্ত্রী (আবে) ইরান নেতৃত্বের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। কেউই ভয়ংকর কিছু ঘটতে দেখতে চান না, বিশেষ করে আমি।’

ইরান হামলা চালাতে পারে—নিজ দেশের এমন গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে শক্তির আস্ফালন চলছে। ইরানের শীর্ষ কূটনীতিকেরা মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নিতে কাজ করছেন। পাশাপাশি ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি করা দেশগুলোর মধ্যে নিজেদের অবস্থান ফিরে পেতে কাজ করছে দেশটি।

২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি করা ছয়টি দেশের মধ্যে বছরখানেক আগে যুক্তরাষ্ট্র তাদের নাম প্রত্যাহার করে নেয় এবং দেশটির ওপর অর্থনৈতিক বিধিনিষেধ আরোপ করে। যুক্তরাষ্ট্র বাগদাদ দূতাবাস থেকে তাদের কয়েকজন কর্মীকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে। ইরানের হামলার আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্র সর্বোচ্চ সতর্কতা নিয়েছে। ইরানের উদ্দেশে রণতরি নিয়ে লোহিত সাগরের সুয়েজ খালে অবস্থান নিয়েছে মার্কিন নৌবহর। তবে বরাবরই মার্কিন ওই গোয়েন্দা তথ্যকে ভুয়া বলে দাবি করেছে ইরান। যুক্তরাষ্ট্র এর মধ্যে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর শাখা দ্য ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসকে (আইআরজিসি) জঙ্গি সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।

আর এই আইআরজিসির পার্লামেন্ট–বিষয়ক ডেপুটি কর্মকর্তা মোহাম্মদ সালেহ জোকার যুক্তরাষ্ট্রের রণতরির ওপর সহজেই ইরানের হামলা চালানোর সক্ষমতা আছে বলে মন্তব্য করেছেন। বার্তা সংস্থা ফারসের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, মোহাম্মদ সালেহ জোকার বলেছেন, ‘এমনকি আমাদের স্বল্প দূরত্বের ক্ষেপণাস্ত্রও মার্কিন রণতরিতে সহজে আঘাত হানতে পারবে। নতুন যুদ্ধের খরচ চালানোর সাধ্য নেই যুক্তরাষ্ট্রের। দেশটি এখন জনশক্তি ও সামাজিক অবস্থানের দিক দিয়ে খারাপ অবস্থানে রয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের এক জ্যেষ্ঠ প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেছেন, তাঁরা ‘ফোনের পাশেই বসে রয়েছেন। অথচ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রস্তাব গ্রহণ করার ইচ্ছে প্রকাশ করে কোনো বার্তা আসছে না ইরানের তরফ থেকে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা অল্প কিছু সাংবাদিককে বলেন, ‘আমরা মনে করি, তাদের (ইরান) সমঝোতায় আসা উচিত।’’