আর মাত্র ৭ দিন সময় মুফতি হান্নানের-
গাজীপুর প্রতিনিধি : নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের শীর্ষ নেতা মুফতি হান্নানসহ তিনজন মৃত্যু পরোয়ানা পড়ে শোনানোর পর প্রাণভিক্ষা চাওয়ার জন্য কারাবিধি অনুয়ায়ী সাতদিনে সময় পাবেন। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে ৪৯তম কারারক্ষী ও মহিলা কারারক্ষী মৌলিক প্রশিক্ষণ কোর্সের নব নিয়োগপ্রাপ্তদের শপথগ্রহণ এবং সমাপণী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন।
তিনি বলেন, কারাবিধি অনুযায়ী সাত দিনের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া তিন আসামি প্রাণভিক্ষার আবেদন করতে পারবেন। সেই আবেদন প্রত্যাখ্যাত হলে সরকার নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে আদালতের রায় বাস্তবায়নের তারিখ ঠিক করে দেবে। এরপরই কারা কর্তৃপক্ষ আসামিদের দণ্ড কার্যকর করবে।
বুধবার দিবাগত রাতে মৃত্যু পরোয়ানা কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের পৌঁছে। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত দুই আসামি মুফতি হান্নান ও তার সহযোগী শরীফ শাহেদুল বিপুলেকে মৃত্যু পরোয়ানা পড়ে শুনানো হয়।
এরআগে বুধবার মুফতি হান্নান ও শরীফ শাহেদুল বিপুল রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তার এই ইচ্ছা অনুযায়ী কারা কর্তৃপক্ষও সে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। সিলেট কারাগারে বন্দি আরেক আসামি দেলোয়ার ওরফে রিপন তার সিদ্ধান্ত জানাতে সময় নিয়েছেন।
জঙ্গিদের ২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটে হজরত শাহজালাল (রহ.) মাজার প্রাঙ্গণে গ্রেনেড হামলায় সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার প্রাণে রক্ষা পেলেও পুলিশসহ তিনজন নিহত হন। ওই মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি মুফতি হান্নানসহ তার দুই সহযোগী জঙ্গি বিপুল ও দেলোয়ার। একই মামলায় অপর দুই জঙ্গি মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দালকে হাইকোর্ট যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। আপিল না করায় তাদের ওই দণ্ডই বহাল রয়েছে।
কারা সূত্র জানায়, ওই মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া তিন আসামির বিষয়ে আদালতের সব বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। এখন কারা কর্তৃপক্ষ তাদের ফাঁসি কার্যকরের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে শেষ প্রক্রিয়া হিসেবে নিজেদের দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করার সুযোগ রয়েছে তাদের। বুধবার সেই সুযোগটিই নিয়েছেন মুফতি হান্নান ও তার সহযোগী বিপুল।